জাফর আলম
মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণের শব্দ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফে আসা যেন থামছেনই না।বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে থেমে থেমে ওই শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।তারা জানান, রাখাইন রাজ্যের মংডুতে মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা।
মংডু টাউনশিপের আশপাশের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন।সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে সাবরাং এলাকা। এখানকার লোকজন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। মিয়ানমারের মংডু শহর থেকে কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। এতে এলাকার ঘরবাড়ি ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠছে। রাতে বিকট শব্দে শিশুদের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, তারা ভয়ে কেঁদে উঠছে। সব মিলে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ওপারের টানা বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ কয়েকটি এলাকা কেঁপে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার হামলা হচ্ছে, মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া এলাকায়।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, ঈদের দিন কোনও ধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি। শান্ত ছিল সীমান্ত এলাকা। মঙ্গলবার থেকে আবার নাফ নদীর তীরবর্তী টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বাসিন্দারা কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। এতে পুরো টেকনাফ কেঁপে উঠছে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে সেজন্য নাফ নদী ও সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply