সারাক্ষণ ডেস্ক
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাইকোর্ট বলেছেন, সব মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।
আন্দোলনে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শুনানি চলাকালে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বিত বেঞ্চ।
আদালত বলেন, সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৪ দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’ গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের জরুরি বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের নেতারা মনে করেন বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, শিবির তাদের দোসর উগ্রবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে। অতিসম্প্রতি চোরাগোপ্তা হামলা করে এবং গুলিবর্ষণ করে সরকারের ওপর দায় চাপাতে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ মানুষ হত্যা করে লাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছে। এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যে প্রক্রিয়ায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী এ অপশক্তিকে নির্মূল করা প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ দল মনে করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, তাদের শিক্ষাজীবনের সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে সরকারকে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নেতারা আশা করেন কোনো শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সেই বিষয়টিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, জনগণের জানমাল রক্ষার লক্ষ্যে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।’
দেশের জনগণের মধ্যে পরিপূর্ণ স্বস্তি আনার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর অগ্রণী ভূমিকার জন্য তাদের প্রতিও ১৪ দলের নেতারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সভাপতি হাসানুল হক বলেন, ‘আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ এখনো বন্ধ করেনি। তাই মনে করি বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা, গণতান্ত্রিক ধারা, রাজনীতিকে রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সশস্ত্র গোষ্ঠীর রাজনীতি ধ্বংস করার লক্ষ্যে তা নিষিদ্ধ করা দরকার। আজকে ১৪ দলের সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জামায়াত-শিবিরকে সংগঠনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বিকল্প উপায়ে কেউ কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন। কিন্তু, ব্যবহার করতে পারলেও সকলেরই অভিযোগ ‘ফেসবুকের গতি খুবই ধীর’। তবে, এই ধীরগতির ফেসবুকেও একটি চমকপ্রদ বিষয় লক্ষ্য করছেন সবাই।
লাল রক্তে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। কারো আইডিতে প্রবেশ করলে যেমন লাল রঙ দেখা যাচ্ছে। তেমনি, কারো পোস্ট দেখতে গেলেও চোখে পড়ছে লাল রঙ। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ বাংলাদেশি নিজেদের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে লাল রঙ সেঁটে দিয়েছেন।
কিন্তু, এর কারণ কি? নরওয়ের অসলো ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত বাংলাদেশি গবেষক মুবাশ্বার হাসান নিজের প্রোফাইল পিকচার লাল রঙে পরিবর্তন করেছেন যার মধ্যে একটি প্রতীকী ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র লেখা আকৃতির একটি মানবদেহকে হামলা করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী টিপুর লাল প্রোফাইল পিকচারে লেখা, “আহারে মৃত্যু!! হায়রে স্বাধীনতা!!” বিবিসির সাংবাদিক আকবর হোসেন লাল রঙে রাঙিয়ে লিখেছেন, “পাঁচ বছর পর কাভার ফটো পরিবর্তন করলাম।”
প্রবাসীরাও পিছিয়ে নেই। সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি অনিতা শফিক নিজ প্রোফাইল পিকচার লাল রঙে রাঙিয়েছেন। তিনি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে “একটি অসুস্থ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে” কে বাদ দিয়ে লেখা হয়েছে “একটি অসাধারণ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে”।
নুসাইবা মরিয়ম সুবহা নামের জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল পিকচারে সম্পূর্ণ মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাখা এক শিক্ষার্থীর প্রতিকৃতি।
Leave a Reply