পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতাকে তার ব্রান্ড নিয়ে সচেতন হতে হয়
নেতার মূল শক্তি তার ব্রান্ড। তাই যে দল বা টিম হোক, সংগঠন হোক আর কোম্পানি হোক। ব্রান্ড মূল্য রক্ষার জন্যে নেতাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
১. নেতাকে অবশ্যই তার ব্রান্ডটিকে গভীরভাবে বুঝতে হবে। কী কী কারণে তার এই ব্রান্ডটি ‘তৈরি হচ্ছে, বড় হচ্ছে বা এগিয়ে যাচ্ছে এর মর্মমূল ও প্রকৃত সত্যটি তাকে জানতে ও বুঝতে হবে।
২. ব্রান্ড নিয়ে তার কোন বাড়তি আবেগ বা অতি উচ্ছাস যেন কখনই না থাকে।
৩. ব্রান্ডটিকে এগিয়ে নেবার জন্যে তিনি সব থেকে বেশি জোর দেবেন সিস্টেমের ওপর, কখনই ব্যক্তির ওপরে নয়।
৪. যত ছোট ইউনিট হোক না কেন নেতা সেখানে একটা সিস্টেম গড়ে তুলবেন।
৫. সিস্টেম যাতে প্রতি মুহূর্তে মডিফাই হয় নেতা সে কাজটি অত্যন্ত সচেতনভাবে করবেন।
৬.সিস্টেম মডিফাই করার জন্যেও তিনি এক বা একাধিক সিস্টেম প্রচলন করার পথ খুঁজবেন।
খ) যে কোন ব্রান্ডের প্রসার অন্যতম বিষয়। তাই কোন কোন কারণে তার প্রসার হতে পারে সেগুলো তাকে খুঁজে বের করতে হবে
১. কখন, কী পরিমান প্রসার ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে
২. প্রসারের জন্যে ভৌগলিক অবস্থানটি সম্পর্কে নেতাকে ভালোভাবে জানতে হবে।
৩. ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ব্রান্ডের, কাজের এবং প্রোডাক্টের কী কী পরিবর্তন হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য ছক তাকে আগে করতে হবে।
৪. ছক ও বাস্তবতা মধ্য কতটা পার্থকও তা যাতে তার টিমও নেতা নিজে বুঝতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রয়োজনীয় এ সকল সিদ্ধান্ত’র জন্যে ছোট হলেও একটি বোর্ড তৈরি করতে হবে।
Leave a Reply