সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

কাজাখস্তান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে গণভোটে যাবে

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪, ৭.৫৭ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দেশটি এই বছর একটি গণভোটে যাবে যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মধ্য এশিয়ার সম্ভাব্য প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে কি না।

উল্লেখ্য,  মধ্য এশিয়ায় পারমাণবিক শক্তি একটি সংবেদনশীল বিষয়, যেখানে ইউরেনিয়াম খনন এবং সোভিয়েত যুগের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কারণে দূষণের একটি ইতিহাস রয়েছে। কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম রপ্তানিকারক দেশ, কিন্তু ১৯৯৯ সালে তারা তাদের একমাত্র ছোট আকারের রিয়্যাক্টরটি বন্ধ করে দেয়, যা মূলত পানি লবণমুক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হতো।

ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এ্যাসোসিয়েসনের মিটিং। ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪। কাজাকস্থান

প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ মিডিয়া কর্মীদের দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। এই কারণেই আমি একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে গবেষণার নির্দেশ দিয়েছি।”

“এই বিষয়ে জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। গণভোট এই শরতেই অনুষ্ঠিত হবে। সরকার সঠিক তারিখ পরে নির্ধারণ করে দেবে,” তিনি যোগ করেন। প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটি বিশ্বব্যাপী ইউরেনিয়াম উৎপাদনের ৪০ শতাংশেরও বেশি উৎপাদনের দাবী রাখে এবং পারমাণবিক শক্তিধর ফ্রান্সকে বড় পরিমাণে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে, যে দেশটি তার অধিকাংশ শক্তি পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে পায়।

কাজাক প্রেসিডেন্টের অফিস

গণভোটটি পাস হলে, ফ্রান্স, চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়া রিয়্যাক্টর নির্মাণের জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে। রাশিয়া ইতোমধ্যে প্রতিবেশী উজবেকিস্তান এবং কিরগিজস্তানের সাথে সেখানে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনা করছে।

পশ্চিমা দেশগুলির বিপুল আগ্রহ এই অঞ্চলের দুর্লভ মাটি ও ধাতুসহ উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি। কিন্তু এই অঞ্চলে এসব থাকা সত্ত্বেও, মধ্য এশিয়া বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতিতে ভুগছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024