শিবলী আহম্মেদ সুজন
ঈদের ছুটিতে বাবা-মায়ের সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য অফিস থেকে বের হল জাহিদ।বনানী কবরস্থান রোড থেকে বাসে উঠে এয়ারপোর্টে গিয়ে ফুপাতো ভাই রাব্বির জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।
জাহিদ রাব্বির চেয়ে বয়সে ৬ বছরের বড় হলেও দুই ভাইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।জাহিদ রাব্বিকে নিজের ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করে। রাব্বি হঠাৎ দুইটা ব্যাগ হাতে জাহিদের সামনে এসে দাঁড়ালো।
স্টেশনে ঢুকেই জাহিদ দেখতে পেল ঈদের ছুটিতে অনেক মানুষ বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের অপেক্ষা করছে।আপন নীড়ে ফিরতে যেন সবারই ভাল লাগে। রাব্বি প্রার্থনা করছিল যেন ট্রেনে মানুষের খুব একটা ভিড় না থাকে। কারণ ঈদুল ফিতরে বাড়িতে যেতে রাব্বিকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিদিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট পরে স্টেশনে এসে থামলো।
ট্রেনে মানুষের খুব একটা ভিড় নেই।এটা দেখে রাব্বি তো বেশ খুশি হয়েছে। জাহিদ ও রাব্বি দু’জনই ট্রেনে উঠল।ট্রেন চলতে শুরু করল। জাহিদ জানালার পাশে গিয়ে বসল।জাহিদ জানাল দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো, ঈদের দিন বিকেলে আত্নীয় স্বজনদের বাসায় যাবে ,চাচাতো ভাইদের সাথে বাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করবে কতই না মজা হবে। করোনা মহামারীতে দুটি ঈদ ঢাকায় কাটিয়েছে জাহিদ।
গ্রামে নিজের আপন মানুষদের সাথে ঈদ উদযাপন করার অনুভূতিটাই আলাদা ও বেশ আনন্দের। রাব্বির ডাকে ঘোর কাটলো জাহিদের। সে দেখতে পেল ট্রেন মনসুর আলী স্টেশনে এসে থেমেছে……
Leave a Reply