সারাক্ষণ ডেস্ক
খবর ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘Broken record’: India rips Pakistan for CAA, Ram temple remarks at UNl’.
খবরে বলা হচ্ছে, ‘জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াই উপলক্ষে আন্তর্জাতিক দিবসে শুক্রবার (১৫ মার্চ) একটি ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ১১৫ দেশ ভোট দেয়। তবে পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপন এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্যসহ ৪৪টি দেশ।
প্রস্তাবের বিপক্ষে কোন দেশ ভোট দেয়নি। সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশনে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ নিয়ে পাকিস্তান প্রস্তাব তুলে। ওই প্রস্তাবের ভোট দেয়নি ভারত। প্রস্তাব উত্থাপনের সময় পাকিস্তানের দূত মুনির আকরাম ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রসঙ্গ টানেন। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতের দূত। রামমন্দির ও সিএএ নিয়ে পাকিস্তানকে ‘ভাঙা রেকর্ড’ বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ইসলামাবাদকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সেখানে স্থবির হয়ে আছে।€জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাব গ্রহণের সময় ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দেন কম্বোজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যাকে ঘিরে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘কী ঘটেছিল অবন্তিকার সঙ্গে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সোচ্চার ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছিলেন প্রাণোচ্ছল, প্রতিবাদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য। হঠাৎই সাঙ্গ হলো সব। ফেসবুক স্ট্যাটাসে এক সহপাঠী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার পর জোড় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। অবন্তীকা মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সেখানে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহাকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু স্ট্যাটাসে তার সঙ্গে কী ঘটেছিল তার পরিষ্কার কিছু লিখেননি। অবন্তীকার মৃত্যুর পর এই প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে যে কী এমন ঘটেছিল তার সঙ্গে যে কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। শুক্রবার অবন্তীকা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের এক অংশে লেখেন- আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এত ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইছিলাম। এটা সুইসাইড না, এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। পোস্টের শুরুতে তিনি লেখেন- আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ফেসবুকে এই পোস্ট দেবার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থী।
গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ‘কনসার্ট ফর জহির’ নামে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অবন্তীকা। সেখানে আত্মহত্যা প্রতিরোধে নানা সচেতনামূলক কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি ছিলেন নিজ বাড়ি কুমিল্লায়। এর আগে ১৯শে ফেব্রুয়ারি অবন্তীকাদের ব্যাচের একটি ব্যক্তিগত ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দেখা যায়, আম্মান অবন্তীকাকে শাসিয়ে ম্যাসেজে লিখছেন- ফারদার এই ধরনের টেক্সট এই জাতীয় গ্রুপে আসলে ভালো হবে না। মেডেল গলায় ঝুলিয়ে দিবোনি। এর রিপ্লেতে অবন্তীকা লেখেন- কিছু বাদ রাখচো নাকি থ্রেট দিচ্ছো যে? রিপ্লেতে আম্মান লেখেন- এখন পর্যন্ত খুব সসম্মানে আছিস। এখান থেকে বের হয়ে যা। গায়ে পাড়া দিয়ে কোনো কিছু খাড়া করলে গাড়া মুরদা তুলে কাউকে ধুতে সময় বেশি নিবোনা।
গালফ নিউজের প্রধান শিরোনাম, ‘Saudi Arabia launches new app to manage crowds at Prophet’s Mosque’.
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজের জায়গা মিলবে কি না, তা মুসল্লিদের আগেই জানাতে নতুন অ্যাপ চালু করল সৌদি আরব। এর ফলে নামাজের জায়গায় বাড়তি ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে । মসজিদে নববির ‘স্ট্যাটাস অব প্রেয়ার প্লেসেস’ নামে এই অ্যাপ মসজিদে যাওয়ার আগে সেখানে স্থান সংকুলান সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাবে। মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজের জায়গায় যাওয়ার নির্দেশনা দিতে মসজিদের দায়িত্বে থাকা সৌদি রাষ্ট্রীয় সংস্থা অ্যাপটি চালু করেছে । মসজিদে নববির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বলছে, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় এই অ্যাপ পাওয়া যাবে। নামাজের সময় মসজিদের বিভিন্ন অংশে ধারণক্ষমতার অবস্থা বোঝাতে অ্যাপে বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হবে। সবুজ রং মানে জায়গাটি খালি আছে; হলুদ মানে ভিড় আছে; গোলাপি মানে মানুষে পূর্ণ; ধূসর মানে হলো সেখানে যাওয়া যাবে না।
এই অ্যাপ পরিষেবার মাধ্যমে মুসল্লিরা সহজে মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন এবং মসজিদ থেকে বের হতে পারে। এ ছাড়া ইসলামের পবিত্র মাস রমজানের সময় ভিড়কে সুশৃঙ্খল রাখার পরিকল্পনায় সহায়তা করবে। গত সোমবার থেকে সৌদি আরবে রোজা শুরু হয়েছে। মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য এটি শীর্ষ মৌসুম। এ সময় লাখো মুসল্লি একত্রিত হয়। মক্কায় ওমরাহ পালনের পর অনেকেই মদিনায় মসজিদে নববিতে নামাজ আদায়ের জন্য যান। এ ছাড়া শহরটির অন্যান্য ইসলামি গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। মসজিদে নববির দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিকে সেবা দিতে তারা ভালোভাবে প্রস্তুত। রমজানে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে ইফতার বিতরণ করবে তারা। পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে মাসজুড়ে প্রায় ২৫ লাখ বোতল জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন বেড়ে যাওয়া নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘দাম বেঁধেই দায় শেষ, বাস্তবায়নে ঠনঠন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজানের শুরু থেকেই বাজার ‘ঠান্ডা’ রাখতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কোমর বেঁধে মাঠে নামে। বাণিজ্য, খাদ্য, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যখন একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ছিল না কোনো হেলদোল। দরদাম স্থিতিশীল রাখতে বাজারে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের, তবে কাজের বেলায় তারা যেন ‘কুম্ভকর্ণ’। আচকা চতুর্থ রমজানে এসে ঘুম ভাঙে তাদের। গত শুক্রবার বিকেলে ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সংস্থাটি। ‘যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ’ করে দিয়েই যেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্ম শেষ, যার প্রমাণ মিলেছে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে। যে প্রতিষ্ঠান দামের ফর্দ সাজিয়েছে, সেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের ছায়াও দেখা যায়নি বাজারে। দোকানে দোকানে ঝুলছে পুরোনো তালিকা। দাম নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো। রাজধানীর অন্তত ছয়টি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই অধিদপ্তরের দাম মানছেন না। ২৯ পণ্যের মধ্যে একটিও নির্ধারিত দামে বিক্রি হতে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৯ পণ্যের দামের তালিকা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মনগড়া। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা না বলেই রমজানে গণমাধ্যমের নজরে আসতে সংস্থাটি দাম নির্ধারণের মতো কৌশল নিয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, শুধু মুখে না বলে সরকারের উচিত প্রতিটি ধাপে পণ্যের মজুত পর্যালোচনা করা এবং বাজারে যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে মাঠে না নামালে অবস্থার বদল হবে না।
এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কার্যকর করা কঠিন। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে নতুন দরের পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। তাই তারা এখন উৎপাদন ও মজুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং এসব পর্যায়ে নির্ধারিত দাম কার্যকরের বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এসব স্তরে দাম স্বাভাবিক হলে খুচরায় নির্ধারিত দর কার্যকর হবে বলে মনে করেন তারা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় রাজধানীর চারটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে– মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, সবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে কার্যকর হয়নি। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখনও বিক্রি হচ্ছে না কোনো পণ্য। রাজধানীর টাউন হল বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৮০ টাকায়। অথচ গতকাল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দেয় ৬৬৫ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়। খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা, বকরির (ছাগল) মাংস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ৮০ টাকায়, ১৮০ টাকার আদা ২০০ টাকায়, ১২০ টাকার রসুন ১৫০ টাকায়, ৯৮ টাকার ছোলা ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, ৬৬ টাকার পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুগডাল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, মটর ডাল ১৬০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির লাল ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, সাদা ডিম ৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম করা হয়েছে, ‘কর্মসূচি নেই, তবে যোগাযোগ আছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দুই মাস পার হয়েছে। এখনো যুগপৎ আন্দোলন-কর্মসূচিতে ফেরেনি বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভোটের পর কর্মসূচি না থাকায় যুগপৎ আন্দোলনে ছন্দপতন হয়েছে। সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের মুখেও গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে পেরেছে ক্ষমতাসীনেরা। এমন পটভূমিতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের অন্য দল ও জোটগুলোতেও কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে; থমকে গেছে দলগুলোর ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক একাধিক দল ও জোটের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশকে কারাবন্দী করায় আন্দোলনের গতি কমে যায়। এর রেশে কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে। তবে এ মুহূর্তে যুগপৎ কর্মসূচি না থাকলেও আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির সঙ্গে মিত্র দলগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক জোটের সঙ্গে বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। এখন ভোট বর্জনকারী বিভিন্ন দল ও জোট যার যার মতো করে কর্মসূচি পালন করছে। থমকে গেছে যুগপৎ আন্দোলন। তবে বিএনপির সঙ্গে মিত্র দলগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। তারা আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করছে।
বিএনপি ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নামে দুটি জোট করে অংশ নিয়েছিল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে। এবার নির্বাচনের আগে দুই জোট ভেঙে দিয়ে বিএনপি একাধিক জোট ও দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে। এর মধ্যে বাম ঘরানার ৫–দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, পুরোনো ২০–দলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে গঠিত ‘১২–দলীয় জোট’ ও ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ অন্যতম। এর বাইরে অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), এবি পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশ রয়েছে। সবাই এখনো বিএনপির সঙ্গেই আছে।
সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, চলতি রমজান মাসে বিএনপিসহ কয়েকটি দল পৃথক ইফতার অনুষ্ঠান করবে। এই রোজায় ইফতারের মাধ্যমে ভোট বর্জনকারী দলগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করবে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২১ মার্চ চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরতে পারেন। তিনি ২৪ মার্চ কূটনীতিক এবং ২৮ মার্চ রাজনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এই অনুষ্ঠানে ভোট বর্জনকারী সব দলকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে।
যুগান্তরের প্রথম পাতার শিরোনাম হল, ‘সাড়ে ১২ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পান না’।
প্রতিবেদনে মূলত, পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫২ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না। এটি ২০২১ সালের হিসাব। বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি বছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকতে পারে। শনিবার সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো আগামী অর্থবছরেও সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট দিতে যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে বাজেটে কাঠামোগত সংস্কার ও মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই আগামী বাজেটে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মধ্যমেয়াদি সংস্কার এবং সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব আরও বাড়ানো।
মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং টুফটস ইউনিভার্সিটি ২০২১ সালে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের ১২ কোটি ৫২ লাখ মানুষ পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে না। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটি আরও বিশাল হবে। সিপিডি বলছে, নানা কারণে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এরমধ্যে রয়েছে-বাজারের বিভিন্ন কারসাজি, কিছু শক্তিশালী কোম্পানির বাজারে আধিপত্য এবং সরকারের প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণের অভাব। সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে-মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, বেসন, ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, মাংস, কাঁচামরিচ, চিড়া, মুড়ি, খেজুর এবং বেগুনসহ রমজানকেন্দ্রিক পণ্য। প্রতিবছরই রমজানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখানে সফলতা খুব কমই আসে।
কালের কণ্ঠের শিরোনাম হল, ‘ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে ৮.৬১ শতাংশ রোগী’
প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে বলা হচ্ছে, তিন মাস বয়সী তন্বী। শিশুটির জ্বরসহ আরো কিছু সমস্যা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। প্যাথলজি পরীক্ষায় দেখা যায়, শিশুটি ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। চিকিৎসক জানালেন, বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক আপাতত তার শরীরে আর কাজ করবে না।উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার মা-বাবা।
জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা বিশ্বব্যাপীই চিকিৎসাবিদ ও স্বাস্থ্য প্রশাসকদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশে তন্বী নামের তিন মাস বয়সী শিশুটির মতো হাজারো শিশু আছে, যাদের শরীরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। যথেচ্ছ ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশ ও খাদ্য থেকে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করা এর অন্যতম কারণ।অনেক ক্ষেত্রে পোলট্র্রি, মাছ ও গরু-খাসির খামারে পশুর চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে ৮.৬১ শতাংশ বহু ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স বা এমডিআর) ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। এর মধ্যে ২৯.২ শতাংশের বয়স ২০ বছরের কম। এদের অনেকেই শিশু। ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এর হার ৫৭.৬ শতাংশ।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সাত মাস এ গবেষণাটি চালিয়েছে। এতে অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১২টি বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) সরকারি হাসপাতালের ১৩ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৪৯টিতে বহু ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া যায়।
সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘ সৌরবিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি ক্রয়মূল্য ভারতে সাড়ে ৩ টাকা, বাংলাদেশে ১০-১১ টাকা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে গত বছরের জুলাইয়ে মোট দুই হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সোলার এনার্জি করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এসইসিআই) ডাকা দরপত্রে অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেয়েছে ছয় কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ভারতের যেকোনো জায়গায় চুক্তিতে উল্লিখিত সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারবে। এগুলো পরিচালনা হবে ‘বিল্ড-ওউন-অপারেট’ মডেলে। ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এসইসিআই তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করে স্থানীয় বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসইসিআইয়ের ক্রয় চুক্তিতে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে দশমিক শূন্য ৩২ সেন্ট। সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী ভারতীয় মুদ্রায় এ মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) ২ রুপি ৬০ পয়সা। আর বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ টাকা ৫২ পয়সায় (প্রতি ডলার = ১১০ টাকা ধরে)।
এর চেয়ে সামান্য কিছু কম মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে স্থানীয় দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এসজেভিএন গ্রিন এনার্জি। রাজস্থানভিত্তিক দুটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে মোট ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ে সম্প্রতি ২৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশটির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, এর মধ্যে একটি প্রকল্প থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) ২ রুপি ৫৭ পয়সায়। বাংলাদেশী মুদ্রায় হিসাব করলে এ ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ টাকা ৪০ পয়সায়। আরেকটি প্রকল্প থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) ২ রুপি ৬২ পয়সায় (৩ টাকা ৪৭ পয়সা)।
Leave a Reply