‘কি বলতে চেয়েছিলি?’
‘না আজ থাক। এখন আর ভালো লাগছে না। এখানে সে রকম পরিবেশ নেই। পচা নালী ঘা-র মতো থুকথুক করছে, অন্য কোথাও বসা উচিত ছিলো আমাদের-‘
‘পরিবেশ-টরিবেশও আছে এর মধ্যে, ব্যাপার কি?’
‘দোহাই তোর, জোর করিস না-‘ অসহায় ভঙ্গিতে মুরাদ বললে,
‘ আজ আর কিছু ভালো লাগছে না!’
‘তুই আমার রাত্রির ঘুম নষ্ট করছিস!’
‘তোর তো রাত্রে ঘুমই হয় না-‘
‘খচড়ামি রেখে কি বলতে চেয়েছিলি বল, ভণিতার কি দরকার।’
‘তুই আমাকে জোর করছিস, কিন্তু আমি জানি শুনলে তোর মন খারাপ হ’য়ে যাবে। তবু তোকে বলা দরকার, সেই জন্যেই যেতে চাচ্ছিলাম তোর কাছে।’
‘বুঝলাম তো, তারপর?’ খোকা বড় বড় চোখে মুরাদের দিকে তাকালো। অবসন্ন মনে হয় মুরাদকে; মানসিক শ্রান্তিতে একটু একটু ক’রে ভেঙে পড়ছে সে।
‘তোর মন খারাপ হ’য়ে যাবে খোকা, বরং শুনে কাজ নেই-‘
‘প্যানপ্যানানি রেখে খুলে বল যা বলার।’
‘কথা দে, সব শুনে আমাকে ঘৃণা করবি না।’
‘ব্যাপার কি, সিফিলিস নাকি?’
‘কি যা-তা বলছিস!’
‘সিফিলিস যা-তা ব্যাপার হ’লো? বোদলেয়রের ছিলো না?’
‘আমি তো আর বোদলেয়র নই।’
‘হ’তে কতোক্ষণ! এই যে এতো ভ্যারেন্ডা ভাজলাম তাতেও কি তুই খচড়ামিটা তোর আজন্মকালের ঘোড়ারোগ। সব কথা বুঝেও না বোঝার ভান ক’রে আমার কাঁধে গায়ের জোরে একটা মত চাপাতে চাচ্ছিস তুই।’
Leave a Reply