শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

কানাডায় ‘রহস্যময়’ আগুনে প্রাণ গেল ভারতীয় মা–বাবা–মেয়ের, মধ্যরাতে উত্তাল জবি ক্যাম্পাস

  • Update Time : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪, ৪.০৭ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

Fire incidents keep rising – অর্থাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে, ডেইলি স্টারের শিরোনাম।

এতে বলা হয় নিরাপত্তা বিধিমালার দুর্বল প্রয়োগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুসারে, গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডে ১০২ জন নিহত ও ২৮১ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও গত সাত বছরে আগুনে সারা দেশে ২ হাজার ৮৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এসময়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এর মধ্যে ৬৪ হাজার ৪৪৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনে ৪৬ জন প্রাণ হারান। মারাত্মক ঝুঁকির কথা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস সাত তলা ভবনের মালিকদের তিনটি নোটিশ দিলেও আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২৪ হাজার ১৯৩টি ভবন পরিদর্শন করে ৭ হাজার ৮০১টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০৩টি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

আরব আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের শিরোনাম Dubai welcomed 1.77 million international tourists in January 2024’.

খবরে বলা হচ্ছে,  দুবাইর অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগ প্রকাশিত ‘দুবাই পর্যটন প্রতিবেদনের’ জানুয়ারি সংস্করণ মতে, সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছেন পশ্চিম ইউরোপ থেকে। এ বছরের জানুয়ারিতে দুবাইতে ১৭ লাখ ৭০ হাজার আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই হার ২১ শতাংশ বেশি। দুবাইর অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগ প্রকাশিত ‘দুবাই পর্যটন প্রতিবেদনের’ জানুয়ারি সংস্করণ মতে, সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছেন পশ্চিম ইউরোপ থেকে। মোট পর্যটকের ১৮ শতাংশ বা তিন লাখ ২৭ হাজার পর্যটক এসেছেন সেখান থেকে।  জিসিসি সদস্যভুক্ত দেশ (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব) ও দক্ষিণ এশিয়া থেকে এসেছেন যথাক্রমে তিন লাখ ১১ হাজার ও দুই লাখ ৯৪ হাজার পর্যটক।

খবরে বলা হচ্ছে,  রাশিয়া, সিআইএস ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে ১৫ শতাংশ বা দুই লাখ ৬২ হাজার পর্যটক এসেছেন। ১২ শতাংশ বা দুই লাখ ১১ হাজার পর্যটক নিয়ে পরের অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও উত্তর আফ্রিকা। উত্তর ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ষষ্ঠ অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানগুলোতে আছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।

 

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রধান  শিরোনাম ‘Indian-origin couple, daughter killed in ‘suspicious’ fire in Canada.’.

খবরে বলা হচ্ছে,  মা, বাবা ও তাঁদের কিশোরী মেয়ে—তিনজনই দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। কানাডায় নিজ বাড়িতে দগ্ধ হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারটি। তবে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রহস্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি স্থানীয় পুলিশ বলছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। বরং ‘রহস্যময়’ আগুনে প্রাণ গেছে মা–বাবা–মেয়ের। কারণ খুঁজতে চলছে তদন্ত। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ৭ মার্চের। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ব্রাম্পটনের বিগ স্কাই ওয়ে অ্যান্ড ভ্যান ক্রিক ড্রাইভের বাড়িতে তাঁরা পুরোপুরি দগ্ধ হন। গতকাল শুক্রবার তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। প্রাণ হারানো তিনজন হলেন রাজীব ওয়ারিকো (৫১), তাঁর স্ত্রী শিল্পা কোথা (৪৭) এবং তাঁদের মেয়ে মাহেক ওয়ারিকো (১৬)।

খবরে বলা হচ্ছে,   প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আবাসিক ভবনে আগুন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ মত বদলায়। এখন পুলিশ বলছে, এটা সম্ভবত দুর্ঘটনাবশত লাগা আগুনের ঘটনা নয়। পিল পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল তারইয়ান ইয়ং বলেন, আগুনের ঘটনাটি ‘রহস্যময়’। পুলিশ সব ধরনের তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করছে। বিশদ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় তাঁরা ওই বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের একটা শব্দ শুনেছিলেন। প্রতিবেশী কেনেথ ইউসাফ বলেন, প্রথমে বিকট শব্দ, এরপর পুরো বাড়িটি ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দগ্ধ হন বাড়িতে থাকা তিনজন। রাজীব টরন্টো পুলিশে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। তবে ২০১৬ সালেই তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাহেক ফুটবল খেলতে পছন্দ করত। তার কোচের মতে, মাহেক একজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় ছিল।

 

মধ্যরাতে উত্তাল জবি ক্যাম্পাস – যুগান্তরের শিরোনাম। শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সহপাঠীর বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ন্যায়বিচার না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফাঁস দেওয়া ফাইরুজ অবন্তিকা আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় রাতেই সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে প্রাথমিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুর খবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পৌঁছানোর পরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসন ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এ পরিস্থিতিতে উপাচার্য সাদেকা হালিম ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অবন্তিকা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিক নামে তার সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করেন। ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসাবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখত সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আম্মানের হয়ে আমাকে নানাভাবে ভয় দেখায় যে, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাব না। পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসাবে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে নিজেকে এত ভালোবাসে যে মানুষ, সে এমন কাজ করতে পারে। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাতে আত্মহত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টার পর অবন্তিকার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহপাঠীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে ‘আমার বোন মরল কেন, বিচার চাই বিচার চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রক্টরকে ঘেরাও করেও স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা অভিযুক্তদের আটক না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

 

সমকালের শিরোনাম – ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে বাজারে লাগাম টানার চেষ্টা। রমজান এলেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম, ব্যতিক্রম নয় এবারো। তবে এর লাগাম টানতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংসসহ ২৯টি পণ্যের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গতকাল এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর সারা দেশে তা কার্যকর হওয়ার কথা। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংস্থাগুলো। কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর জানিয়েছে রমজানে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও আমদানি স্বাভাবিক আছে। কোন পণ্যের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। শুক্রবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।  নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংস কেজিতে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা এবং খাসির মাংস এক হাজার ৩ টাকা ৫৬ পয়সা দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এছাড়া কেজিতে মুগ ডালের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৪১ পয়সা, মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা, ছোলা (আমদানি) ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা, মসুর ডাল (উন্নত) ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা, মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, খেসারি ডাল ৯২ টাকা ৬১ পয়সা, পাঙাস (চাষের মাছ) ১৮০ টাকা ৮৭ পয়সা, কাতল (চাষ) ৩৫৩ টাকা ৫৯ পয়সা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা ২০ পয়সা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা ২০ পয়সা, বাঁধাকপি কেজিপ্রতি ২৮ টাকা ৩০ পয়সা, ফুলকপি কেজিপ্রতি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেজিপ্রতি বেগুন ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা, শিম ৪৮ টাকা, আলু ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা ২০ পয়সা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ টাকা ৩৮ পয়সা, জাহিদি খেজুর ১৮৫ টাকা ৭ পয়সা, চিড়া (মোটা) ৬০ টাকা, প্রতি হালি সাগর কলা ২৯ টাকা ৭৮ পয়সা ও বেসন ১২১ টাকা ৩০ পয়সা দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ মূল্যে পণ্য বেচাকেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

 

দ্রব্যমূল্যের চাপে আওয়ামী লীগ – কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে সরকারবিরোধীদের আন্দোলন-কর্মসূচির চেয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশি চাপে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সরকারবিরোধীদের আন্দোলন-কর্মসূচির চেয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশি চাপে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল। এর পরও বাজার কারসাজি করে ভোক্তাদের পকেট কেটে অতি মুনাফা লাভের পথ ছাড়ছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক নানা চাপ এরই মধ্যে সামলে নিয়েছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে এখন অনেকটাই নির্ভার ক্ষমতাসীনরা। তাদের এখন মূল চ্যালেঞ্জ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।

দলের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার মতে, আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বড় অঙ্গীকার ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সরকারের সামনে এখন এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। ডলারের দাম, বৈশ্বিক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে এ দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজি। এগুলো মোকাবেলা করে বাজার স্বাভাবিক রাখা দুঃসাধ্য একটি কাজ। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই। আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু সব চেষ্টা কি সব সময় সফল হয়?’

 

ফারাক মাত্র ৩৬৫ দিন – দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম। গত রমজানে থেকে এই রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পার্থক্য নিয়ে প্রতিবেদনটি।

বলা হয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উত্তাপ কমছেই না। বরং বছর বছর বেড়েই চলেছে। পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ জিনিসপত্রের দাম আগের বছরের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উত্তাপ কমছেই না। বরং বছর বছর বেড়েই চলেছে। পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ জিনিসপত্রের দাম আগের বছরের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। এত হাঁকডাকের পরও রোজার পণ্যের বাজার বেসামাল।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে, যা গত বছর ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কাওরান বাজারে সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১১০০ টাকা কেজিতে, যা গত রমজানে ছিল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশি) ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

 

বিদেশি ঋণ ৮ বছরে দ্বিগুন – দৈনিক প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে এটিকে। এতে বলা হয় বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বাড়ছে। আট বছরে এই ঋণ বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নেওয়া বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি মার্কিন ডলারে, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। গত জুনের হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৭৪ ডলারে (প্রায় ৬৩ হাজার টাকা)। আট বছর আগে এটা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। সরকারি খাতের বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারের নিজস্ব, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার ঋণ রয়েছে। সরকারি সংস্থার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০৫ কোটি ডলারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি হারে সুদ ও কঠিন শর্তে নেওয়া এসব ঋণ সরকারি সংস্থাগুলোর দেওয়া পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। চাপে পড়ছে মানুষ। যেমন ঢাকা ওয়াসা সাতটি প্রকল্পে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। এসব ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে পানির দাম বাড়াচ্ছে সংস্থাটি।

ও অন্যান্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতও বিনিয়োগের জন্য বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ এখনো সহনীয় পর্যায়ে আছে। এ হার প্রায় ২২ শতাংশ। তবে রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় ও বিদেশি বিনিয়োগ, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ না বাড়লে ঋণ পরিশোধ কঠিন হতে পারে। উদ্বেগের দিক হলো, ঋণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ বাড়ছে না। অর্থনীতিবিদেরা কঠিন শর্তের ঋণ নিয়েও সতর্ক করেছেন। তাঁরা বলছেন, কঠিন শর্ত ও বাড়তি সুদে ঋণ নেওয়া হলে তা অর্থনীতিতে সংকট তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে জিডিপির অনুপাতে ঋণ কতটা, তা বড় বিষয় নয়। যেমন জাপানের বিদেশি ঋণ জিডিপির অনুপাতে ১০৪ শতাংশ। কিন্তু দেশটি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তেমন চাপে নেই। বিপরীতে পাকিস্তানের বিদেশি ঋণ জিডিপির ৩৫ শতাংশের কিছু কম; কিন্তু দেশটি ঋণ পরিশোধ নিয়ে সংকটে রয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024