সারাক্ষণ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার (Dr. Nahreen Akhtar, Professor, Department of Fetomaternal Medicine )। আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখ বাংলা ১৪৩১ বঙ্গাব্দের ১৭ ভাদ্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এঁর অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, চেয়ারম্যান, ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এর শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হল। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর নিযুক্তির মেয়াদ হবে ৪ (চার) বছর।
অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ১৯৮৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। বিএএফ শাহীন স্কুল এবং হলি ক্রস কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৫ সালে ডিজিও ডিগ্রী এবং ১৯৯৮ সালে বিসিপিএস থেকে এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগে তাঁর শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন উইং এ ২০০৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০১৫ সালে ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গুণী এই শিক্ষক এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় অর্ধশত প্রকাশনা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে গবেষণা কার্যক্রমে গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থান করেছেন।
অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বিসিপিএস, অবসট্রেটিক্যাল এন্ড গাইনেকোলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ কল্পোস্কপি এন্ড সার্ভিক্যাল প্যাথলজি এর আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্যারিনেটাল সোসাইটির কার্যকরী সদস্য।
Leave a Reply