শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-৯)

  • Update Time : বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪, ১২.০০ পিএম

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


গুয়াতেমালার নীলের বিলুপ্তি
মধ্য আমেরিকা উপনিবেশের গুরুত্বপূর্ণ রফতানী পণ্য ছিল নীল। এই নীল বাজারে পরিচিত ছিল গুয়াতেমালার নীল হিসাবে। এই নীলের অধিকাংশই উৎপাদিত হত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে যেমন গুয়াতেমালা, এল সালভেদর ও নিকারাগুয়ায়।” গুয়াতেমালার ব্যবসায়ীরা অর্থ দাদন দিত নীলচাষীদের, আর এভাবে তারা নিয়ন্ত্রণ করত রফতানী বাণিজ্য। মধ্য আমেরিকার নীল রফতানী হত স্পেন এ।
আবার সেখান থেকে শতকরা ৮০ ভাগ পুনঃ রফতানী হত বৃটেন ও নেদারল্যান্ডে। সে সময় গুয়াতেমালার নীল ছিল অতুলনীয়। এই নীলের এতই নাম ডাক ছিল যে এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সে নীলের মানের সমতুল্য হতে হত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মধ্য আমেরিকার রফতানী বাণিজ্যের ভিত্তি ছিল নীল। নীলের বাণিজ্য বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল পুরো অঞ্চলের অবনতি।
উনবিংশ শতাব্দীতে মধ্য আমেরিকার নীল বাণিজ্যের বিলোপ সাধনের কারণ বহুবিধ। স্বল্পকালের মধ্যে ঘটে গিয়েছিল দু’টি ঘটনা। মধ্য আমেরিকার নীলের যে প্রধান বাজার সেই বৃটেনের সঙ্গে যুদ্ধ লেগে গেল স্পেনের।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক বছরের মধ্যে নীলের উৎপাদন কমে গেল একেবারে।
অবস্থা এমন হল যে ৩০ লক্ষ পাউন্ড শুয়াতেমালার নীল হাভানা, ভেরা ক্রুজ ও ওয়াতেমালার গুদামগুলোতে পড়ে থাকল।”” যুদ্ধের পর ১৮০১ থেকে পর পর কয়েক বছর হল নীলক্ষেতে পঙ্গপালের আক্রমণ। এই অবস্থা চলল প্রায় এক যুগ। নীলের উৎপাদন হ্রাস পেল প্রায় অর্দ্ধেক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024