সারাক্ষণ ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে প্রকাশিত বুথ ফেরত জরিপে বিরোধী দল লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস পাওয়া গেছে। জরিপে বলা হয়েছে, দলটি ৪১০টি আসনে জয় পেতে পারে।
বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি ১৩১টি আসনে জয় পেতে পারে। ৬১টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে রিফর্ম ইউকে ১৩টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ১০টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্য দলের ২৫টি আসনে জয়ের আভাস দেওয়া হয়েছে।
জরিপের ফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, ‘এই ফলাফল আমাদের জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক। তবে এটি একটি জরিপ। পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
বুথ ফেরত জরিপের ফল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নির্বাচনী আসন ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ডে তাঁর বাড়ির আশপাশে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
ঋষি সুনাক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘শত শত কনজারভেটিভ প্রার্থী, হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং লাখো ভোটারদের কাছে আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য, সমর্থনের জন্য এবং আপনার ভোটের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১০টায়। সবগুলো আসনের ফল পেতে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চরম দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৭৫০ বেডের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন, এটি একটি করপোরেট হাসপাতাল হবে, যেখানে ব্রেন ক্যানসার, দুর্ঘটনায় বড় ইনজুরি, কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, ইউরোলজি, কার্ডিয়াক সার্জারি ও কার্ডিওলজিসহ সব ধরনের জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেবে দেশবিদেশি চিকিৎসক-নার্স। চিকিৎসাসেবার জন্য আর যেতে হবে না বিদেশ, যেমন বিদেশে করপোরেট হাসপাতালের সঙ্গে মার্কেট ও ফাইভ স্টার হোটেলও থাকে। আমেরিকা, সিংগাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এই ধরনের হাসপাতাল রয়েছে। সেই মডেলেই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় বা স্বল্প সময়ে বিদেশি ডাক্তার-নার্সও থাকবেন। ‘দেশেই মিলবে বিশ্বমানের চিকিৎসা, যেতে হবে না বিদেশ’—এমন স্লোগানে ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি। গত বছর লোকবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর থেকে থমকে আছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। উদ্বোধনের পর ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হাসপাতালটি চালু করা হয়নি। অনেক কিছু করে দেখানোর আশা জাগানিয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন যেন একটি মূর্তির মতোই দাঁড়িয়ে আছে। বিশাল এই প্রতিষ্ঠান থেকে কার্যত কোনো সেবাই মিলছে না। ২৮৩ কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির বেশির ভাগই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান বাদশা বলেন, এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে; শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু প্রায় এক বছর আগেই কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০২২ সালে তড়িঘড়ি করে এটি উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয় কোরিয়ান সরকার। বাকি ৫০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দেয়। চুক্তি অনুযায়ী এই হাসপাতালে দুই বছর চিকিৎসাসেবা ও প্রশাসন পরিচালনা করার কথা কোরিয়ান সরকারের ৫৬ জন স্পেশালিস্টের। কিন্তু কোরিয়ান সরকার বারবার চিঠি দেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তাতে সাড়া দেননি। এটা তাদের সঙ্গে একধরনের প্রতারণার শামিল। চুক্তির বাইরে গিয়ে ভিসির খেয়ালখুশিমতো হাসপাতাল পরিচালনা এবং দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখানো চালু হতে পারেনি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের নজিরবিহীন অপকর্মে হাসপাতালটি এখনো ‘শুরুর সংকটে’ই ঘুরপাক খাচ্ছে। ঐ সময় নিয়োগ, কেনাকাটা, পদোন্নতিসহ কিছুই হতো না ঘুষ ছাড়া। সিনিয়র, জুনিয়র ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে বলেন, বিএসএমএমইউতে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নেই। সর্বাঙ্গে দুর্নীতির ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। ফলে যে স্বপ্ন নিয়ে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়েছিল, সেটি স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে, বাস্তবে আশানুরূপ কিছুই হচ্ছে না। তবে বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ঢেলে সাজাতে অর্গানোগ্রামও করা হচ্ছে। একজন সচিবের নেতৃত্বে অর্গানোগ্রাম তৈরির কাজ চলছে। পুরো বিষয়টি ভিসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভিসি কাজ শুরু করেছেন। বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ইত্তেফাককে বলেন, দেশবিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে। পুরোদমে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। কোনো অনিয়মের সঙ্গে আপস করা হবে না।
প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরেটস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ও প্রখ্যাত নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের মতো সিনিয়র চিকিৎসকদের ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ও ব্যবস্থাপনায় রাখা হতে পারে। বাংলাদেশের ডাক্তাররা বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বয়ে চিকিৎসা ও অপারেশন পরিচালনা করবে। এতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা আরো বাড়বে। তবে এখানে চিকিৎসাব্যয় হবে বেশি। যেমন চিকিৎসা, তেমন ব্যয়। এটা থাকবে ভিসির অধীনে।
আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটি মৌরিতানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এনদিয়াগো থেকে চার কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়।
গত সোমবার এই হতাহতের ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।
বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ছয়দিন আগে এটি গাম্বিয়া-সেনেগাল সীমান্ত থেকে ছেড়ে আসে। নৌকাটির গন্তব্য ছিল ইউরোপ। আর এতে সব মিলিয়ে ১৭০ জন মানুষ ছিলেন।
মৌরিতানিয়ার কোস্টগার্ড লাশগুলো উদ্ধার করেছে। এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা একটি বড় মাছ ধরার নৌকায় করে যাচ্ছিলেন। ঐ সময় এটি ডুবে যায়। নৌকাডুবির পর ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। তাদের আশা, ইউরোপে গেলে উন্নত জীবন ও ভালো কাজ মিলবে। তবে উন্নত জীবনের জন্য বিপজ্জনক নৌপথে ইউরোপে আসতে গিয়ে অনেকের সাগরে মিলিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে যেতে অভিবাসন প্রত্যাশীরা যেসব রুট ব্যবহার করেন তার মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরের রুটটি সবচেয়ে দীর্ঘ। এ কারণে বেশিরভাগ মানুষকে দীর্ঘ সময় নৌকায় অবস্থান করতে হয়। এছাড়া যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সেখানে উদ্ধারকারীরাও তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারেন না।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছসাধনের লক্ষ্যে নতুন এক পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বিদেশভ্রমণ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয় সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে এ ধরনের ভ্রমণ অত্যাবশ্যকীয় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে।
যেসব ক্ষেত্রে বিদেশভ্রমণ করা যাবে সেগুলো হলো- পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের দেয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অংশ নেয়া।
এ ছাড়া বিদেশি সরকার বা প্রতিষ্ঠান কিংবা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে। সেই সঙ্গে প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) বা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির ২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একান্ত অপরিহার্য হলে পিএসআই বা এফএটির আওতায় বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে কৃচ্ছ্রসাধনে আরো কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কোড থেকে কত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তার দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে পরিপত্রে।
বলা হয়েছে, সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। চলমান নির্মাণকাজ ন্যুনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থবিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।
পরিপত্রে বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওঅ্যান্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থবিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেভাবে ব্যয় করা যাবে, পরিপত্রে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে ‘জিওবি বাবদ’ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবি’র সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি কখনোই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপি’র অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি ও তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপি’র একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। বিএনপি নেত্রীর মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়।
আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। কিন্তু, সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে সক্রিয় করে। আর এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপি’র জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
Leave a Reply