শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কারে সহায়তায় জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্র”

  • Update Time : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.৫৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পোশাক খাতে বিক্ষোভ থামাতে সেই পুরোনো কৌশল”

বিভিন্ন দাবি আদায়ে গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় টানা দুই সপ্তাহের শ্রমিক বিক্ষোভে তৈরি পোশাকশিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুরুতে শ্রমিকদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে উসকানিদাতা, বহিরাগত হামলাকারী ও ঝুট ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন মালিকপক্ষের নেতারা। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রমিকদের দাবি আংশিকভাবে মেনে নেওয়া হয়। তত দিনে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত মাসে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ খাতের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভে নামেন। এ খাতের উদ্যোক্তারা নিজ নিজ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে কিছু দাবি মেনে নেন। ফলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ওষুধ খাতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। আর পোশাকশিল্পে উল্টো চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে বরং খারাপ হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুরে ৯৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। এর বাইরে দেড় শ কারখানায় ওই দিন উৎপাদন ব্যাহত হয়।

তৈরি পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আশুলিয়া। এখানে দেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারখানার অবস্থান। একই সঙ্গে বিজিএমইএর কয়েকজন সাবেক সভাপতি ও বিদায়ী সরকারের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী মালিকদের কারখানাও আছে এখানে। এই মালিকেরাই মজুরিসহ অন্যান্য আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কলকাঠি নাড়েন।

পোশাকশিল্পে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এ অস্থিরতা নিরসন না হওয়ার জন্য মালিকপক্ষের পুরোনো কৌশলকেই দায়ী করছেন শ্রমিকনেতারা।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কারে সহায়তায় জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্র”

তিনদিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকায় আসছে উচ্চপর্যায়ের একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। দুই দেশের ভবিষ্যত সম্পর্ক জোরদারের এই সফরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিভিন্ন খাতে সহায়তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে বিষয়গুলোতে সামনের দিনে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবে দুই পক্ষ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটাই যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি দলের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বলতে গেলে অস্বস্তির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গণতন্ত্র-মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উদ্বেগ জানালেও তা আমলে নেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুইদিনের সফরে ঢাকায় এলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কারও সঙ্গে তার কোনো বৈঠক বা কথাবার্তাও হয়নি। কিন্তু গত মাসে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসছে আলোচনার জন্য।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ ঠিক রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ”

দেশে প্রতি বছর জ্বালানি আমদানি করতে হয় অন্তত ১৩ বিলিয়ন ডলারের। এর অর্ধেকের কাছাকাছি বা ৬ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনে। সামনের দিনগুলোয় এ ব্যয় আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও এজন্য প্রয়োজনীয় ডলারের সংস্থান করা যাচ্ছে না। প্রয়োজনমতো কয়লা, এলএনজি ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে সারা দেশে। শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন খাতেও এর প্রভাব বাড়ছে। গ্যাস সংকটে ব্যাপক মাত্রায় বিঘ্নিত হচ্ছে সার উৎপাদন। জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন প্রাথমিক জ্বালানির (জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লা) সরবরাহ ঠিক রাখা।

দেশে প্রাথমিক জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ খাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খাতটির পরিকল্পনাগুলো আবর্তিত হয়েছে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাব অনুযায়ী, দেশে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েল, ডিজেল ও এলএনজি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতা এখন ২৫ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। এর সিংহভাগই তৈরি হয়েছে গত দেড় দশকে। উৎপাদন সক্ষমতায় জোর দেয়া হলেও উপেক্ষিত থেকেছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংস্থানের বিষয়টি। কিন্তু এসব কেন্দ্র চালানোর জন্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ও অবকাঠামো সক্ষমতা গড়ে তোলা যায়নি। মহাপরিকল্পনাগুলো সাজানো হয়েছে আমদানীকৃত জ্বালানির ওপর ভিত্তি করে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কী বার্তা দেবেন তারেক রহমান”

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ১৪ থেকে  ১৫ বছরে যারা শহীদ, পঙ্গু ও নির্যাতনের শিকার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আজ সমাবেশ  করবে বিএনপি। বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সংগীত, কবিতাপাঠ, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে। ওদিকে আগামীকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করবে দলটি। এই সমাবেশ থেকে দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দিনের সমাবেশের প্রস্ততি নিয়ে যৌথ সভা শেষে এসব কথা জানান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বলেন, গণতন্ত্র দিবসে ১৫ই সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ হবে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এই সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমান অবশ্যই একটি বার্তা দেবেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে কাঁটাছেড়া করতে করতে একটি দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আইন আদালতকে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছেন, এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিল এবং আন্দোলনে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র ফিরে না আসবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024