সারাক্ষণ ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘একনায়কতন্ত্র’ চলছে বলে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে অভিযোগ করেন বিএনপিপন্থী একজন শিক্ষকনেতা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহারের (এক্সপাঞ্জ) দাবি তোলেন আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকজন সিনেট সদস্য। পরে উপাচার্য ‘একনায়কতন্ত্র’ শব্দটি প্রত্যাহার করেন।
বুধবার রাতে সিনেটের অধিবেশনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপিপন্থী ওই শিক্ষকনেতা হলেন এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরও সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জান্তা সৈন্যদের সঙ্গে সেখানকার জাতিগত সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে গতকাল বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা ও গণমাধ্যম জানিয়েছে।
শান রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরের দিকে কিয়াউকমি শহরে জান্তা সৈন্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটে শহরটির অবস্থান। চীনের মধ্যস্থতায় টিএনএলের সঙ্গে মিয়ানমারের স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে জাতিগত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সদস্যরা।
এর আগে, শান রাজ্যে জান্তা বাহিনী এবং টিএনএলএ ও অন্য দুটি সহযোগী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের অবসানে ঐ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল। স্থানীয় এক উদ্ধারকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বুধবার সকালের দিকে টিএনএলের যোদ্ধারা কিয়াউকমি শহরে জান্তা নিয়ন্ত্রিত একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকরা তাদের বাড়িঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। অন্য এক উদ্ধারকর্মী বলেছেন, মঙ্গলবার কামানের গোলার আঘাতে শহরটিতে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। তবে শহরের কোন প্রান্তে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি তিনি। টিএনএলএ বলেছে, মঙ্গলবার নাউংচো ও সিপাও শহরের পাশাপাশি প্রতিবেশী মান্দালয় অঞ্চলের মোগোকের রুবি খনি এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে টিএনএলএ যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এই সংঘাতের বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তার মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) ও টিএনএলের যোদ্ধারা। গত বছরের অক্টোবরে আকস্মিক হামলা চালিয়ে এই জোটের সদস্যরা চীন সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের বিশাল এলাকা ও কয়েকটি লাভজনক বাণিজ্য ক্রসিং দখলে নেয়। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জান্তার জন্য ঐ হামলা সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে আসে।
পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের মধ্যস্থতায় সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। চুক্তির পরও জোটের সদস্যরা দখলকৃত অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে একই সময়ে উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত বছরের এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইসরাইলের আগ্রাসনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে লেবাননের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তুরস্ক লেবাননের পাশে থাকবে।
বুধবার (২৬ জুন) তুর্কি সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
এরদোগান বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধকে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। গাজাকে ধ্বংস ও পুড়িয়ে ফেলার পর ইসরাইল এখন লেবাননের দিকে নজর দিয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি পশ্চিমা দেশগুলো পর্দার আড়ালে ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে যে পরিকল্পনা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন করেছেন, তা পুরো অঞ্চলকে বড় বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। তবে তুরস্ক লেবাননের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ ও রাষ্ট্রের পাশে রয়েছে। আমি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে লেবাননের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা রয়েছে। তার এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলটিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি যোগ করেছেন, ইসলামি বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে এই রক্তাক্ত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। যে রাষ্ট্রগুলো স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের কথা বলে তারা নেতানিয়াহুর হাতে বন্দি হয়ে আছে। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ একটি বিষয়।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু হচ্ছে আজ। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘মানসম্মত শিক্ষা, জাতির প্রতিজ্ঞা’। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চলতি বছরের ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ চলবে। এসময় প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের সম্মানিত করা হবে।
এদিকে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তিই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু। সুশিক্ষিত ও মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আমরা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি।
Leave a Reply