নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস তার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এক সদস্যের পরিবর্তে এক তিন সদস্যের কমিশর করে বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে গত ১৮ জুলাই ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছিল। গত বুধবার কমিশনের কার্যপরিধি বাড়িয়ে পৃথক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে তদন্ত কমিশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরী। এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতা ও সংঘর্ষে নিহদের মৃত্যুরকারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজ করবে এ কমিশন। এর আগে বুধবার তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়ানো হয়েছিল।
এর আগে গত ১৮ জুলাই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ছয়জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য এই কমিশন করা হয়েছে। ছয়জন নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
গত বুধবার জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপনে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে তদন্ত কমিশন গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও করপোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে বলেও সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
কমিশনকে ‘দ্য কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী তদন্তকাজ সম্পন্ন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে দাখিল করতে বলা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
Leave a Reply