সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “স্কুল-কলেজ খুলছে, উপাচার্য নিয়ে সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে”
সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষকফাইল ছবি: প্রথম আলো
প্রায় এক মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী রোববার থেকে খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও পুরোদমে চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
তবে সরকার পরিবর্তনের পর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য, সহ–উপাচার্যসহ শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোতে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো যোগ্য কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় এক মাস বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিক্ষায় বড় রকম ক্ষতি হয়েছে। এখন শিক্ষাঙ্গনকে খুব দ্রুত কার্যকর করে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা উচিত। একই সঙ্গে দলীয়করণের বৃত্ত থেকে বের হয়ে পদত্যাগ করা পদগুলোতে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটিগুলো নিয়েও জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এসব পরিচালনা কমিটি কার্যত প্রতিষ্ঠানের খুব একটা উপকারে আসেনি; বরং এসব কমিটির বিরুদ্ধে নানা সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে সরকারি স্কুল-কলেজের মতো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরিচালনা কমিটি ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু”
এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে ধরা পড়তে যাচ্ছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সাবেক এ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরনো হলেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়নি । অবশেষে তার বস্তা বস্তা টাকা ঘুষগ্রহণ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান দল গঠন করেছে দুদক৷ কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন সভায় পাঁচ সদস্যের এ দল গঠন করা হয়েছে। এর প্রধান করা হয়েছে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ৷
এর আগে গত মঙ্গলবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, কমিশন সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ শিরোনাম একটি অভিযোগ জমা হয়। সেটা অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল ফজল মীর ওরফে বাদল, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হোসেন ও উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখের বিরুদ্ধে একই সিন্ডিকেট থেকে দুর্নীতি, অনিয়মের অংশীদার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দুদকের আরেক কর্মকর্তা জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ তদন্ত কমিটি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খোঁজখবর নেবে ৷ কোনো কোনো কর্মকর্তা তাদের লাভজনক পদে পোস্টিংয়ের জন্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় ঘুষ ও উপহার দিয়েছেন, সেটিরও একটি তালিকা করা হবে। এ তালিকায় পুলিশের অন্তত অর্ধশত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “গ্যাস ও জ্বালানি তেলে বকেয়া ১৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে”
এলএনজি ও জ্বালানি তেল আমদানিতে বকেয়ার পরিমাণ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে। বর্তমান বিনিময় হারে প্রতি ডলারে ১১৮ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এলএনজিতে জুলাই পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ডলার। জ্বালানি তেলে বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলারের বেশি। বিপুল এ বকেয়া পরিশোধে জ্বালানি বিভাগকে চাপ দিচ্ছে সরবরাহকারীরা।
জ্বালানি বিভাগসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত ডলারের সংস্থান না থাকায় জ্বালানি আমদানি বাবদ বকেয়া বেড়ে চলেছে। দ্রুত তা পরিশোধ না হলে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। তবে অর্থ বিভাগ থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ও স্পট মার্কেট এলএনজি আমদানি এবং দেশে গ্যাস উত্তোলনকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইওসি) পাওনা চলতি মাস পর্যন্ত বকেয়া পড়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। আর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে বকেয়া রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘এ বকেয়া পরিশোধে সরবরাহকারীদের দিক থেকে এক ধরনের চাপ রয়েছে। তবে অর্থ বিভাগ থেকে নিয়মিত অর্থ পেলে এ জটিলতা থাকবে না বলে আশা করি। সরবরাহকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা আমদানি ও বিল পরিশোধ নিয়মিত রাখলে কোনো ধরনের অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছে।’
দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল আমদানিতে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা বকেয়া ২০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে তা বেড়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হাসিনার ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করতে আমেরিকার কাছে আগেই তদবির করেছিল ভারত”
ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত করার এক বছর আগে, ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করার জন্য মার্কিন সমকক্ষদের কাছে তদবির করেছিল। মার্কিন ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এখবর জানিয়েছে। মার্কিন কূটনীতিকরা গত জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনের আগে ৭৬ বছর বয়সী হাসিনাকে তার হাজার হাজার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সমালোচকদের কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রকাশ্যে হেনস্থা করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসন বিচারবহির্ভূত অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত হাসিনার নেতৃত্বাধীন।
ভারত সরকারের একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন – ‘আপনি গণতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে চিন্তাভাবনা করছেন , কিন্তু আমাদের জন্য সমস্যাগুলি অনেক অনেক বেশি গুরুতর এবং অস্তিত্বের। মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে অনেক কথোপকথন হয়েছিল যেখানে আমরা বলেছিলাম, এটি আমাদের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয়। আপনি আমাদের ততক্ষণ পর্যন্ত কৌশলগত অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন না, যতক্ষণ না আমরা কোনো কৌশলগত বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাই।’ শেষ পর্যন্ত, বাইডেন প্রশাসন তার সমালোচনার সুরকে অনেকটাই নরম করে এবং হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি স্থগিত করে। কিন্তু বিষয়টি বাংলাদেশের অনেককেই হতাশ করেছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে এটি একটি গণনামূলক সিদ্ধান্ত যার সাথে ভারতীয় চাপের খুব একটা সম্পর্ক নেই।
Leave a Reply