শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

শিক্ষা খাতে বৈষম্য, নৈরাজ্য: জোরালো হচ্ছে সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি

  • Update Time : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.৩৩ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অংশীদারত্ব চাইলেন ড. ইউনূস”

বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অংশীদারত্ব চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, তাঁর সরকারের নেওয়া বহুমুখী সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঁরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আপনাদের কথা শুনতে এসেছি এবং আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ চাই। আমাদের এই নতুন যাত্রায় আপনাদের অংশীদারত্ব চাই।’

মধ্যাহ্নভোজের এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসবিবিসি) অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশাপ বক্তব্য দেন।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের বাজার নয়। এটি দ্রুত বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ভোক্তা বাজারের একটি হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনের ৩০০ কোটি মানুষের বাজার ধরার সম্ভাবনাময় জায়গায় রয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো দেশই সমস্যামুক্ত নয়। বাংলাদেশও সমস্যামুক্ত নয়। তবে আমি একটি বিকাশমান বাংলাদেশ দেখি, যে দেশটি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “শিক্ষা খাতে বৈষম্য, নৈরাজ্য: জোরালো হচ্ছে সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি”

শিক্ষাব্যবস্থায় নৈরাজ্য ও বৈষম্যের অভিযোগ পুরোনো। তাই শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জোরালো হচ্ছে। এর যুক্তিতে বলা হচ্ছে, সংস্কারে গড়া আধুনিক বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। অনেক অভিভাবকই চান কষ্ট করে হলেও গুণমানসম্পন্ন একটি বিদ্যালয়ে তার সন্তান পড়াশোনা করুক। কিন্তু শিক্ষা যেন বিনিয়োগনির্ভর বাণিজ্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষা পণ্য নয়, তবু ব্যবস্থা তা-ই যেন করে রেখেছে।

মোটা অঙ্কের টাকা বেতন দিয়ে সন্তানকে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক অভিভাবক। মালিক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের জন্য টাকা বানানো ও পাচারের জায়গা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শক্ত করে ধরতে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “৪৬ লাখ শ্রমিকের ৫৭ শতাংশই আশুলিয়া ও গাজীপুরের”

আট শিল্প এলাকায় কেন্দ্রীভূত দেশের বস্ত্র ও পোশাক থেকে শুরু করে মোবাইল, ফার্নিচার, চামড়াজাত পণ্যের কারখানা। শিল্প পুলিশের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট। এসব এলাকায় গড়ে ওঠা কারখানায় কাজ করেন ৪৬ লাখেরও বেশি কর্মী। এর ৫৭ শতাংশই আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকায়।

সাম্প্রতিক সময় এ দুই এলাকায় ব্যাপক শ্রম অসন্তোষ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু বন্ধও রাখতে হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানাগুলো চালু হয়। আগেও এ দুই এলাকায় শ্রম অসন্তোষ সবচেয়ে তীব্র আকার ধারণ করতে দেখা গেছে। আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিকদের সিংহভাগ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ার বিষয়টি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন শিল্প মালিকরা।

যদিও মোটা দাগে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীভবন নয়, শ্রমিকের কর্মপরিবেশের ঘাটতি এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার অভাবই শ্রম অসন্তোষের কারণ। তাদের ভাষ্যমতে, শিল্প অধ্যুষিত এলাকার কোনোটিই পরিকল্পিত না। পাকিস্তান আমলে টঙ্গী, তেজগাঁওয়ে পরিকল্পিত শিল্প এলাকা গড়ে উঠতে দেখা গেছে। এরপর ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোয় যেখানেই জমি পাওয়া গেছে, সেখানেই পোশাকসহ ও অন্যান্য শিল্প গড়ে উঠেছে। বিশেষ ঢাকা ইপিজেডের পাশে হওয়ায় আশুলিয়ায় শিল্প স্থাপন হয়েছে বেশি। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের পাশাপাশি মৌলিক নাগরিক সুবিধার অভাব এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় এলাকাগুলোয় শ্রম অসন্তোষকে তীব্রতা দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। যেমন শ্রমিকের বেতনের নির্ধারিত কাঠামো থাকলেও কারখানাগুলোয় টিফিন, ওভারটাইম ভাতার মতো সুবিধাগুলোর কোনো মানদণ্ড নেই। আবার আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকার কোথাও শ্রমিকদের আবাসন, বিনোদন, চিকিৎসা, সন্তানদের শিক্ষার কোনো সুব্যবস্থা নেই। ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার ঘাটতি নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন তারা। শিল্প পুলিশের হিসাবে, শিল্প অধ্যুষিত আট এলাকায় মোট কারখানা আছে ৯ হাজার ৪৭৩টি। এসব কারখানার কর্মী সংখ্যা ৪৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও গাজীপুরের ৪ হাজার ৯৭টি কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ২৬ লাখ ৮০ হাজার। এ অনুযায়ী মোট শ্রমিকের ৫৭ দশমিক ৩৮ শতাংশই আশুলিয়া ও গাজীপুরে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ”

সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পর এবার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। একই সঙ্গে পৃথক প্রজ্ঞাপনে দেশের ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ আগস্ট এসব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024