পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল
অনুবাদ : ফওজুল করিম
বঙ্গদেশের নীলকুঠিগুলিতে সবচেয়ে অবজ্ঞার স্থান হল এই চুল্লি। চুল্লি দিয়ে বয়লার গরম করা হয় এবং এভাবে তাপের সাহায্যে নীলের মন্ড সেদ্ধ করা হয়। বঙ্গদেশে আমি প্রায় তিরিশটি নীল কারখানা পরিদর্শন করেছি অথচ একটিতেও এ ক্ষেত্রে সন্তোষজনক ব্যবস্থা দেখিনি। সব বয়লারে একই জ্বালানী ব্যবহার করা হয়ঃ তা হল নীলখড়ি। সেদ্ধ হবার পর নীলের গাছের ছাল ছাড়িয়ে নেবার পর কাঠের দন্ড থাকে তাকে বলে নীলপড়ি, যেমন পাট গাছ ভেজানের পর তার গা থেকে পাট-ছাল তুলে নেবার পর যে দন্ড থাকে তাকে বলে পাটখড়ি। পাটখড়ির মতই নীলখড়ি জ্বালালে তা থেকে যে প্রচন্ড তাপ বের হয় তাতে বয়লার বেশ ভালই গরম হয়। চুল্লীতে এখন যে নীলখড়ি ব্যবহার হচ্ছে তা আগের মওশুমে সংগ্রহ করা।
প্রথমবার কাটা হচ্ছে
দ্বিতীয় বার ফাটা হচ্ছে
Leave a Reply