শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় ৬ সংস্কার কমিশন

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৯.২৫ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় ৬ সংস্কার কমিশন”

ছয় সংস্কার কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে। কমিশনগুলোর প্রধানদের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। সদস্যদের নামও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ–কালের মধ্যেই কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে সংস্কার কমিশনগুলো পুরোদমে কাজ শুরুর আগে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। খুব দ্রুতই এ আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, কমিশনের কাজ মঙ্গলবার থেকে শুরু করার কথা। কিন্তু সিদ্ধান্ত এসেছে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আরেক দফা আলোচনা করতে চাইছে।

শফিকুল আলম বলেন, কমিটির প্রধানদের যখন নাম ঘোষণা হয়েছে, তখন কমিশনের কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। যেহেতু এখানে রাজনৈতিক দলগুলো একটি অংশীজন। তাই তাদের সঙ্গে আলাপ করে মতামত চাওয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, এই আলোচনাটি খুব তাড়াতাড়ি হবে। আলোচনা হওয়ার পরই দেখবেন কমিশনের কাজগুলো শুরু হয়েছে।’

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ছয় সংস্কার কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজ–কালের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। কমিশনগুলোর সদস্যদের নামও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কোনো সুবিধাভোগীকে কমিশনের সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। কমিশনগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এরপর পরামর্শমূলক মতবিনিময় করা হবে, যেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এভাবেই সংস্কারকাঠামো চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “যে কারণে ঢাবির ১০ শিক্ষক বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায়”

অসাধারণ গবেষণাকর্ম ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ার এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই তালিকাটি প্রকাশ করছে দুই প্রতিষ্ঠান। এ বছর বাংলাদেশের ২০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ২০৫ জন গবেষক এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। পুরো ক্যারিয়ারে গবেষণার মান; সাইটেশন, সাম্প্রতিক বছরের গবেষণা ও নির্দিষ্ট ফিল্ডে অবদান রাখার কারণে গবেষকদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ১০ জন শিক্ষক তাদের গবেষণা ও তাদের কাজের ক্ষেত্র নিয়ে কথা বলেছেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। গবেষকদের কথাগুলো তুলে ধরেছেন নেছার উদ্দিন।

অধ্যাপক কাজী মতিন উদ্দিন আহমদ ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে কাজ করেন। ২৫০-এর অধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৩ সালেও তিনি শীর্ষ এই বিজ্ঞানীদের তালিকাভুক্ত ছিলেন। রিসার্চ ডট কমে তিনি বাংলাদেশের সেরা ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই তালিকাটি করা হয় একজন গবেষকের পুরো ক্যারিয়ারের কাজের ওপর ভিত্তি করে। আমি প্রধানত কাজ করি ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে। ঐ ক্ষেত্রে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ’

অধ্যাপক মতিনের গবেষণার প্রধান ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—অনসাইট স্যানিটেশন থেকে মাইক্রো বায়োলজিক্যাল দূষণ; বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণ; নগরায়ণের প্রভাব; বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততার প্রভাব এবং মেটানোর উপায় এবং ভূগর্ভস্থ জল সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাংকের মাধ্যমে জুলাইয়ে লেনদেন কমেছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা”

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রভাবে গত জুলাইয়ের প্রায় পুরোটা সময় উত্তাল ছিল দেশ। আন্দোলন দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এর প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেমে আসে স্থবিরতা। ব্যাংকের সব মাধ্যমেই লেনদেন কমে যায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন কমেছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ব্যাংকের মাধ্যমে জুলাইয়ে মোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের মাস জুনে হয়েছিল ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা বা ২০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দেশে চেক, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি), ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকে অর্থ লেনদেন হয়। এর মধ্যে জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন কমেছে চেকের মাধ্যমে। এর পরই কমেছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমএফএসের মাধ্যমে।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। এরপর টানা পাঁচদিন দেশব্যাপী শাটডাউন ছিল সব ধরনের ইন্টারনেট। তবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। পরে ইন্টারনেট সেবা ফিরলেও গতি ছিল একেবারেই ধীর। ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি আন্দোলন দমাতে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার। পাশাপাশি ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত তিনদিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তাতে বন্ধ থাকে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন। পরবর্তী সময়ে অফিশিয়াল ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলেও সেটি ছিল সীমিত পরিসরে। এতে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমাও কমে আসে। আন্দোলন দমনে সরকারের এসব পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন কমেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল নৌ-বিমান বাহিনীও”

নৌ ও বিমান বাহিনীর সব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024