পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতার জন্য জরুরী কিছু বিষয় (ঙ)
কী বলবে, কখন বলবে
স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই জানতে হবে, কখন সে তার কর্মীদেরকে কী বলবে এবং কখন কার সঙ্গে কী আচরণ করবে। যেমন একজন ড্রাইভার কম্পিউটার চালিত গাড়ি হলেও কখনও কখনও তাকে কম্পিউটারের নির্দেশকে কিছু্টা রিভাইজ করে গাড়ি আস্তে বা জোরে চালতে হয়। এমনকি অনেক সময় কম্পিউটারের নির্দেশ সম্পূর্ণ অমান্য করে তাকে গাড়ি থামতে হয়। কারণ যদি তখন রাস্তা দিয়ে কোন ক্ষমতাপরায়ন রাষ্ট্রনায়ক বা তার মতো কেউ চলাচল করে- তখন তার জন্যে অবশ্যই রাস্তা ফাঁকা রাখতে হয়। ড্রাইভারকে স্টার্ট বন্ধ করে দিয়েও অনেক সময় বসে থাকতে হয়।
যেমন একটি ঘোড়ার খামারের পরিচারক জানে কখন তার কোন ঘোড়াটি কোন খাবার খাবে। সেভাবেই সে তাকে সেই খাবার দেয়।
যেমন ক্লিনিকাল অবজারভেশান ডাক্তারকে শেখায় বইয়ে যাই থাকুক না কেন, রোগির মানসিক স্বাস্থ্য চিন্তা করেই সে ওষুধ নির্ধারণ করবে।
একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক জানে, রাষ্ট্র ক্ষমতার বাতাসকে বুঝে সত্য নিউজের কোন অংশটুকু ছেপে নিজেকে অন্তত সাংবাদিক হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য টিকিয়ে রাখতে হয়।
এমনকি একজন অভিজ্ঞ পিতা মাতা যেমন বোঝ কোন ধর্মীয় গুরু বা রাজনৈতিক কাল্টের হাত থেকে সন্তানকে বাঁচাতে কী কী পথ অবলম্বন করতে হয়।
অন্যর উপকারে কখন যাবেন
এটা অনেকটা যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো। যেমন যখন একেবারে সামনা সামনি ল্যান্ড ফোর্স লড়াই করে সে সময় নিশ্চয়ই জেনারেল তাদের খাবার দেবার জন্যে কোনক্রমেই একটি গরু, ঘোড়া, ছাগল বা শুকর জবাই করবে না। জেনারেল সে সময়ে বড় জোর কোন শুকনো খাবার একান্ত প্রয়োজনে পাঠাবে। সরবরাহ করার চেষ্টা করবে পানির।
অন্য’র উপকার করার বিষয়টিতেও স্মার্ট নেতাকে সব সময়ই খেয়াল রাখতে হয় সে যেন সামনা সামনি লড়াইয়ের সময়ে গরু বা ছাগল না কেটে বসে খাবার দেবার জন্যে।
বরং সে তখন চিন্তা করবে কীভাবে শুধু পানি দিয়ে সে সরে আসতে পারবে।
এবং স্মার্ট নেতাকে এই শুধু পানি দিয়ে সরে আসার আর্ট জানতে হবে। যদি প্রতিপক্ষ বুঝতে পারে সে শুধু পানি দিয়ে সরে গেছে তাহলে সেটা গরু বা ঘোড়া জবাইয়ের থেকে আরো খারাপ হবে।
কারণ, সে মুহূর্ত থেকে ওই মানুষটি প্রকৃত অর্থে নিজেকে ওই নেতার শক্র’র অবস্থানে অবচেতনভাবে হলেও নিয়ে যাবে।
Leave a Reply