এদের মধ্যে ১৯,৮১৬ জন ঘুমের অপ্রতুলতার মানদণ্ড পূরণ করেছিলেন এবং ১৪ বছরের অনুসরণকালে গবেষকরা দেখেছেন যে যারা সপ্তাহান্তে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত ঘুমিয়েছিলেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা সপ্তাহান্তে সবচেয়ে কম ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় ১৯% কম ছিল।
গবেষণায় দৈনিক ঘুমের অপ্রতুলতা রয়েছে এমন একটি উপদলকেও দেখা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে যারা সপ্তাহান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণমূলক ঘুম পেয়েছিলেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে কম ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় ২০% কম ছিল।
যদিও গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত বাকি অংশগ্রহণকারীরা অপর্যাপ্ত ঘুম অনুভব করেছিলেন, গড়ে তাদের দৈনিক ঘুমের ঘণ্টা ঘুমের অপ্রতুলতার মানদণ্ড পূরণ করেনি।
গবেষণার লেখক, বেইজিংয়ের চীনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের প্রফেসর ইয়ানজুন সং বলেন, “পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণমূলক ঘুম হৃদরোগের কম ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত। সপ্তাহের দিনগুলোতে নিয়মিত অপর্যাপ্ত ঘুম পান এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই সম্পর্ক আরও বেশি প্রকট হয়।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর প্রফেসর জেমস লিপার, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন,আমাদের মধ্যে অনেকেই কাজ বা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে পর্যাপ্ত ঘুম পাই না, এবং যদিও সপ্তাহান্তে দেড়ি করে ঘুম থেকে ওঠা নিয়মিত ভালো রাতের বিশ্রামের বিকল্প নয়, এই বৃহৎ গবেষণার ফলে, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আমরা জানি যে ঘুমের অভাব আমাদের সামগ্রিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং এই গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মরণিকা যে প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের ধরন কীভাবে হৃদয়কে প্রভাবিত করতে পারে এবং আমরা কীভাবে আধুনিক জীবনযাত্রাকে আমাদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য অভিযোজিত করতে পারি তা আরও ভালভাবে বোঝার জন্য আমরা ভবিষ্যতের গবেষণার অপেক্ষায় রয়েছি।
স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৪২৯ জনকে তারা নিজেদের কত বয়স্ক মনে করেন এবং গত মাসে কোনো রাতে, যদি থাকে, তারা খারাপভাবে ঘুমিয়েছিলেন কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। মনোবিজ্ঞান গবেষণায় ব্যবহৃত একটি মানক স্কেল অনুযায়ী তাদের তন্দ্রাচ্ছন্নতাও মূল্যায়ন করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে খারাপ ঘুমের প্রতিটি দিনের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা গড়ে তিন মাস বেশি বয়স্ক অনুভব করেছিলেন।
Leave a Reply