শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম

  • Update Time : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪, ৯.৪৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়, তবু ডুবল ঢাকা”

বছরের পর বছর যায়, মন্ত্রী-মেয়রের পরিবর্তন হয়, কিন্তু বৃষ্টির মৌসুমে রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয় না। টানা কিছুক্ষণ ভারী বৃষ্টি হলে ঢাকার কোনো না কোনো এলাকা ডুববে—এটি যেন নিয়ম হয়ে গেছে। অথচ গত চার বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কমপক্ষে ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু এর সুফল কতটা পাওয়া গেছে, তা গতকাল শুক্রবার সকালের তিন ঘণ্টার বৃষ্টি দেখিয়ে দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। এরপরও অবশ্য হয়েছে, তবে তা ভারী বৃষ্টি ছিল না। কিন্তু সকালের বৃষ্টিতেই ধানমন্ডি, গ্রিন রোড, নিউমার্কেট, মতিঝিল, আরামবাগ, কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, দক্ষিণখান, কল্যাণপুর, বিজয় সরণি, মালিবাগ, মৌচাকসহ রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার সড়ক ডুবে যায়। অনেক বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। কোথাও পানি ছিল হাঁটুসমান, কোথাও প্রায় কোমরসমান।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “১ লাখ টাকায় ফাঁস হয়েছিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলির প্রশ্ন”

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে অনুষ্ঠিত সবশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার আগের রাতে চুক্তিতে রাজি হওয়া পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে তাদের প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্ত করানো হয়। পরে সকালে নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ওই প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রশ্ন পেয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেওয়া ওই প্রার্থীরা উত্তীর্ণও হয়েছেন। প্রিলিমিনারিতে পাস করার পর চুক্তিতে থাকা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল চক্রটি।

৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘পিএসসির কর্মচারী সাজেদুল ইসলাম সাজু আমাকে মোহাম্মদপুর থেকে একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আমাকে সকালের দিকে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন দেন। ওইটা আমি পড়লাম। পড়ার পর হলে গিয়ে দেখি কমন পড়ছে। এক লাখ টাকার বিনিময়ে এ চুক্তি হয়েছিল।’

এ বিসিএসে প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেওয়া রুবেল নামে আরও এক প্রার্থী চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে বলেছেন, ‘পরীক্ষার আগের রাতে মাহমুদুল (ঢাবির সাবেক ছাত্র) ভাই আমাকে আইডিবির সামনে আসতে বলেন। সেখান থেকে তারা আমাকে গাড়িতে করে মোহাম্মদপুর নিয়ে যান। মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় আমাদের রাত ৯-১০টার দিকে প্রশ্ন পাঠিয়ে দেন। ওই বাসায় আরও লোকজন ছিলেন। তারা আমাদের সারারাত ওই প্রশ্নগুলো সমাধান করিয়েছেন। তারপর আমাদের সকালে ছেড়ে দিয়েছেন। পরে আমরা সবাই যে যার কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।’

রুবেল আরও বলেন, ‘প্রিলির জন্য ওই রাতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ প্রশ্ন পড়ানো হয়েছে। প্রিন্ট করা কাগজে ওই প্রশ্নগুলো সরবরাহ করা হয়। মোহাম্মদপুরের বাসার যে রুমে আমি প্রস্তুতি নিয়েছি, সেখানে ৮-৯ জন ছিলেন। আর ওই বাসায় আমার মতো আরও ১০০ জন প্রশ্ন পেয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আমার সঙ্গে ২ লাখ টাকায় প্রশ্ন পাওয়ার বিষয়ে চুক্তি হয়।’

মাহমুদুল ও রুবেল ছাড়াও আরও ৬ জন শিক্ষার্থীর তথ্য উঠেছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে। যারা প্রশ্নপত্র পেয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেছেন।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “সরবরাহ সংকটের অজুহাতে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম”

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ভারত থেকে আমদানির পরও কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম। উলটো আরও বাড়ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চট্টগ্রামে খুচরা বাজারে ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে। আমদানি করা পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। শুধু পেঁয়াজ নয়-চাল, ডিম, আলুসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না বাজারে। বেগুনের কেজি সেঞ্চুরি পার করেছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ভোক্তাদের অভিযোগ-প্রশাসনের কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে দিন দিন অস্থির হয়ে পড়ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। কোনো পণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই। সরকার নির্ধারিত দাম কাগজে-কলমে থাকলেও বাজারের কোথাও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে। অথচ আলু সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে পণ্য সরবরাহ কমে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সে পণ্যের দাম বাড়ে। সম্প্রতি অতি বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে পেঁয়াজ আসতে সমস্যা হচ্ছে। ৩ মে এক প্রজ্ঞাপনে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। এতে বলা হয়, প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও আগের চেয়ে কমেছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও আগের চেয়ে কমেছে। এছাড়াও কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে পরিবহণ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম দিন দিন বাড়ছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বন্যায় চার জেলায় ৭১২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ”

বন্যার কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৭১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের তিন জেলায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৪৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সিলেট জেলায় বন্ধ রয়েছে ২৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ জেলায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোনো কোনো স্কুল বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় এবং কোনো কোনো স্কুল বন্ধ রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায়।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট নিয়ে ভয়ঙ্কর জালিয়াতি”

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট নিয়ে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ভুয়া আন্তর্জাতিক পারমিট সরবরাহ করে প্রতারণা করছে। তাদের দেয়া এসব পারমিটের উপর আস্থা রেখে বিদেশে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। শুধুমাত্র নাম, ছবি, ঠিকানা আর রক্তের গ্রুপ লিখে  দিলেই টাকার বিনিময়ে মেলে ভুয়া পারমিট। একদল দালাল চক্রের যোগসাজশে এসব পারমিট সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বৈধ পারমিটও দিচ্ছে নিজেদের মর্জিমতো ফি নির্ধারণ করে। এসব নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে অটোমোবাইল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি ফুয়াদ পাশা বাবুলের নেতৃত্বে। বিষয়টি অনুসন্ধান করতে একটি আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট করতে দেন এই প্রতিবেদক। পরে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মাত্র ৪ দিনের মধ্যে অটোমোবাইল এসোসিয়েশনের একটি আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট মিলে। তবে আসলের মতো দেখতে সেই ড্রাইভিং পারমিটটি ভুয়া।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট পেতে চালককে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ কর্তৃক বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হয়। সেই লাইসেন্সের উপর ভিত্তি করেই আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট দেয়া হয়। তবে এজন্য নতুন করে কোনো পরীক্ষা দিতে হয় না। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট নিতে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণ করতে হয় এবং বিআরটিএ এর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রয়োজন হয় পাসপোর্টের ফটোকপিও। নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট দেয় অটোমোবাইল এসোসিয়েশন। তবে এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ভুয়া পারমিট দিচ্ছে তারা। এমনকি মানবজমিন প্রতিবেদককে দেয়া ভুয়া পারমিটের বিনিময়ে আবেদন, লোকাল লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি কিংবা পাসপোর্টের ফটোকপিও জমা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ওই আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিটে ভুল নাম ও ভুল ঠিকানা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পারমিটে দেয়া বিআরটিএ এর এক কর্মকর্তার জাল স্বাক্ষরও ব্যবহার করেছে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন। মিরপুর সার্কেলে কর্মরত বিআরটিএ এর ওই কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি বিব্রত। এটা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আগে ২৫০০ টাকা ফি নিয়ে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট দিতো অটোমোবাইল এসোশিয়েশন। তবে বিআরটিএকে না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ফি বাড়িয়ে দিয়ে পারমিটগুলো ইস্যু করছে। খাতা কলমে ফি নির্ধারণ করেছে ৪৭০০ টাকা। তবে প্রতিটি পারমিটে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। কিন্তু গ্রাহককে ৪৭০০ টাকার রশিদই ইস্যু করা হচ্ছে। মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী মানবজমিনকে বলেন, আমি মালয়েশিয়ার জন্য তাদের কাছে পারমিট করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে ভুয়া পারমিট দিয়েছে। মালয়েশিয়া পুলিশ এটা চেক করার পর ধরা খেয়েছি। তখন আমাকে ১৫ হাজার টাকার মতো জরিমানা করেছিল। তিনি বলেন, আমার প্রবাসী আরেক বন্ধুও তাদের থেকে পারমিট নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছিল। তারটাও ভুয়া ছিল। পরে ওই দেশে নতুন করে ট্রেনিং করে লাইসেন্স নিতে হয়েছে। নাঈম নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ওমানে আমার কাজের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ড্রাইভিং করার জন্য অটোমোবাইল এসোসিয়েশন থেকে পারমিট করিয়েছিলাম। কিন্তু ওমানের এক সার্জেন্ট আমার থেকে পারমিট নিয়ে সফটওয়ারে মিলিয়ে দেখে এটার কোনো অস্তিত্ব নাই। পরে ওটা তারা নিয়ে নষ্ট করে ফেলে। আমি তো আগে বুঝিনি ওটা ফেক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024