শিবলী আহম্মেদ সুজন
দুপুর ২ টা ২০ মিনিট।এ সময়ে সাধারণত ক্রেতা থাকে না। আজও সেখানে ওই ভাবে কোন ক্রেতা ছিলো না। তবে তার পরেও কাকলির প্রিন্স রেস্তোরার স্টাফদের কপালে ঘামের বিন্দু জমে উঠছে। তাদের কথা বলারও ফুসরত নেই।চার জন স্টাফ সকলেই ব্যস্ত।সকলে এক এক করে একের পর এক আইটেম সাজাচ্ছে ক্রেতাদের জন্যে। ইফতারির সকল খাবার আইটেম এক এক করে সাজানো হচ্ছে ।
ম্যানেজার সকল কিছু তদারকি করছেন।তার সেই ব্যস্ততার মাঝেও ম্যানেজার মোঃ কামাল কিছুটা সময় দেন । তার সাথে কথা বলে জানা গেল এই রেস্তোরায় শুধু ইফতারি নয় সেহরিরও ব্যবস্থা আছে।
ইফতারি কেমন বিক্রি হচ্ছে বলতেই একটু মনটা তার মরা হয়ে গেলো। এবং কিছুটা নিরুত্তাপ গলায় বললেন, খুব একটা ভালো না।
গতবারের চেয়ে বেচা-কেনা ভালো না মন্দ?
ম্যানেজার মুখ নেড়ে বললেন গতবারের তুলনায় বেচা-কেনা একদম ই ভালো না ।
গত কয়েক বছর ধরে এ রাতে হোটেলে সেহরি খাবার যে চলটি শুরু হয়েছে তার সঙ্গে মিল রেখে প্রিন্স রেস্তোরা সেহরি খাবরের ব্যবস্থা রেখেছে। ম্যানেজার জনাব কামাল বললেন,
“আমাদের এখানে সেহেরি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ,২০-২৫ জন আমাদের এখানে সেহেরি খেতে পারবে ।”
সেহরি খেতে কি শুধু ইয়াংরা আসেন? এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু তরুণরা নয়, মধ্য বয়সীরাও আসেন।
আর ইফতারির কাস্টমার হিসেবে রয়েছে-
কিশোর থেকে শুরু করে মধ্যে বয়সের মানুষেরাও ।
প্রিন্স রেস্তোরাতে যেগুলো ইফতারের আইটেম বেশি বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর হচ্ছে-
১) চিকেন গ্রিল ( ছোট,মাঝারি,বড়) ১২০/২৪০/৪৮০ টাকা।
২) বেগুনী প্রতি পিছ ৮ টাকা ।
৩) পেয়াজু প্রতি পিছ ৮ টাকা ।
৪) আলুর চপ প্রতি পিছ ৮ টাকা ।
৫) ডিম চপ প্রতি পিছ ২৫ টাকা ।
৬) জিলাপী প্রতি কেজি ২৮০/ ২৫০/২০০ টাকা ।
৭) দই-বড়া প্রতি পিছ ৩৫ টাকা ।
৮) হালিম ১২০ টাকা ।
৯)জালি কাবাব ৩০ টাকা ।
১০) বটি কাবাব ১২০ টাকা ।
মহাখালি থেকে নিউ এয়ারপোর্ট যেতে বনানী কাকলীর ফুট ওভার ব্রিজ থেকে একটু সামনে পশ্চিমপাশে প্রিন্স রেস্তোরা । সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এমনকি ঠিকানাটাও মনে রাখা সহজ। ঠিকানা : ১০২/৮ ঢাকা -১২১৩ টি অবস্থিত ।
Leave a Reply