শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৩৫ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাজধানীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ”

রাজধানীর সবুজবাগে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির নাম নাদিয়া খাতুন।

গতকাল রোববার দুপুরের পর সবুজবাগের নন্দীপাড়ার দক্ষিণগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

গতকাল রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নাদিয়ার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ। সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আনা হয়েছে। পাশাপাশি বাসা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে ফার্মেসির লোকজন পালিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মৃত শিশুর বাবা মো. নাসির জানান, গত শনিবার থেকে শিশু নাদিয়া বমি করছিল। পরদিন রোববার আবারও বমি শুরু করলে শিশুর মা রিপা আক্তার তাকে বাসার পাশের ফার্মেসিতে নিয়ে যান। ফার্মেসির লোকেরা তিনটি সিরাপ দেন। একটি বমির, একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং একটি ভিটামিন সিরাপ।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “‘যোগ্য উপাচার্য’ খুঁজতে সময় নিচ্ছে সরকার!”

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদধারীরা পদত্যাগ শুরু করেন। কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কেউ পদত্যাগ করেন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে। ফলে তখন থেকেই শীর্ষ এই পদগুলো শূন্য। তবে শীর্ষপদ শূন্য থাকায় বেতন ভাতা নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা সমাধানে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কীভাবে নির্ধারণ হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ—গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক সমস্যায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। শুধু শীর্ষ পদ নয়, এই পদের বাইরে প্রক্টর ও কোথাও কোথাও বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা পদত্যাগ করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কোথাও কোথাও ঠিকমতো পাঠদানও হচ্ছিল না। নেই কোনো শৃঙ্খলাও, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ—গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক সমস্যায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। শুধু শীর্ষ পদ নয়, এই পদের বাইরে প্রক্টর ও কোথাও কোথাও বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা পদত্যাগ করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কোথাও কোথাও ঠিকমতো পাঠদানও হচ্ছিল না। নেই কোনো শৃঙ্খলাও।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেতন-ভাতা নিয়ে। মাস শেষ হলেও গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়েও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

তবে আপত্কালীন সমস্যা সমাধানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব পালন করতে বলেছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, পদত্যাগ ও অনুপস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল, ক্ষেত্রবিশেষে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই “

দেশে ডলারের বাজারে এ মুহূর্তে কোনো অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে না। স্থিতিশীল হয়ে এসেছে মুদ্রাটির বিনিময় হার। ব্যাংক বা কার্ব মার্কেটে ডলারের সংকট নেই। ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রণোদনাসহ ডলারপ্রতি ১২৩ টাকা পাচ্ছেন, যেখানে খুচরা বাজারে মিলছে ১২১-১২২ টাকায়। হুন্ডির চাহিদা কমায় খুচরা বাজারে ডলারের বিনিময় হার নিম্নমুখী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

যদিও দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে অস্থির ছিল বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। ২০২২ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা। সংকট তীব্র হয়ে ওঠায় বিনিময় হার বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গত আড়াই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। ডলারের দর স্থিতিশীল করতে গত মে মাসে ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও সমাধান মেলেনি, ব্যাংকের ঘোষিত দরের সঙ্গে কার্ব মার্কেটে ডলারের দরের ব্যবধান ছিল ৩-১০ টাকা। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডলারের বাজার ক্রমেই স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু”

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করার পথ ও পন্থা নিয়ে জরুরি আলোচনায় ঢাকা আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু। যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আসছেন তিনি। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড। গত মে মাসে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল আলোচিত মার্কিন কূটনীতিক লু। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডোনাল্ড লু তথা যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিনিধি দলের এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর।

দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র রাতে মানবজমিনকে জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা ছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক চেয়েছে। মধ্যরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ঠিক হয়নি।

সূত্র মতে, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার থাকলেও সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনের অগ্রগতি জানতে চাইতে পারে প্রতিনিধি দলটি। কারণ আগামী দিনে ডিএফসি ফান্ড প্রাপ্তি সহ বাংলাদেশকে যে কোনো অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমমানকে অগ্রাধিকারে রাখবে। বিশেষত: আর্থিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে শ্রম মানের উন্নতি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024