শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

  • Update Time : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২.০০ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে ৬৬ কোটি টাকা লোকসান”

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। ফলে লোকসানে আছে স্যাটেলাইটটির পরিচালনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। যদিও ‘কৌশলে’ তারা নিজেদের লাভজনক দেখাচ্ছে।

বিএসসিএলের সর্বশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন (২০২১-২২) অনুযায়ী, কোম্পানিটির মুনাফা ৮৫ কোটি টাকা। যদিও মুনাফার এই হিসাব করার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন ধরা হয়নি। অবচয় ধরা হলে মুনাফার বদলে লোকসান দাঁড়াবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরেও প্রায় সমপরিমাণ লোকসান ছিল।

লাভ-লোকসানের হিসাবের ক্ষেত্রে সম্পদের স্থায়িত্বের বিপরীতে বছর বছর অবচয় দেখাতে হয়। ধরা যাক, একটি গাড়ির দাম ১০ লাখ টাকা। এটি ব্যবহার করা যাবে ১০ বছর। তাহলে বছরে গাড়িটির অবচয় দাঁড়াবে ১ লাখ টাকা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর। এর সম্পদমূল্য দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ফলে বছরে অবচয় (স্ট্রেইট লাইন মেথড) দাঁড়ায় প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এর মালিকানা হস্তান্তর করা হয় নতুন কোম্পানি বিএসসিএলের কাছে। এই কোম্পানি গঠন করা হয় স্যাটেলাইটটির পরিচালনার জন্য। তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে (২০২১-২২) স্যাটেলাইটের সম্পদের বিপরীতে অবচয় দেখানো হয়নি। স্যাটেলাইট থেকে আয় দেখানো হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। যদিও ১৮৬ কোটি টাকা অবচয় বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, বিএসসিএল ওই অর্থবছরে লোকসান করেছে (৬৬ কোটি টাকা)।

বিএসসিএলের নিরীক্ষা করেছে এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট বাবদ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিএসসিএল তাদের সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেনি। বিএসসিএলের যুক্তি, বিটিআরসি তাদের সম্পদ বিবরণী থেকে স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য হস্তান্তর করেনি। নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান আরও বলেছে, স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য না দেখানোয় বিএসসিএলের সম্পদ বিবরণী ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের”

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছেন ইউএসএইডের প্রতিনিধি অঞ্জলি কর।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

অঞ্জলি কর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিবে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আজ অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউএসএআইডির ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্র্যান্ট একটি এগ্রিমেন্টের অনুদান সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এখনো বহাল!

এলাকাভেদে স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস ও ভূমিতে প্রতি বর্গমিটারের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণে কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শিত  করার সুযোগ রয়ে গেছে এখনো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ, নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক স্কিম ও ইনস্ট্রুমেন্ট, সব ধরনের ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু বাজেটের সময় ঘোষিত আবাসন খাতে  বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণে কর পরিশোধের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ (কালো টাকা) প্রদর্শিত (সাদা) করা সংক্রান্ত বিধানটি বহাল রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগটি পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও অনৈতিক। এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাতদের অপ্রদর্শিত বা জ্ঞাত উপায়বহির্ভূত আয়কে বৈধতা দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এ ধরনের নিয়ম দুর্নীতি বা অবৈধ পন্থায় আয়কারীদের উৎসাহ ও সুরক্ষা দেয়। আবাসন খাতে বর্গমিটারের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধের পর এর উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না তুলতে পারলে তা সমাজে অস্বচ্ছতা ও অন্যায্যতাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য (শুল্ক ও মূসক) মো. ফরিদ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সব ধরনের সুযোগই বাতিল করা উচিত। এটা অন্যায্যতা, বৈষম্য। সামাজিক ন্যায্যতার প্রতি বড় হুমকি। অন্তর্বর্তী সরকার যদি এটি বহাল রাখে, তাহলে এটা ছাত্রদের আন্দোলনের মূল দাবির প্রতি অন্যায় করা হবে। কেননা এটা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’

আবাসন খাতে কালো টাকা সাদা করতে এলাকাভিত্তিক জমিতে বর্গমিটারে সবচেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয় রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোয়। এনবিআরের এ-সংক্রান্ত পরিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এজন্য ঢাকার গুলশান থানা, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, কাফরুল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজায় স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসে প্রতি বর্গমিটারে ৬ হাজার টাকা এবং এসব এলাকায় জমির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ১৫ হাজার টাকা কর দিতে হবে।

এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকাগুলোয় জমি ও অ্যাপার্টমেন্টের দাম এখন সবচেয়ে বেশি।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ থেকে শুরু”

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। ২০১০ সালের ১লা জানুয়ারি হতে চলতি বছরের ৫ই আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার গঠিত কমিশন অব ইনকোয়ারি এ তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করা যাবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা যাবে।

ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কিংবা ডাকযোগে অথবা কমিশনের ই-মেইলে লিখিতভাবে গুমের অভিযোগের তথ্য জানাতে পারবেন।

কমিশনের কার্যালয়ের ঠিকানা-৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা-তে গিয়ে সরাসরি অভিযোগ করা যাবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024