মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে

  • Update Time : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ৯.৪০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বৃষ্টি আজ আরও বাড়তে পারে, মাসজুড়ে কেমন থাকবে”

দুই দিন ধরে সারা দেশে বৃষ্টি বেড়েছে। ঢাকায় গতকাল রোববার রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার ভোর থেকেও ইলেশগুড়ি বৃষ্টি। মেঘলা আকাশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। আগামী কয়েক দিন টানা চলবে বৃষ্টি। জুলাই মাসজুড়ে এরকম বৃষ্টি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়বে সবচেয়ে বেশি। উপকূলেও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেখানেও বৃষ্টি চলবে। বঙ্গোপসাগরে দমকা হাওয়া বইছে, তাই দেশের সব নদীবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা থাকায় সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে”

‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যাদি জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি সাবেক ১৬৬ আমলার”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত ১৬৬ জন কর্মকর্তা। রোববার ‘পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি’র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক আমলারা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল টিম বারবার জানিয়েছে তার বয়স এবং অসুস্থতার যে জটিল অবস্থা তাতে যে ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, তা দেশে সম্ভব নয়। তার এমন সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে আধুনিক যন্ত্রপাতিসংবলিত যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড বলেছে যে, তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক, ঝুঁকিপূর্ণ, জটিল ও সংকটাপন্ন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফলে খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে হলে, তার জীবন বাঁচাতে হলে বিদেশের উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতো সাংবিধানিক অধিকার অনুসারে তারও বিদেশে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

আমলারা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান সংকটাপন্ন শারীরিক অসুস্থতায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগকে রাজনৈতিক ঘেরাটোপে বন্দি রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার আবেদনকে আইনের দোহাই দিয়ে প্রত্যাখ্যান না করে সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বিদেশে যাওয়ার অনুমতির দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতাদের মধ্য রয়েছেন-এএসএম আব্দুল হালিম, মো. আবদুল কাউয়ুম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশীদ সরকার, ইকতেদার আহমেদ, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিজন কান্তি সরকার, একেএম জাহাঙ্গীর, এবিএম আব্দুস সাত্তার, মকসুমুল হাকিম চৌধুরী, তপন চন্দ্র মজুমদার, আখতার আহমেদ, মো. আবদুজ জাহের, আফতাব হাসান, মো. আবদুল বারী, এসএম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, এএইচএম মোস্তাইন বিল্লাহ, ড. মো. আব্দুস সবুর, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, মো. আতাউল হক মোল্লা, ড. নেওয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, এমএম সুলতান মাহমুদ, মো. আব্দুল খালেক, বশীর উদ্দীন আহমেদ, নবীউল হক মোল্যা, ফিরোজ খান নুন, শেখ মো. সাজ্জাদ আলী প্রমুখ।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ডিজেল কেরোসিন লিটারে কমল ১ টাকা, অপরিবর্তিত পেট্রল অকটেন”

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।  ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনে এক টাকা করে কমেছে। পেট্রল এবং অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বন্যায় হাকালুকি হাওরের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ”

জেলার হাকালুকি হাওর তীরবর্তী তিনটি উপজেলায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে জলাবদ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। জেলার নদী তীরবর্তী বন্যাকবলিত এলাকায় কিছুটা উন্নতি হলেও অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে হাওর তীরবর্তী এলাকা। চলমান পরিস্থিতিতে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পানিবাহিত রোগবালাই ও গবাদিপশুর খাবার ও বাসস্থান সংকটে চরম দুর্ভোগে বানভাসিরা। বন্যার শুরু থেকে একের পর এক উপদ্রব আর সমস্যায় নাকাল বানভাসিরা। ভারী বৃষ্টি ও উজানের নেমে আসা পানিতে ১৬ই জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন। ওই সময় জেলার সবক’টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর হাওরগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে তীরবর্তী একের পর এক এলাকা প্লাবিত হয়। এখন জেলার নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তেমন দৃশ্যমান উন্নতি নেই হাওর এলাকার। বিশেষ করে জেলার হাকালুকি হাওর পাড়ের মানুষের দুশ্চিন্তা আর দুর্ভোগের অন্ত নেই।

চলমান বন্যা দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়ায় এখন তাদের নতুন দুর্ভোগ। আর এই সমস্যা মোকাবিলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় এখন তাদের রাত-দিন একাকার।

কারণ নতুন উপদ্রব ‘আফাল’ আর ‘বলন’। এই দু’টি উপদ্রবই হাকালুকি হাওর এলাকার মানুষের নতুন আতঙ্ক। এমন শঙ্কায় দিশাহারা হাওর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। রাক্ষুসে হাওরের উত্তাল এই উপদ্রবের কবল থেকে রক্ষায় চলছে তাদের জীবনযুদ্ধ। নিজস্ব নানা কৌশলে বসতভিটা রক্ষার এ সংগ্রামে শক্তিশালী হাওরের ধকল সামলাতে গিয়ে নিস্তেজ হচ্ছেন তারা। আফাল (বড় ঢেউ) ও বলনের (ঘূর্ণয়মান ঢেউ) তোড়ে চোখের সামনে ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে। কেড়ে নিচ্ছে তাদের যক্ষের ধন। কিছুতেই রক্ষা করা যাচ্ছে না ঘরবাড়ি। তাদের শেষ ভরসাস্থল মাথা গোঁজার ঠাঁইটিও এখন কেড়ে নিতে চায় আফাল আর বলন। তাই নানাভাবে বলন ও আফালের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। কিন্তু সব চেষ্টাই যেন ব্যর্থ হওয়ার উপক্রম। ইতিমধ্যে আফাল আর বলন গিলে খেয়েছে তাদের আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি। হঠাৎ এমন দুর্ভোগে ভিটে মাটি হারানোর দুশ্চিন্তায় তারা নির্বাক। সরজমিন হাকালুকি হাওর তীরের জালালপুর, মদনগৌরি, মীরশংকর, সাদিপুর, ভূকশিমইল, বাদে ভূকশিমইল, কালেশার, কানেহাত, উত্তর সাদিপুর, কাইয়ারচর, শশারকান্দি, বেড়কুড়ি, শাহপুর, বেলাগাঁও ও তালিমপুর এলাকায় গেলে চোখে পড়ে মানুষের এমন দুর্দশার চিত্র। ওই এলাকার অধিকাংশ লোকজনই ঘরবাড়ির ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। তারা ঘরবাড়ি রক্ষায় ঝুঁকি নিয়ে পানিবন্দি অবস্থায় বসবাস করছেন। দুর্ভোগগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান রাত-দিন বলন আর আফালের ভয়ে তারা এখন তটস্থ থাকছেন। তারা জানালেন এতদিন পানিবন্দি হলেও এখন নতুন শঙ্কা আফাল আর বলন। আফাল আর বলনের তোড় গ্রাস করতে চায় তাদের ঘরবাড়ি। চলমান বন্যায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত তারা। বন্যায় এখন ঘরবাড়িতে পানি। আর গেল ক’দিন থেকে আফাল আর বলন তাদের তাড়া করছে। ভয় নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম দিনযাপন করছেন। বানের পানি না কমলে আর ঘরবাড়ি রক্ষা করা যাবে না বলেও তারা জানান। হাওর তীরবর্তী এলাকাগুলোর অধিকাংশ ঘরে হাঁটু আর উঠানে কোমর পানি। দেখা গেল ঘরের চারপাশে কচুরিপানা আর গাছের ডাল ও বাঁশের পালা (অগ্রভাগ) দিয়ে আফালের ক্ষতির কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাড়ির লোকজন জানালেন বানের পানি শরীরে লাগলে চুলকায়। তাছাড়া রয়েছে বিষাক্ত সাপ ও জোঁকের ভয়। তাই ঘরের ভেতরে থাকতে যেমন ভয় হচ্ছে। তেমনি বাড়ি ছেড়ে যেতেও মন চাচ্ছে না। কারণ বাড়ি ছেড়ে গেলে বাড়িঘরের চারপাশে কচুরিপানা দেয়া যাবে না। এমন সুযোগে আফাল আর বলনে তাদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দিবে।

দুর্ভোগগ্রস্থরা জানান একের পর দুর্যোগের ধকলে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের এলাকার লোকজন নামমাত্র সরকারি ত্রাণ সহায়তা পেলেও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই কিছুই পায়নি। সব হারিয়ে তারা মানবেতর দিনযাপন করছেন। তারা বলেন এখন হাওর তার ভঙ্কর রূপ আমাদের দেখাচ্ছে। আফালের ভয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ঘরের বেড়া আর ভিটার মাটি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন বলতে গেলে পানির সঙ্গে লড়াই করে তারা ঘরবাড়িতে টিকে আছেন। বন্যার ভয়াবহতা চিন্তা করেই সমতল থেকে ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় বাড়ির ভিটে বাঁধেন। তার আরও উপরে তৈরি করেন বসতঘর। কিন্তু তারপরও আফালের তোড় থেকে রক্ষা মিলছে না বসতভিটার। হাকালুকি হাওর তীরবর্তী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান মনির জানান হাকালুকি হাওর এখন তার উত্তাল রূপ দেখাচ্ছে। ভয়াবহ ঢেউ তীরবর্তী এই এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি করছে। মানুষের বাড়িঘরও ভাঙছে। হাওর পাড়ের মানুষ এখন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ওদের এমন বিপদের দিনে পাশে দাঁড়াতে তিনি সরকারের পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আকুল আহ্বান জানান।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024