সারাক্ষণ ডেস্ক
অনেকের জন্যেই টেনিস এবং অলিম্পিকের মিশ্রণটা বেমানান এবং এমনকি এবারের প্যারিস অলিম্পিকেও একই রকম। একমাসের ও কম সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াররা রোলান্ড গ্রারোসের রেড ক্লে ছেড়ে এখন তারা প্যারিসের দিকে ছুটছেন যখন তারা হার্ডকোর্ট সুইংয়ে ফেরার জন্যে নর্থ আমেরিকায় থাকার কথা। প্রায় ১২ বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকের দিনগুলিতে খেলোয়াররা শুধু শহরের চারিদিকে ঘুরতেন যেমন উইমবলডন থেকে অলিম্পিক ভিলেজ পর্যন্ত তারপর অল ইংল্যান্ড ক্লাবে যেতেন।
এবছরটা ক্লে থেকে ফেরার, টেনিসে সবচেয়ে ধীরগতির তল থেকে উইমবল্ডনের ঘাসে তারপর আবার স্লো ক্লে তে। সবশেষে নর্থ আমেরিকার হার্ডকোর্টে ইউএস ওপেনের জন্যে। পোল্যান্ডের ইগা সুইয়াটেকের মতো খেলোয়ারদের জন্যে এটা স্বর্গ। ইগা, এখন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস ক্লে কোর্টের মাস্টার। তিনি একমাত্র খেলোয়ার যিনি প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্যে ছুটছেন এবং তিনি সোনা জিতেই ফিরবেন বলেই মনে হয়।
তিয়াফো, সিয়েরালিওনের অভিবাসী , যার দেশপ্রেম অনেক গভীর বলেন, এটা খুবই কঠিন ডাক ছিল কিন্তু এতটা না যে সোনা জিততে হবে। তিনি একজন বাস্কেটবল খেলোয়ার । তিনি ভাবছেন এখনই একটা সময় যখন লি ব্রন জেমস এবং স্টিফেন কারি অলিম্পিকে খেলবেন। তিয়াফো বলেন, এটা সত্যিই আইকোনিক হবে, কারন তিনি এখনো আত্মবিশ্বাসী যে তিনি তার দলকে জিতিয়ে আনতে পারবেন।
নোভাক জকোভিস
বেলারুসের আরিনা সেবালেংকা, দুইবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন এবং তিউনিসিয়ার ওনস জাবিউর, তিনবারের গ্রান্ডস্লাম ফাইনালিস্ট অলিম্পিকে অংশগ্রহণের পাশ নিয়েছেন কিন্তু তার ইনজুরির জন্যে শংকায় আছেন।জাবিউরি বলেন, “আমি খুবই আগ্রহী যে, খেলোয়াররা কিভাবে অলিম্পিকে খেলে আবার হার্ডকোর্ট সিজনও খেলে। আসলে এটি খুবই কঠিন ব্যাপার ।”
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ডেভ হ্যাগার্টি
প্রায় ৪ দশক পরে ফিরে আসার পরে অলিম্পিকে টেনিস সত্যিই এখন অস্বাভাবিক হয়ে গেছে।যদিও এখানে বিশ্বের বড় বড় খেলোয়ারদের নাম ফিচারিং হয়েছে এবং সোনা জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে তবুও গ্রান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট টাইটেল জেতার মতো অতটা সম্মানের হবেনা।
প্রচুর খেলোয়ার সপ্তাহ কাটাতে আসবে কারন সেইন নদীর তীরে ১০,০০০ বেস্ট খেলোয়ারের মিলন মেলা বসেছে এই অলিম্পিকে।
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ডেভ হ্যাগার্টি বলেন, অলিম্পিকে টেনিসের নতুন করে প্রবেশে ১৯৮৮ থেকে এর উন্নয়নের চাবির ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
কার্লোস আলকারেস
অংশগ্রহণও প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ১৯৮৮ সালে ১০৪ টি দেশ টেনিস খেলতো এখন সেখানে বেড়ে ২১৩ টি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫৭ টি দেশ (মেন্স) ডেভিস কাপের ন্যাশনাল টিম ইভেন্টে এবং বিলি জিন কিং কাপে ১৩৮ টি(ওমেন্স) প্রতিযোগিতা করেছিল ।হ্যাগার্টি বলেন, “এগুলি সনাতনী টেনিস দর্শক নয়। এটা ভিন্ন ধরনের দর্শক পাওয়ার জন্যে আমাদের একটি সুযোগ।”
Leave a Reply