শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

হাত-পায়ের তালু ঘামে কেন?

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২.০৯ পিএম

ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল

আয়ন্টোফোরেসিস চিকিৎসা পদ্ধতি একটি। এসে যন্ত্রের মাধ্যমে হাত বা পায়ের তালুর ভেতর দিয়ে মৃদু একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ চালানো হয়। ১৭০০ সাল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ন্টোফোরেসিস চিকিৎসা পদ্ধতি একটি। এসে যন্ত্রের মাধ্যমে হাত বা পায়ের তালুর ভেতর দিয়ে মৃদু একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ চালানো হয়। ১৭০০ সাল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে।

ত্বকজনিত এমন কিছু সমস্যা বা রোগ আছে, যেগুলোকে আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু যাদের সে সমস্যাগুলো থাকে, সাধারণভাবে তাদের সমস্যা তৈরি হয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। নইলে দিন দিন সমস্যাগুলো বাড়তেই থাকে। ত্বকের এমন এক সমস্যা হলো হাত-পা ও হাতের তালুতে অতিরিক্ত ঘাম ঝরা। এর কিছু কারণ রয়েছে। তবে এটা বলে রাখা ভালো- হাতের তালু কেন ঘামে, তার সঠিক কারণ এখনো বের হয়নি। তবে কিছু সাধারণ কারণ আবিষ্কার করা গেছে।

কারণ- বংশগত, রাগ, ভয়, দুশ্চিন্তা, হাত ও পায়ে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস সংক্রমণ,
হরমোনজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা,
বিপাকক্রিয়ার সমস্যা, ক্যানসারজনিত সমস্যা, অটো ইমিউন সমস্যা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
চিকিৎসা-
হাত ও পা ঘামার বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনাকে সেসবের হদিস দেবেন। সম্ভাব্য চিকিৎসাগুলোর মধ্যে আছে-
অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করা এতে হাত-পায়ের ঘামা কমে যায়। সেটি হাত ও পায়ের তালুতে সকালে ও রাতে লাগাতে হবে। তবে এর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শে মুখে খাবার ওষুধ খেতে হবে। প্রয়োজনে ইনজেকশনও দিতে হতে পারে।
আয়ন্টোফোরেসিস যন্ত্র ব্যবহার করে হাত ও পায়ের ঘাম কমানো যেতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।
এসব চিকিৎসার মধ্যে আয়ন্টোফোরেসিস চিকিৎসা পদ্ধতি একটি। এসে যন্ত্রের মাধ্যমে হাত বা পায়ের তালুর ভেতর দিয়ে মৃদু একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ চালানো হয়। ১৭০০ সাল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে।
কিন্তু ১৯৩০ এর দশক থেকে হাত-পায়ের ঘাম নিরসনের জন্য আয়ন্টোফোরেসিসের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এ পদ্ধতির উন্নতি হয়। এটি  একেবারে স্থায়ী চিকিৎসা না হলেও হাত ও পা ঘামার কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে একটি।
এখানে একটি মেশিন থেকে দুর্বল বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। এই বিদ্যুৎ তারের মাধ্যমে ৪টি স্টেনলেস স্টিল প্লেটে প্লেটে প্রবাহিত হয়। প্লেটের ওপর ভেজা টাওয়েল থাকে। রোগী ভেজা সে টাওয়েলের ওপর হাত ও পা রাখে।
একটি সেশনে সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত সপ্তাহে সাধারণত ৩ দিন এই চিকিৎসা নিতে হয়। একবার ভালো হলে সাধারণত অনেক দিন পর্যন্ত রোগীর হাত ও পা ঘামা বন্ধ থাকে। এ যন্ত্রের সফলতার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি বিভাগ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার ফার্মগেট, গ্রিন রোড, ঢাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024