পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতার জন্য কিছু জরুরী বিষয় (ঝ)
নেতাকে অবশ্যই তার লোকদেরকে একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে পর্যালোচনা বা যাচাই করতে হয়। কখনই যেন এই যাচাইয়ে নেতা কাউকে তার অবস্থানের থেকে বড় হিসেবে চিহ্নিত না করে। এবং তাদের জন্যে যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় না করে।
নেতাকে অবশ্যই তার এনার্জি ধরে রাখতে হবে। কারণ, তার চলার পথ দীর্ঘ। তার কর্মীরা যদি তার সন্তানের মতোও হয় তারপরেও তাকে মনে রাখতে হবে একটা সময়ে কোন না কোন সন্তান তাকে ছেড়ে যেতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে পৃথিবীতে একজন একক মানুষ হিসেবে তাকে এককভাবে অনেক দূর যেতে হবে। তাই তার এনার্জি ও শক্তিকে তাকে ধরে রাখতে হবে। এবং একটি গাড়ির ফুয়েলের মতো তাকে পরিমিত ব্যয় করতে হবে।
অবশ্য গাড়ির ফুয়েল আর নেতার এনার্জির মধ্যে পার্থক্য আছে। গাড়ির ফুয়েল যে নির্দিষ্ট পরিমান গাড়িতে ঢোকানো হয় তা বাড়ার কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু নেতার শারিরিক এনার্জির হয়তো ক্ষয় হয় কিন্তু মেধাগত এনার্জি সব সময়ই চর্চার ভেতর দিয়ে বাড়ে।
তবে নেতার এই চর্চা সব সময়ই এমন একটা স্রোতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে যে, যাতে তার কর্মীরা সব সময়ই কাজের মধ্যে বা সচল থাকে। কর্মীরা যদি কাজের মধ্যে বা সচল না থাকে তাহলে বাস্তবে তারা আর কর্মী থাকে না।
যেমন একজন সৈনিক যদি ট্রেনিং এবং মুভমেন্টের মধ্যে না থাকে তাহলে ওই সৈনিক দিন শেষে আর সৈনিক থাকে না।
তবে এই সচল রাখার কাজটি যেন কখনই অপরিকল্পিত না হয়। একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে তাদেরকে সচল ও কাজের সঙ্গে জড়িত রাখতে হবে।
Leave a Reply