পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতার জন্যে কিছু জরুরী বিষয় (চ)
কখন নেতা দুর্বল হয়
নেতা তখনই দুর্বল হয় যে সময়ে তার নির্দেশাবলী স্পষ্ট এবং একেবারে নিখুত হয়না। নেতার নির্দেশাবলীর মধ্যে যদি কোন অস্বচ্ছতা থাকে, নেতা্ নিজেই যদি তার অর্ডার বা নিদেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ ধারণা না রাখে- তাহলে নেতার ওই নির্দেশাবলী মূলত দুর্বল বা অনেকটা লক্ষ্যহীন নির্দেশাবলী হয়। এ ধরনের লক্ষ্যহীন নির্দেশ নেতাকে অবশ্যই দুর্বল করে। নেতাকে কতৃত্বহীন করে।
এছাড়াও –
১. নেতা যদি তার কর্মীদের ডিউটি ভাগ করে দিতে সমর্থ না হয়। যেমন, নেতা যদি না বোঝে তার কোন কর্মীকে কোন কাজ দিতে হবে। কার মাধ্যমে কোন কাজ কম সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব- এ যদি নেতা সঠিক অর্থে না বোঝে । আর সেভাবে যদি কাজ বিভাজন করতে না পারে- তাহলে নেতা অবশ্যই দুর্বল বলেই গণ্য হবে।
২. নেতাকে অবশ্যই তার কর্মীকে কাজ বুঝিয়ে দেবার সক্ষমতা রাখতে হবে। নেতা যদি তা না পারে সেটা দুর্বল নেতার লক্ষণ। আবার শুধু কাজ বুঝিয়ে দেয়া নয়, নেতাকে বুঝতে হবে তার ওই কর্মী ওই কাজের যোগ্য কিনা? নেতা যত দেরীতে একজন কর্মীকে বুঝতে পারবে ততই নেতার সেটা অযোগ্যতা বা দুর্বলতা বলেই চিহ্নিত হবে।
৩. নেতা তার কর্মীদেরকে যদি একটি প্রপার ডিজাইনের মাধ্যমে তাদের অবস্থান ও কাজরে পরিধি ও ধরণ সনাক্ত না করতে পারে তা নেতার জন্যে অবশ্যই দুর্বলতা বলে চিহ্নিত হবে।
৪. ওপরের এই দুর্বলতা গুলো যদি কোন নেতা মধ্যে থাকে তাহলে নেতার কাজ ও প্রতিষ্ঠান আলটিমেটলি হেফাজার্ড অবস্থানে চলে যায়। এবং সে প্রতিষ্ঠানও যেমন এক সময়ে ভেঙ্গে পড়ে তেমনি ওই নেতা শুধু দুর্বল নয়- কোন এক সময়ে ব্যর্থ নেতায় পরিনত হয়। এবং এটা পরিস্কার হয় যে নেতার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ওই অর্থে জ্ঞান বা যোগ্যতা নেই। সে আসলে একজন দুর্বল নেতা- যতই তাকে শক্ত নেতা হিসেবে চিহ্নিত করা হোক না কেন।
Leave a Reply