শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-৪৯)

  • Update Time : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ১০.০০ পিএম

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


সেদ্ধ করার সময় একটি দন্ডের আগায় কাপড় বেঁধে সেই দন্ড দিয়ে এগুলো নাড়া হয়। নীলের দানা যাতে তলায় লেগে না যায় সেজন্যে এই ব্যবস্থা। অতিরিক্ত তাপের জন্য কখনও কখনও এই গলানো নীল পাত্রের বাইরে পরে যেতে নেয়, তখন হয় তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়া হয় নয় পাত্রের মধ্যে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়। নীলের দানা দুঘণ্টা সেদ্ধ করলেই চলে তবে কোনো নীলকর পাঁচ ছয় ঘণ্টাও জ্বাল দেন। এতে খরচ বাড়া ছাড়া আর কোনো লাভ হয় বলে মনে হয় না।

সেদ্ধ হওয়ার পর আগুন নিভিয়ে ফেলে বয়লারের মধ্যে কয়েক বালতি পানি দেয়া হয়। এতে নীলের দানা নিচের দিকে তলানির মত জমা হয়। তবে যখন ৩০ ডিগ্রী রেমার-এ (৩৭.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) কমে আসে তখন নীলের দানাগুলো বেশিমাত্রায় তলানির মত নিচে জমা পড়ে। এরপর বয়লারের গায়ের উপরের দিকে ছিপি খুলে দিয়ে উপরের পানি, পানিতে ভাসমান সব ময়লা ফেলে দেওয়া হয়। অনেক নীলকর দানাযুক্ত পানিও ফেলে দেন। কিন্তু এতে পরিশোধনের ঝামেলা বাড়ে।

আগাগোড়া প্রতিটি পর্যায়ে নজর রাখতে হয় যাতে নীলের দানাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। এজন্যে প্রত্যেক বার নীল সেদ্ধ করার আগে ভাল করে বয়লার ধুয়ে নিতে হয়।

পরিশ্রুতকরণ

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024