শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন আরও ‘অবন্তিকা’,  হঠাৎ কেন চালের দাম বাড়ছে?

  • Update Time : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ৪.২৪ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

বণিক বার্তার শিরোনাম, গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে ব্যবসায় শিল্পপতিদের চেয়ে বেশি অর্থ!  

খবরটিতে বলা হয় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ২০২৩ সাল শেষে গৃহিণীদের নামে জমা ছিল ২ লাখ ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার আমানত। পরিমাণের দিক থেকে তা দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আমানতের চেয়েও বেশি। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ব্যাংক হিসাবে মোট আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ৬৩৯ কোটি টাকা। আবার আমানতে প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও দেশের ব্যবসায়ী, প্রবাসী, শিল্পপতি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের চেয়ে গৃহিণীরা এগিয়ে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২০১৯ সালেও গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত তাদের আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬৯ শতাংশ। যদিও বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা ও জরিপ বলছে, দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ নারীর কাছে এখনো ব্যাংক সেবা পৌঁছেনি। শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের বিচারেও দেশের নারীরা এখনো বেশ পিছিয়ে। আবার যৌক্তিক মজুরির ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে অধিকার নিয়েও শোনা যায় নারীর বঞ্চনার অনেক অভিযোগ। উদ্যোক্তা হিসাবে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও নারীরা ব্যাংকগুলোর বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। এত অপ্রাপ্তি, বৈষম্য, বঞ্চনা ও উপেক্ষার গল্পের বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে ব্যাংকে গৃহিণীদের গচ্ছিত আমানতে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন শিডিউলড ব্যাংকস স্ট্যাটিস্টিক্সের সর্বশেষ সংখ্যার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা ছিল ব্যক্তিশ্রেণীর। চাকরিজীবী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, অনিবাসী বাংলাদেশী, কৃষক ও মৎস্যজীবী, অবসরে যাওয়া ব্যক্তি, ছাত্র, বাড়ির মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের নামে এ আমানত ব্যাংকে জমা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৯২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার আমানত রয়েছে চাকরিজীবীদের। আমানতের স্থিতির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে গৃহিণী বা বেগমরা। সে হিসাবে ব্যক্তিশ্রেণীর আমানতের ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশের মালিকানাই গৃহিণীদের। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬৩৯ কোটি টাকার আমানত রয়েছে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ব্যাংক হিসাবে। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ স্বাধীন পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ৬৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।

 

দ্য হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার প্রধান  শিরোনাম ‘Lok Sabha elections 2024: Know if your candidate has criminal background. Here’s how.

খবরে বলা হচ্ছে,  নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দেশটির জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। সঙ্গে তিনি একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালুর কথাও জানান। মোবাইল অ্যাপটির নাম নো ইওর ক্যান্ডিডেট (কেওয়াইসি) বা ‘আপনার প্রার্থীকে জানুন।’ এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাররা জানতে পারবেন, তারা যে নির্বাচনী এলাকায় আছেন, সে এলাকার প্রার্থীদের মধ্য কারও ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড’ আছে কী না।অর্থাৎ, প্রার্থীদের কেউ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে থাকলে সে তথ্য জানাবে এই অ্যাপ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, অ্যাপটি ইতোমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেওয়াইসি অ্যাপ সম্পর্কে আরও জানান, ‘লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের আগের কোনো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার নজির আছে কী না এবং তাদের সম্পদ ও দেনা সম্পর্কে জানার অধিকার আছে ভোটারদের।’ রাজীব কুমার বলেন, ‘ভোটাররা এখন নিজেরাই প্রার্থীদের সম্পদ, দেনা ও অপরাধ সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। এই অ্যাপে এসব তথ্য যোগ করা হবে।’ তিনি জানান, কোনো দল যদি এ ধরনের প্রার্থীকে বেছে নেয় (যাদের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড’ আছে), তাহলে সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। এ ছাড়াও, এ সংক্রান্ত সব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে এমন প্রার্থীদের সব তথ্য সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অন্তত তিনবার প্রকাশ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে সাত দফায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫৪৩টি আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে। ১ জুন শেষ দফায় ভোটগ্রহণের পর নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।

 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের একটি শিরোনাম ছিল ‘Afghanistan highway crash leaves 21 dead’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বাস-ট্যাংকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৮ জন। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের গেরাশক জেলায় এ মর্মান্তিত ঘটনা ঘটে।হেলমান্দের প্রাদেশিক সরকারের তথ্য বিভাগের প্রধান শের মোহাম্মদ ওয়াহদাত জানান, কান্দাহার-হেরাত মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথমে হেরাত থেকে রাজধানী কাবুলগামী একটি বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে করে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জ্বালানি ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখনই আগুন ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটে।হেলমান্দের পুলিশ প্রধানের মুখপাত্র হাজাতুল্লাহ হাক্কানি জানান, আহত ৩৮ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান হেলমান্দের প্রদেশের ট্রাফিক কর্মকর্তা কাদেরতুল্লাহ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয় আফগানিস্তানে ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও একটি তেলের ট্যাংকারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল কয়েক ডজন মানুষ। আফগানিস্তানের ট্রাফিক পুলিশের ডিরেক্টরেটের তথ্যমতে, দেশটিতে গত ১০ মাসে সড়কে ১ হাজার ৬০০ এর বেশি প্রাণ। একই সময়ে আহত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি। আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা। সেখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা নাজুক। ট্রাফিক সিগনালের অভাব রয়েছে। উপরন্তু চালকরাও অসতর্কভাবে গাড়ি চালায়। মূলত এসব কারণেই আফগানিস্তানে সড়কে মৃত্যুমিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রধান  শিরোনাম Rahul Gandhi targets ‘power’ behind PM Modi ‘mask’

প্রতিবেদনে বলা হয়. ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অন্তঃসারশূন্য বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মোদির আসল মূল লক্ষ্য হলো দেশকে লুট করা। রোববার মহারাষ্ট্রের শিবাজি পার্কে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এই কথা বলেন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এই মঞ্চে যাঁরা উপস্থিত আছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দল—বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন না। মোদি স্রেফ একটি মুখোশ। একজন বলিউড অভিনেতার মতো, তাঁকে স্রেফ একটি ভূমিকা দেওয়া হয়েছে।’ নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘তাঁর (মোদীর) কাজ হলো, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, যাতে জাতির সম্পদ লুট করা যায়। তাঁর বুকের ছাতি ৫৬ ইঞ্চি নয়, তিনি স্রেফ একজন অন্তঃসারশূন্য মানুষ।’

প্রতিবেদনে বলা হয় এ সময় মোদির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজ স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ এনে রাহুল আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন, রাজার জীবন ইভিএমের ভেতর। সঠিক বলেছেন তাঁরা। মোদির আসল শক্তি ইভিএম, ইডি ও সিবিআইয়ে। ইভিএম ছাড়া মোদি একটি নির্বাচনও জিততে পারবেন না।’ জনসভায় শিবসেনার একাংশের নেতা উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত জনতাকে গণতন্ত্র রক্ষা ও স্বৈরতন্ত্র উৎখাতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি স্লোগান দেন, ‘এবার বিজেপির জায়গা সীমান্তের ওপার।’

 

 

 

হাফিজের বাসায় গিয়ে ‘কিংস পার্টি’তে যোগ দিয়েছিলেন সাকিব – ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের এরকম একটি খবর ছেপেছে দৈনিক সমকাল।

এতে বলা হয়েছে, কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নতুন এই দল গঠনে নেপথ্যের কারিগর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের নামটিও তাঁর দেওয়া বলে দাবি করেছেন এর নেতারা। শুধু তাই নয়, নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।  বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি সমকাল পেয়েছে। ওই সময়ে দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেজর (অব.) কামরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছেন।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়ই নতুন দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে বলেও আলোচনা রয়েছে। অথচ ইসির সব শর্ত পূরণ করেও নিবন্ধন পায়নি বলে অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বেশ কয়েকটি দল। এর মধ্যে আছে– নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।বিএনএমের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বনানীর বাসায় একাধিক বৈঠক হয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ দলের চেয়ারম্যান এবং সাকিব আল হাসান কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। তারা পরে সুবিধাজনক সময়ে যোগ দেবেন এই আশ্বাস দেওয়ায় দলটির কমিটি গঠনের সময় ওই দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে থেকেই হাফিজ উদ্দিন দলটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত নানা রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ না মেলায় দু’জনের কেউই নতুন দলে যোগদান করেননি।

 

 

 

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, হঠাৎ কেন চালের দাম বাড়ছে? 

এতে বলা হয় বাজারে হঠাৎ বেড়েছে চালের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চালের দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী, চালকল মালিক, বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা বিপরীতমুখী ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। এই মৌসুমে প্রতিবছরই দাম বাড়ে। তাই এবারো বেড়েছে। মিলাররা বলছেন, বাজারে চালের ঘাটতি রয়েছে। দাম আরও বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মত, দেশে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা সেই উৎসবে শামিল হয়েছে। আর সরকারি নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দেশে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত চাল মজুত রয়েছে। দাম বাড়ার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

চালের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ বলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। তাদের কেউ বলছেন, চালের ঘাটতি আছে, কেউ বলছেন পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের এম আর ট্রেডার্সের চাল বিক্রেতা আনিস খান বলেন, দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ আমাদের জানা নেই। শুনেছি ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এই সময়ে চালের দাম বাড়ে। এজন্য হয়তো এবারো বেড়েছে। ঈদের পর নতুন চাল উঠলে দাম কমতে পারে। তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগেও আঠাশ চালের পাইকারি মূল্য ছিল ৪৮ টাকা, সেই চাল এখন পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকা দিয়ে। আর আঠাশ চাল খুচরায় ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মিনিকেট চালের পাইকারি মূল্য আগে ছিল সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। এখন সেই চাল ৬৭ টাকায় কিনতে হচ্ছে। খুচরায় এই চাল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭২ টাকায়।

 

 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন আরও ‘অবন্তিকা’– আজকের পত্রিকা করেছে এমন শিরোনাম।

তাদের খবরের বিস্তারিত হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যৌন নিপীড়নের আরও অভিযোগ প্রকাশ পাচ্ছে। গত কয়েক বছরে সেখানে একাধিক শিক্ষার্থী ও নারী কর্মকর্তা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় তাঁরা অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু বিচার পাননি। এমনকি যথাযথ তদন্তও হয়নি। অবন্তিকার আত্মহত্যা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ওই বিভাগেরই শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। নিজের পরিচয় প্রকাশে কোনো ধরনের রাখঢাক না করেই ক্যামেরার সামনে এই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর করা অভিযোগের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গিয়ে কথা হয় মিমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছি। আমার বিভাগের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগের পর কোনো কাজ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর তারা একটি তদন্ত কমিটি করে। দুই বছর চলে গেছে, কোনো সমাধান নাই। প্রক্টর অফিসে ২০ থেকে ২৫ বার গিয়েছি। তারা আপসে যেতে বলে। আমি আপসে যায়নি।

শুধু শিক্ষার্থী নয়, যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তরের এক নারী উপপরিচালককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে এক প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগপত্রও দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু এ ঘটনার বিচার হয়নি এখনো।

 

 

ত্রুটিপূর্ণ নাট-বল্টু ও স্লিপার দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ – কুমিল্লার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোর শিরোনাম।

এখানে বলা হয়েছে, কুমিল্লায় আজ রোববার ট্রেন দুর্ঘটনার পরপর স্টেশনমাস্টার বলেছিলেন, গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বক্তব্যের সত্যতা পাননি রেলের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা। তাঁদের ধারণা, ২০৮ নম্বর রেলওয়ে সেতুর নড়বড়ে কাঠের স্লিপার ও ত্রুটিপূর্ণ নাট-বল্টু দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনের অদূরে তেজের বাজার রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ সময় অন্তত আধা কিলোমিটার রেললাইন দুমড়েমুচড়ে যায়। লাইনচ্যুত বগিগুলো পাশের মাঠে ও বাড়িতে গিয়ে পড়ে। এতে যাত্রীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরে যাচ্ছিল। বেলা পৌনে দুইটার দিকে তেজের বাজার রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে শিহর চিওড়া ও উরুকুটি এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর হাসানপুর রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার মং গু মারমা বলেছিলেন, গরমের কারণে রেললাইন বাঁকা হয়ে গেছে। এ কারণে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাননি রেলের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা। এখন ধারণা করা হচ্ছে, ২০৮ নম্বর রেলওয়ে সেতুর নড়বড়ে কাঠের স্লিপার ও নাট-বল্টুতে ত্রুটি থাকায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের ইঞ্জিনের হুক খুলে গেলে ইঞ্জিনসহ চালক রক্ষা পান। পরে চালক ইঞ্জিনটিকে হাসানপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যান। দুর্ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। দুর্ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাড়ে চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়।

 

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং , ১৫ বছরে রাজধানীতে ৮৬ খুন– কালের কণ্ঠের একটি বিশেষ প্রতিবেদন এটি।

বলা হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ঢাকায় ১৫ বছলে ৮৬ খুন, যার মধ্যে ২০২৩ সালেই ঘটেছে ২৫টি হত্যাকাণ্ড। আট থেকে দশজনের একটি দল। সবাই কিশোর। শরীরে কালো পোশাক, মুখে মাস্ক, হাতে ধারালো চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র। সড়কের পাশে আড্ডারত চারজন ব্যক্তির ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় দলটি। দুজন দৌড়ে পালিয়ে বাঁচলেও বাকি দুজনকে কোপানো হয় চাপাতি দিয়ে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কিশোর গ্যাংমাত্র ১০ মিনিটের ঘটনা। একই পদ্ধতিতে অন্তত ১০ দোকানি ও পথচারীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে মোবাইল ফোনসহ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে দলের সবাই। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেকের পিসিকালচার হাউজিংয়ে এমন অভিনব গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য মতে, এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং জড়িত। এভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে নিত্যনতুন কায়দায় অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে। এর সঙ্গে উঠে আসছে কিশোর গ্যাংয়ের নাম। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধর থেকে শুরু করে খুনের মতো বড় ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশোর গ্যাংয়ের এমন অপরাধমূলক কাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। তাদের কাছে ক্রমে জিম্মি হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে আদনান কবির হত্যার পর ‘গ্যাং কালচারের’ বিষয়টি নজরে আসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এসব কিশোর গ্যাং শুধু ছিনতাই, চাঁদাবাজি নয়, আধিপত্য বজায় রাখতে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়। ঢাকার শিশু আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের নথি অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে রাজধানীতে কিশোর গ্যাং কালচার ও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ৮৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গত দুই বছরে ৩৪ জন কিশোর নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় গত বছর ২৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, নারীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ প্রভৃতি ঘটনা। এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় খুব নৃশংসভাবে। ছুরিকাঘাত করার পর ইট ও লাঠি দিয়ে মেরে পুরো শরীর, মুখ, মাথা থেঁতলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মৃত্যুর পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে খণ্ডবিখণ্ড করার মতো নৃশংস ঘটনাও আছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024