সারাক্ষণ প্রতিবেদক
বিদেশে মুক্তি দেওয়ার আগে থেকেই রেকর্ড ভাঙার গল্প বলছিলো টিম তুফান। নানান মিথ্যার বেসাতি ও তথ্য সমেত ঘোষণায় বিদেশে বাংলাদেশী ছবির অর্জিত আয়ের রেকর্ড ভাঙার কথা বলেছিল টিম তুফান। কিন্ত চরম হতাশার খবর হলো- তুফান মুক্তির সময় দেখা যায়, কিছু হলে মুক্তি আর বেশীরভাগ ভাড়া করা হলে গত ২৮ জুন থেকে চলছে তুফান।
তবে বাংলাদেশের পর বড় বাজার কানাডা ও আমেরিকা থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সেখানে রেকর্ড ভাঙার কোনো সত্যতা তো নেই-ই। বরং জানা গেলো হতাশা মোড়ানো এক তথ্য। ছবিটির আমেরিকা এবং কানাডা থেকে পাওয়া গ্রস সেল রিপোর্ট ভালো না। অথচ ওই দুই দেশে ছবিটি মুক্তির আগে ভাড়া করা ইউটিউবার আর দেশের কিছু মিডিয়ায় এসব তথ্য প্রচার করা হয়েছে রেকর্ড ভাঙার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুক্তির তিনদিন পর প্রথম উইকেন্ড রিপোর্টে বাংলাদেশী সিনেমাগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রিয়তমা ছবির উইকেন্ড আয়কেও ছুঁতে পারেনি তুফান। ছবিটি উইকেন্ড অর্থাৎ প্রথম তিনদিনে আয় করেছে মাত্র ত্রিশ হাজার ডলারের কিছু বেশি। অথচ সেখানে প্রিয়তমা আয় করেছিলো প্রায় পঞ্চাশ হাজার ডলারের কিছুটা কম। আর সর্বোচ্চ আয় করা হাওয়া ছবিটি প্রথম তিনদিনে কানাডা ও আমেরিকা থেকে আয় করেছিলো দেড় লাখ ডলারেরও বেশি। এতেই বোঝাই যাচ্ছে রেকর্ড ভাঙা তো দূরে থাক, রেকর্ডের ধারেকাছেও নেই তুফান।
সিনেমা ভালো ব্যবসা করলে সবাই আনন্দিত হয়। কিন্ত রেকর্ড ভাঙার কথা বলে অসত্য প্রচার করে সেটা তো দেশের বাইরে লুকিয়ে রাখা যায় না। যদিও তুফান এর ব্যবসাকে এমনিতেই মন্দ বলা যাবে না। তবে রেকর্ড হলে সবাই জানবে, রেকর্ড ভাঙার খবর প্রচারের নামে ভাঙা রেকর্ড বাজানোর কোনো দরকার নেই।
Leave a Reply