সারাক্ষণ ডেস্ক
মার্কিন ট্রেজারী ডিপার্টমেন্ট সোমবারের একটি প্রস্তাবের সাথে সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি বিদেশী ক্রেতাদের রিয়েল এস্টেট কেনাকাটা পর্যালোচনা করার ক্ষমতা বাড়াতে চায় ফলে এই ধরনের আরও এলাকাগুলিতে তাদের কর্তৃত্ব বেড়ে যাবে।
এই আইনের আওতায় ৩০ টি রাজ্যের প্রায় ২২৭ টি সাইট অর্ন্তর্ভূক্ত হবে বলে জানান।
ট্রেজারী সেক্রেটারী জেনেট ইয়েলেন এই প্রস্তাবের সাথে সাথে বলেন, “ CFIUS মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তায় একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে যা সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনাগুলির কাছাকাছি রিয়েল এস্টেট লেনদেন পর্যালোচনা করে। এই প্রস্তাবিত নিয়মটি এর এলাকা এবং ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।”
গুপ্তরচরবৃত্তির সন্দেহে , মে মাসে হোয়াইট হাউজ চাইনিজ মালিকানাধীন ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং কোম্পানী মাইনওয়ান পার্টনারকে ১২০ দিনের সময় দেন যাতে উয়োমিং সামরিক ঘাঁটি থেকে অনতি দূরে আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে সেখান থেকে সরে যায়।
প্রস্তাবের অধীনে, CFIUS পর্যালোচনা সাপেক্ষে জমি ক্রয় ৪০ টি মনোনীত সামরিক সাইটের ১ মাইলের মধ্যে এবং ১৯ টি মনোনীত সাইটের ১০০ মাইলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত হবে৷ তালিকা থেকে ৩ টি সাইটকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
রিয়াল এস্টেট ক্রয়ে এই আইনটি কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রসারণ হবে । ২০১৮ সালে কংগ্রেসে এই আইনটি পাশ করা হয়েছিল।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মতে , আইন পরিষদ CFIUS কে সামরিক ঘাটির কাছে জমি এবং নির্দিষ্ট সম্পদ ক্রয়ের অনুমতি দেয়। ২০১৮ সালের লেজিসলেশান এবং মানডে আইন প্রস্তাব চায়না এবং চাইনিজ-সম্পর্কিত রিয়েল এস্টেট কিনতে বাধার আইন জারি করে।
গত বছর ফ্লোরিডার গভর্ণর একটি আইনে সাইন করে যে, রাশিয়া, ইরান, নর্থ কোরিয়া, কিউবা ভেনিজুয়েলা এবং সিরিয়ার কোনো নাগরিক তাদের কোনো সামরিক ঘাটির দশ মাইলের ভিতরে কোনো জায়গা কিনতে পারবেনা। আইনটি চাইনজ নাগরিকদের আমেরিকায় বসবাসের অনুমতি ছাড়া ফ্লোরিডায় কোনো সম্পদও কিনতে পারবেনা। এই আইনটি আনি জটিলতায় পড়ে এবং নিষেধাজ্ঞাকে পক্ষপাতিত্ব বলে উল্লেখ করে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের আমলে CFIUS একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করে যখন চায়না এবং আমেরিকার সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।
২০২২ সালে জো বাইডেন একটি এক্সিকিউটিভ আদেশ দেন যে, CFIUS জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো ভালো কাজ করবে যখন সেমিকন্ডাক্টর এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে কাজ করবে। ট্রেজারী ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে, এই প্রস্তাব সাম্প্রতিক একটি পূর্ণ নিরীক্ষা থেকে এসেছে যেটি সামরিক বিভাগ পরিচালনা করে। প্রস্তাবের মানডে নোটিশে বলা হয়েছে, জনগণ ট্রেজারী ডিপার্টমেন্টকে লিখিত মন্তব্য জানাতে পারবে।
Leave a Reply