শান্ত সমুদ্র
স্বদেশ রায়
সমুদ্র ঠিকই অনেক অনেক বেশি শান্ত হয় কোন এক গভীরতম
জল ও স্থলকে বুকে নিয়ে।
ওই সব শান্ত সমুদ্র বুঝতে দেয় না তার গভীরতা-
বুঝতে দেয় না বুকের ঢেউ এর ঝড়।
তারা হয়তো কখনও কখনও জম্ম নেয়
রাতের গভীরে, কখনও দিনকে রাতের মতো
এক নরম অথচ গাঢ় অন্ধকারে ঢেকে ফেলে।
মানুষেরা বার বার সমুদ্রের কাছে যায়
অথচ জানে না কত জল, কত ধন রত্ম
মিলে নাম তার সমুদ্র।
শুধু গন্ডুষ ভরে জল নেবে যদি
তাহলে সমুদ্রে কেন যাও, তালপুকুর তো যথেষ্ট ছিলো-
এও বোঝে কি মানুষ?
সমুদ্র চিনতে এ পৃথিবীর পথে কখনও কখনও
বালক বা বালিকা ফেলেছে তার পা-
এক পা, দু পা করে পৌঁছে গেছে বার বার সমুদ্রের কাছে –
দেখেছে বার বার উত্তাল সমুদ্র
দেখতে চায়নি শান্ত সমুদ্রকে
জানতে চায়নি ধ্যান গম্ভীর জম্মদাত্রীকে-
কখন ঢেকে ফেলে নরম গাঢ় অন্ধকার।
যেমন সে জানেনি কখনও কত বৃহত ছিলো
অন্ধকার মাতৃগর্ভ।
অথচ প্রতিদিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হয়েছে-
গর্ভজাত হয়ে ঢেউ এর পর ঢেউ তুলে।
তবুও কখনও কখনও গভীর রাত ডাকেনি যে
আয় আয় বলে শান্ত সমুদ্র পানে
এও সত্য নয়-
হয়তো বাতাস বলেনা
কান পাতো, কান পাতো-
শোন নীরব সমুদ্র ডাকিছে তোমারে-
যে ডাকের শরীর জুড়ে আছে
ব্রহ্মান্ডের সকল ক্ষমতার সকল কোমলতা
মাতৃগর্ভের নিশ্চিত বিশালতা।
ঢেউ নয়, ক্ষয় নয়, কেবলই মাতৃগর্ভ শান্ত সমুদ্র
পৃথিবীর চির কাঙ্খিত-
এ জানিবে কবে, কবে, অন্ধকার ও আলো
চোখের মনিতে এসে কবে এক হয়ে যাবে?
Leave a Reply