নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের আদেশকে হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা ও কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং তারা সমবেতভাবে এক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ শান্তির দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এই বিষয়ে দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ শান্তির দলের চেয়ারম্যান শান্তির মহানায়ক, আগামীদিনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক, এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ অভিমত ব্যক্ত করেন, পূর্বতন কোটা ব্যবস্থায় যে ৫৬% চাকুরি কোটার মাধ্যমে এবং ৪৪% চাকরি মেধার মাধ্যমে দেয়ার বিধান ছিল উহা অত্যন্ত অযৌক্তিক, বিবেচনাহীন ও অগ্রহণযোগ্য ছিল। উহা কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শতকরা ৭% এবং মেধার ভিত্তিতে শতকরা ৯৩% হওয়া যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। এই বিষয়ে বর্তমানে চলমান ছাত্রদের আন্দোলন হাইকোর্টের রায় ও সরকারের বিবৃতি ইত্যাদি বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিকেলের ৭ (১), ৭ (২) এর বর্ণিত বিধানের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন যে, ৭ (১) এ বর্ণিত হয়েছে যে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই মতামত প্রয়োগ কেবল সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে’ এবং আর্টিকেল ৭ (২) বর্ণিত হয়েছে যে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন…’। দলের চেয়ারম্যান আরো অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কোটা সংস্কারে এই আন্দোলন দেশের সকল স্তরের আপামর ছাত্রবৃন্দের সমর্থন থাকায়, এখন ছাত্ররূপী জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তিরূপে বিবেচনার যোগ্য।
সংবিধানে আর্টিকেল ৭(২) এ বর্ণিত এইরূপ জনগণের অভিপ্রায় ও পরম অভিব্যক্তি রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের (সংসদ) তাদের কার্য পরিচালনায় নিয়ামক শক্তিরূপে মান্যতা করতে বাধ্য। ফলে এই আন্দোলনের দাবি সাংবিধানিকভাবে যৌক্তিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মেনে নেয়া উচিত। তিনি এ ব্যাপারে ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেন এবং সরকার যেন সংবিধানের আর্টিকেল ৭(২) এর আলোকে সর্বোচ্চ ৭% কোটা বহাল করে এই বিষয়ে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা সত্ত্বর গ্রহণ করেন।
Leave a Reply