বিশেষ প্রতিবেদক
একসময় পদ্মা নদীর নৌপথ ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। রাজশাহী থেকে নৌপথে পণ্য পারাপার হতো দুই দেশের মধ্যে। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত হযরত সুলতান শাহের মাজারের পাশে এই নদী বন্দর চালু ছিল। ১৯৬৫ সালে এই নৌপথটি বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবারও রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চালু হল আন্তর্জাতিক এ নদী বন্দরটি। গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার মায়া এলাকা পর্যন্ত নৌ রুটে শুরু হল পণ্য পরিবহন।
দেশের পাথর আমদানি ব্যয় অন্তত ৩ দশমিক ৫০ কোটি মার্কিন ডলার কমানোর প্রধান লক্ষ্য নিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর চালু হল।
ভারতীয় মায়া নদীবন্দর থেকে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দরটি মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে, যা ভারতের পাকুড়, ঝাড়খণ্ড, নলহাটি, রাজগ্রাম এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পাথরের সবচেয়ে বড় উত্সের কাছাকাছি।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ওমান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভারত থেকে পাথর আমদানিতে ২০ ডলার এবং ভারত থেকে অল্পকিছু স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ ডলারের মধ্যে ব্যয় হচ্ছে। সুলতানগঞ্জ-মায়া নদীপথে পাথর পরিবহন খরচ প্রতি মেট্রিক টন ১০ মার্কিন ডলারের বেশি হবে না।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনের পরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সারাক্ষণকে বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে এই নৌপথে পাঁচটা প্রোডাক্ট যাবে। মাছ, ঝুট ও পোশাক সহ আরো দুটি পণ্য। আর ভারত থেকে তো পাথর আসছেই। আর সুলতানগঞ্জ থেকে এখন নিয়মিত বাণিজ্য চলবে, কারণ এখানে পর্যপ্ত জনবল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে যে কোন প্রোডাক্ট এখান থেকে বাণিজ্য করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, নৌপথ সব সময় সাশ্রয়। এখানে যেহেতু ভারতীয় মুদ্রায় স্থানীয়রা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অবশ্যই লাভবান হবে। আর একটা শৃঙ্খলাও আসবে।
তিনি আরো বলেন, আগে যেখানে অনেক পথ ঘুরে জিনিসপত্র নিয়ে আসা লাগতো সেখানে তাতে ২০ ডলার পড়তো। এই পথেআমদানী হলে এখন ৯ থেকে দশ ডলার পড়বে। এতে অবশ্যই বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।পরিবহন খরচ অর্ধেকে নেমে আসছে।
নৌপথের এই নতুন রুট খোলার বিষয়ে মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের এই কানেকন্টিভিটি ও সম্পর্ক কে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির কারণে।
ভারতের কেন্দ্রীয় নৌ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের মায়া বন্দরে পন্যবাহী জাহাজ চলাচল উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় নৌ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।আজকের উদ্বোধনী আনুষ্ঠান উপলক্ষে ভারতের কেন্দ্রিয় নৌ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সারাক্ষণকে জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদির আন্তরিক ভুমিকায় দুই দেশের মধ্যে এই নৌপথ দ্রুত চালু হলো। এই নৌপথ অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার মায়া এলাকা পর্যন্ত পণ্য পরিবহন ছাড়াও মানুষের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। এতে দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাজশাহীতে এই উদ্বোধণ উপলক্ষ্যে সুলতানগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডায়ানেমকি নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে। কারো সাথে বৈরিতা নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্ব এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে । বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্তিত ছিলেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এই নৌ পথ চালু’র প্রসঙ্গে সরাক্ষণকে বলেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আসে তা অনেক ঘুরে আসতে হয়, এতে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি পড়ে যায়। এখন থেকে নৌপথে এলে তার দাম অনেক কমে আসবে। কারণ এই পথ সোজা ও সহজ। এতে খাদ্যপণ্য অনেক কম দামে কিনতে পারবো। তিনি আরো বলেন “অচিরেই এই নৌ রুটের নাব্য বাড়ানোর জন্য খনন কাজ শুরু হবে। যার অর্থায়নের ৮০ ভাগ ভারত দেবে আর ২০ ভাগ বহন করবে বাংলাদেশ । নাব্য বাড়লে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আরও ভালো হবে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। আর যেহেতু মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকায় নৌ রুট চালু হবে এতে ভারত – বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ভালো হবে। মেয়র লিটন, প্যাসেঞ্জার বাহি পর্যটক জাহাজের ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী।
দি হিন্দুর অর্থনৈতিক ম্যাগাজিন বিজনেস লাইনের ডেপুটি এডিটর ও রিজিওনাল কানেকটিভিটি এক্সপার্ট প্রতিম রঞ্জন বসু বলেছেন, রাজশাহী – মুর্শিদাবাদ যে নৌ চলাচল শুরু হয়েছে এ পথটার গুরুত্ব হচ্ছে ঝাড়খন্ড অঞ্চল থেকে যে পাথর যায় সেটা অনেক ঘুরে কলকাতা হয়ে যেত। সেটা এখন সহজে যেতে পারবে। ট্রেনে পাথর নিয়ে গেলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সেদিক থেকে নদীতে যাওয়াই হচ্ছে সব থেকে সহজ এবং সস্তায় পৌঁছে যাওয়া। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নৌ চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রী চলাচলে ট্যুরিজমকে ঘিরে। একটা কাজ হচ্ছে এখানে। মানে ভারতে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে। আর কলকাতা ঢাকা একটা সার্ভিস আছে যেটা বাংলাদেশ থেকে চলছে। এই ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি টুরিস্ট ইন্টারেস্ট প্রচুর আছে। অবশ্যই ধনীরা এগিয়ে আসছে। এদিকটা গ্রো করছে। এজন্যই নদীর দিক থেকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ।
নৌ রুট চালু হবার পর আজ সাড়ে ১১ মেট্রিক টন গার্মেন্টস ঝুট কাপড় নিয়ে ভারতের মায়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এমবি সাইফ সিয়াম শাফিন।
এ উপলক্ষ্যে সুলতানগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি না হতো তাহলে আমরা সুলতানগঞ্জে আসতে পারতাম না, বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে থাকতো, উন্নয়নের চাকা ৭৫ এর মত উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিত। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অর্থবহ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অকুন্ঠ সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনার হাত আরো শক্তিশালী হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডায়ানেমিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে। কারো সাথে বৈরিতা নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্ব এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে । বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। সৌদিআরবসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে।
সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাধীন সুলতানগঞ্জ মৌজাভূক্ত পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারাবছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ মেগা প্রকল্পসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পাথরের চাহিদা রয়েছে। নির্মাণাধীন এসব প্রকল্পগুলোর জন্যআরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান রুটের একাংশ অর্থাৎ মাত্র ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গোদাগাড়ী/সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথটি চালু হবার পরে দু’দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে বাণিজ্য প্রসারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্য প্রসারের বিষয়টি বিবেচনায় এনে গোদাগাড়ী/ সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌ-প্রটোকল রুটটি স্বল্প নাব্যতা সম্পন্ন নৌযানের পরীক্ষামূলক যাত্রা আজ শুরু করা হলো। সুলতানগঞ্জ হতে সড়ক পথে রাজশাহীর দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ হতে সমগ্র উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর এবং পশ্চিম-দক্ষিণ বঙ্গের ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, যশোর এর সাথে সড়ক পথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
ভারতের মায়া পোর্ট অব কল এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানীকৃত সকল ধরণের পণ্য/মালামাল অনায়াসেই উল্লিখিত জেলাগুলোতে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং অনুরূপভাবে উল্লিখিত জেলা হতে বড় বড় কনসাইনমেন্টের বাল্ক কার্গো/মালামাল সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এর মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল চালু হওয়ার পরে সুলতানগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মালামাল পরিবহণ, সংরক্ষণ এবং স্থানান্তরের জন্য জেটি/গ্যাংওয়ে, গোডাউন, ডাম্পিং এরিয়া, পার্কিং এরিয়া এবং আধুনিক মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের ক্রেন, কনভেয়ার বেল্ট ইত্যাদি অবকাঠামো গড়ে উঠেবে। গোদাগাড়ী/সুলতানগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী রাজশাহী এলাকায় ব্যাপক নৌ-বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায় এই নদী পথে বাংলাদেশ ভারতের আমদানি রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি সময় ও খরচ কমবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি তথ্য দেখায় যে, গত বছরের ১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত আড়াই মাসে চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য সমুদ্র বন্দর দিয়ে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬৬৩ ডলার মূল্যের ৩৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বলেন, সুলতানগঞ্জ-মায়া রুটে আমদানির সময় স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করায় ব্যয় আরও কমে যাবে। নদীবন্দরটি স্থানীয় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানও করবে।
আজ প্রথম দিন বাংলাদেশ থেকে ‘সাইফ-সিয়াম-সাফিন-১’ নামক একটি কার্গো সাড়ে ১১ মেট্রিক টন গার্মেন্টস ওয়েস্ট নিয়ে সুলতানগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে মায়াতে পৌঁছায়। মায়া থেকে ১০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে পাথর ‘দেশবাংলা’ নামক একটি কার্গো মায়া থেকে সুলতানগঞ্জ এসে পৌঁছায়।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক সফলতার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিটি) ১৯৭২ সন হতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলমান রয়েছে। গোদাগাড়ী/সুলতানগঞ্জকে পোর্ট অব কল নৌপথ শুল্ক স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
Leave a Reply