পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
রিয়েল- টাইম স্মার্ট লিডার
বাস্তবে নেতৃত্ব নেবার আগের ও পরের ভূগোল সব সময়ই ভিন্ন। যেমন ভিন্ন, যু্দ্ধ শুরু হবার আগের যুদ্ধ ক্ষেত্র আর শুরু হবার পরের, গাড়ি স্টার্ট দেবার আগের অবস্থা আর গাড়ি গতি পাবার পরের অবস্থা।
তাই রিয়েল-টাইম বা বাস্তব ভূগোলে দাঁড়ানো নেতার জন্যে যা জরুরী হয়ে ওঠে
১. দল, টিম, সংগঠন বা কোম্পানির সদস্যদের মানসিক জগত তৈরি করা
ক্)তাদেরকে নেতা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাবান করা।
খ) প্রতিটি কর্মী যেন তার নিজেকে চিনতে পারে- সেই পরিবেশ তৈরি করা।
গ) প্রতিটি কর্মী শুধু কর্মী নয় একজন মানুষ- এই বিষয়টি সে যেন উপলব্দি করে। স্বাভাবিক পৃথিবীর বড় যে কোন মানুষের মতো একজন সাধারণ মানুষের মধ্য সমান আগুন থাকে- এই সত্যটি তার ভেতর জাগিয়ে তোলা।
ঘ)মানুষের অন্তরের আগুন জ্বালিয়ে তোলা একদিনের কাজ নয়। এর জন্যে একটু সময় নিতে হয়।
ঙ) নেতা যেন সেই সময় নিতে জানেত হবে এবং ধীরে ধীরে তার কর্মীকে তার নিজের আগুন চেনাতে শেখাবে।
চ) কর্মী যেন নিজেই নিজের ভেতরের আগুন জ্বালাতে পারে।
২. মানুষ যেহেতু ইনডিভিজুয়াল, তাই প্রতিটি মানুষের ইনার-সক্ষমতা বা তার ভেতরের আগুনের চরিত্র ভিন্ন হবে।
৩. নেতাকে এই ভিন্ন ভিন্ন আগুনের চরিত্র চেনার সক্ষমতা অর্জন করতে হয়।
৪. নেতাকে বাস্তব ভূগোলে নেমে তার মূল কম্পোনেন্ট অর্থাৎ দল বা প্রতিষ্ঠানের মানুষ বা কর্মীর ভেতর যারা অন্তত নেতৃত্বে থাকবে তাদের এবং নতুন যারা তার সঙ্গে যোগ হবে তাদের ইনার শক্তিকে চিনতে হবে।
ক) ইনার শক্তি চেনার পরে সে যাতে ওই শক্তিকে আরো বেশি শক্তিতে রূপান্তারিত করতে পারে সে কাজ করতে হবে।
খ) মানুষের আত্মশক্তি’র ক্ষমতা আকাশের মত সীমাহীন। তাই তাকে স্বাধীনতা দিয়ে কোম্পানির জন্যে বা প্রতিষ্ঠানের জন্যে বা দলের জন্যে সেটা বিকাশের সুযোগ দিতে হয়।
গ) যার ফলে ভেঙ্গে পড়া একটি দল, ক্ষয়ে যাওয়া একটি কোম্পানি বা একটি স্টার্ট-আপকে জাগাতে বা সামনে এগিয়ে নিতে ওই কর্মী তার উদ্ভাবনী আত্মশক্তিকে কাজে লাগাতে পারে।
৫. নেতাকে সেভাবে তাদের ভেতর আত্মশক্তি প্রবেশ করাতে হবে যাতে সে বুঝতে পারে, এখানে অর্থের থেকে বড় হলো সে নিজে। তার সক্ষমতা দিয়েই সে অর্থের সংকট মোকাবেলা করবে।
৬. নেতাও যেমন জানবে তেমনি কর্মীকেও জানতে হবে, অর্থ বাস্তবে কোন বিষয় নয়, মূল বিষয় হলো উদ্যোগ ও ম্যানেজমেন্ট। প্রচুর অর্থ দিয়েও কোন কাজ হয় না- উদ্যোগ না নেবার অভাবে ও প্রপার ম্যানেজমেন্টর অভাবে।
Leave a Reply