জাফর আলম
কক্সবাজারে ভ্রমনপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। তিন কিলোমিটার সাগরতীরজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। যারা মেতে রয়েছেন বালিয়াড়ি আর উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে। আর লাখো ভ্রমণপিপাসুর আগমনে খুশি সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীরা। চাঙাভাব ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়। শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে যেদিকে চোখ যায় সেদিকে মানুষ আর মানুষ। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল সবখানে মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ।
যারা ঈদের ছুটি কাটাতে এবং সাপ্তাহিক শুক্রবারে ছুটে এসেছে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতে। ঢেউ আসতেই লাফিয়ে অতিক্রম করছে পর্যটকরা। মেতেছেন নোনাজল নিয়ে। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে ব্যস্ত ছবি কিংবা সেলফি তুলতে। আনোয়ার হোসেন সরকার নামের পর্যটক বলেন, ‘ঈদে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে না এলে ভালো লাগে না। তাই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ৩ দিনের জন্য কক্সবাজার আসা। এখন সৈকতে সমুদ্রস্নান করতে এসেছি। সাগর উত্তাল ভয়ও লাগছে।বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগর দেখতে বেশ ভালো লাগে। উত্তাল সাগরের বড় বড় ঢেউ উপভোগ করছি। সাগর একটু শান্ত হলেই গোসলে নামব।নিশী নামের পর্যটক বলেন, ‘পরিবার-পরিজনকে একটু সময় দেয়ার জন্য কক্সবাজারে ছুটে আসা। শনিবার রাতে আবার ঢাকায় ফিরে যাব। এখন ছুটি নিয়ে সবার সঙ্গে মজা করছি।সৈকতে রয়েছে ৫শ’র বেশি ফটোগ্রাফার, ২৬টি ঘোড়া, অর্ধ-শত বিচ বাইক ও ৩০ টির বেশি জেড স্কি।
পর্যটকের চাপ চাঙা তাদের ব্যবসা। ফটোগ্রাফাররা বলেন, পর্যটক কক্সবাজার আসছে তাই ব্যবসা হচ্ছে।কয়েকজন বীচ বাইক চালক বলেন, ঈদের পরদিন একটু ব্যবসা কম হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকে প্রচুর পর্যটক এসেছে এবং অনেকে বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার কারণে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।বর্ষা মৌসুম, সাগর উত্তাল। তাই সমুদ্রস্নানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে লাইফগার্ড কর্মী। নোনাজল থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার সবখান থেকে চলছে বিশেষ নজরদারি। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে। এছাড়া পর্যটকরা ভিড় করছে ইনানী, হিমছড়ি ও পাতুয়ারটেক সমুদ্রসৈকতে।
Leave a Reply