সারাক্ষণ প্রতিবেদক
বিশ্বকাপে খেলা যে কোনো খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে। আজীবনের সেই লালিত ইচ্ছে পুরণের পথেই ছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়ার্ডের সদস্য হয়েই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। তবে বাঁহাতি এই পেসারের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়ায় পুরো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাগআউটে বসেই কাটাতে হয়েছে শরিফুলকে। অথচ এই বিশ্বকাপটা তারই রাঙানোর কথা!
সম্প্রতি চোট মুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে প্রস্তুতির দারুণ একটি মঞ্চ পেয়ে গেছেন তিনি। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ক্যান্ডি ফ্যালকনসের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ড্রাফটে নাম ছিলনা শরিফুলের। পরে ফ্র্যাঞ্চাইজির আঙ্গিনায় তার জন্য সুখবর বয়ে আনে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা। এবার লঙ্কা থেকে আসে ডাক। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শরিফুল উড়াল দিলেন শ্রীলঙ্কায়। বাঁহাতি এই পেসার সুযোগ পেয়েছেন ক্যান্ডি ফ্যালকনসে। শ্রীলঙ্কার বিমান ধরার আগে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে অন্তত এক ম্যাচ খেলতে না পারার কষ্ট আছে তার। বাঁহাতি পেসার শরিফুল বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। বিশ্বকাপের আগের দুই বছর সাদা বলে টানা পারফর্ম করে দলের সবচেয়ে সফলও ছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলের চোট বদলে দেয় তার বিশ্বকাপ মিশন। চোটে প্রথম ম্যাচের জন্য ফিট না থাকলেও পরবর্তীতে তিনি ঠিক ছিলেন। যদিও পুরো বিশ্বকাপই তার দেখতে হয়েছে মাঠের বাইরে থেকে। বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই পেসার বলেন, ‘আফসোস বলতে কপালে যেটা লেখা ছিল সেটার উপর দিয়ে তো আর কিছু করার নাই। খুব আশায় ছিলাম যে একটা ম্যাচও (অন্তত) খেলবো। তো এইখানে একটু কষ্ট লাগা আরকি। আমি সব ম্যাচের জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। এখন দলের সমন্বয়ের কারণে (একাদশে সুযোগ আসেনি)।
সবাই খুব ভালো করছিল, তো তার জন্য ম্যাচ পাওয়া হয়নি। এলপিএলে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। অনেক দিন ধরে ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। তো সেক্ষেত্রে যাতে এখানে ম্যাচ খেলে আগের মতো ফিরতে পারি।’ পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আলীর বদলি হিসেবে ডাকা হয়েছে শরিফুলকে। গতবছর শ্রীলঙ্কার লিগে তিনি খেলেছিলেন কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে। এবার ক্যান্ডি ফ্যালনকনসে যোগ দেওয়া শরিফুল বলেন, ‘শেষবার যখন গিয়েছি, তখন এক ম্যাচ খেলতে পেরেছিলাম। এবারে আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
সবশেষ আইপিএলে তার সুযোগ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাকে বদলি হিসেবে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিসিবি তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি। এবার তাকে কানাডা ও শ্রীলঙ্কার লিগে খেলার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। আইপিএলে খেলতে না পারার আক্ষেপ কিছুটা হলেও দূর হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে শরিফুল বলেন, ‘অবশ্যই তখন দেশের খেলা ছিল, সেজন্য হয়তো ছাড়েনি বিসিবি। এখন তো দেশের খেলা নাই। সময়টা ফাঁকা আছে।
তাই অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।’ শরিফুলের দল ক্যান্ডি ইতোমধ্যে ২ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে একটি। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ৬ জুলাই বিকাল সাড়ে তিনটায়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম আসরে আরও তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন। ডাম্বুলা সিক্সার্সে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাওহিদ হৃদয় এবং কলম্বো স্টাইকার্সে যোগ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লিগটি চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত।
Leave a Reply