জান্নাতুল তানভী
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বৈদেশিক শ্রমবাজারের ইতিহাস বেশ পুরোনো, প্রায় পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি। এর মধ্যে যেসব দেশ জনশক্তি রপ্তানির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় তার মধ্যে অন্যতম মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক যাওয়া শুরু করে ১৯৭৬ সাল থেকে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে সে সময় থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গেছে এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে রয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু এরপরও এ দেশের শ্রমবাজার নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বন্ধ ছিল সেখানকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
সর্বশেষ এ বছরের জুন থেকে আবারো বন্ধ হয় সেদেশে বাংলাদেশসহ সব দেশের শ্রমবাজার।
ঠিক কখন থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের উত্থান ঘটে? কেনই বা সেদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে এতো টানাপোড়েন বা বন্ধ হয়ে যায়?
১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যায়।
১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও মালয়েশিয়ার বাজারে আরো দুই বছর পর শুরু হয় এ যাত্রা। ১৯৭৮ সালে প্রথম মাত্র ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়।
বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়।
তবে, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সাথে জড়িত ব্যক্তি, জনশক্তি রপ্তানি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের সাথে জনশক্তি নিয়োগের চুক্তি হয় ১৯৯২ সালে।
শ্রমবাজারের যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশের পরিসংখ্যান এই ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনশক্তি গিয়েছে সৌদি আরবে। সংখ্যাটা প্রায় ৫৮ লাখ। শতকরা হিসেবে মোট জনশক্তি রপ্তানির প্রায় ৩৬ শতাংশই সৌদি আরবে হয়।
দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৬ লাখের বেশি মানুষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ দেশে যায়।
আর বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান। প্রায় ১৯ লাখ মানুষের শ্রমবাজার এ দেশটিতে রয়েছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। সেখানে এ পর্যন্ত শ্রমিক গিয়েছে সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি। মালয়েশিয়াতে রয়েছে বাংলাদেশের নয় শতাংশের বেশি শ্রমবাজার।
বিএমইটির ওয়েবসাইটে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যায়। পরের বছর কোন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে না গেলেও ১৯৮০ সালে মাত্র তিনজন শ্রমিক সে দেশে যায়।
এরপরের দুই বছর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায় নি কোন বাংলাদেশি। দুই বছর বাদে আবার ১৯৮৩ সালে ২৩ জন মালয়েশিয়াতে যায়। এরপরে দুই বছর আবার কোন শ্রমিক যায়নি এই দেশটিতে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ ৫৩০ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায়।
এই ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের বাংলাদেশিদের যাতায়াত চলে।
তবে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই দেশের বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় এ শ্রমবাজার বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত শুধু ২০২৩ সালেই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ শ্রমিক গিয়েছে। তিন লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ গত বছর সে দেশে যায়।
মালয়েশিয়ার বহু অবকাঠমো প্রকল্পেই কাজ করেছেন লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি
তবে, বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বায়রার বর্তমান সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম অবশ্য দাবি করছেন ১৯৯০ সালেই প্রথম মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছর তিনিই প্রথম পাঁচশো শ্রমিক পাঠান মালয়েশিয়াতে।
বিবিসি বাংলাকে মি. ইসলাম বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যবশত ১৯৯০ সালে আমিই প্রথম মালয়েশিয়াতে গাছ রোপন প্রকল্পের জন্য ৫০০ লোক পাঠাই। ওইটাই শুরু। এটাই আনুষ্ঠানিক, কারণ যখন বাংলাদেশি দূতাবাস সিল দেয় তখন ওইটাই আনুষ্ঠানিক হয়।”
“পাঁচশজনের কাজ পেয়েছিলাম প্রথমে। কিন্তু সেখানকার লজিস্টিক ভালো ছিল না। শৌচাগার ছিল না, হেলথ স্যানিটেশন ছিল না বাগানের মধ্যে। ক্যাম্পিং ছিল না, খাবার ভালো ছিল না, বড় বড় মশা, বাঘ, সাপ ছিল জঙ্গলে সে সময়,” বলেন মি. ইসলাম।
এদিকে, কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক আহমেদুল কবির জানান ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৩০ জনকে শ্রমিক হিসেবে পাম, রাবার বাগানে কাজ করার জন্য নেয়া হয়।
মি. কবিরের তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে।
বিবিসি বাংলাকে মি. কবির বলেন, “১৯৮৬ সালে প্রথম শ্রমিক হিসেবে ৫৩০ জনকে বাগানে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সাথে লোক নিয়োগের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে মালয়েশিয়া। সেই একই প্রক্রিয়ায় ওই বছরই ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সাথেও চুক্তি করা হয়।”
বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৭৮ সালের পর প্রথম সর্বোচ্চ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৩৮৫ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়। পরের বছর এ সংখ্যা আরো বাড়ে।
একইসাথে ১৯৯২ সালে চুক্তি হওয়ার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাতগুন বেড়ে যায়। পরের বছরগুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়ে।
এভাবেই ধীরে ধীরে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিকশিত হলেও বিভিন্ন সময় নানা কারণে বন্ধ হয় এ বাজার।
এ বছরের ৩০শে মের পর থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগের বিষয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল এ শ্রমবাজার। কিন্তু কয়েক বছর চলার পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৯৬ সালে আবার সে দেশের শ্রমবাজার চালু হয়।
এরপর আবার ২০০০ সালে নিজেদের চাহিদা বিবেচনায় সে দেশের সরকার বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়।
বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে ‘আনস্টেবল মার্কেট’ বলে অভিহিত করেন।
মি. চৌধুরী বলেন, “ এটা টোটাল আনস্টেবল মার্কেট। ৯২ সালে খোলার পরে হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার ৯৬ সালে খুলে। ছয় – সাত মাস কাজ করার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে চার – পাঁচবার বন্ধ হয় ওই বাজার।”
এরপর ২০০৬ সালে আবার কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি ধরা পড়ার পর ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর দু’দেশের মধ্যে আলোচনার পর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আবার নতুন চুক্তি হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘জিটুজি’ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে আবার বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়া যাওয়া শুরু করে।
কিন্তু কর্মী প্রেরণে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যসহ নানা অভিযোগে ২০১৮ সালে সেটি বন্ধ করে মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার সরকার কর্মী প্রেরণ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্বারক সই করে। তবে তারপরও কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল।
কারণ মালয়েশিয়ার তরফ থেকে শুধুমাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশের সরকারও বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে।
এরপর থেকে ছয় মাস যাবত দুই দেশের সরকারের মধ্যে শুধু চিঠি চালাচালি হয় এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক বারবার মালয়েশিয়ার তরফ থেকে পিছিয়ে দেয়া হয়।
ওই বছরের জুন মাসের দুই তারিখ বাংলাদেশের তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের উপস্থিতিতে ঢাকায় দুই দেশের একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বিষয়টির এক ধরনের সুরাহা হয়।
বায়রার সাবেক মহাসচিব মি. চৌধুরী জানান, “ওই চুক্তিতে একটা টেকনিক্যাল ক্লজ দুই সরকার জুড়ে দিলো সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সরকার যতগুলো বৈধ এজেন্সির লাইসেন্স আছে তালিকা পাঠাবে মালয়েশিয়ার সরকারের কাছে। তারা সেখান থেকে পিক করবে তারা কতজনকে দেবে।”
সে সময় এই চুক্তির বিরোধিতা করা হয়েছিল কিন্তু অভিবাসনের ধারা কমে যাওয়ায় সরকার জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টিকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছিল বলে জানান মি. চৌধুরী।
“বাংলাদেশ সরকার সেসময় ১৫৬১ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠায়। সেখান থেকে মালয়েশিয়ান সরকার তাদের কেবিনেটে ১০১ জন এজেন্সির নাম এপ্রুভ করেছে। এর মধ্যে একটা সরকারের এজেন্সি যেটা বোয়েসেল। বাকিগুলো বেসরকারি,” জানান মি. চৌধুরী।
মি. চৌধুরীর দাবি “এই চুক্তির ফলে মালয়েশিয়া যাদের অনুমোদন করে এদের মধ্যে একেবারেই নতুন কিছু এজেন্সি যাদের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। অনেক কিছু ছিল না। কোনো না কোনোভাবে তারা এনলিস্টেড হয়ে গেছে। তারা লোক পাঠানোও শুরু করে দেয়।”
পরে ২০২২ সালের অগাস্টে আবার শ্রমবাজার চালু হয়। পরে শুধু ২০২৩ সালেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক গিয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজারের বেশি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক হিসাবে যান
অদক্ষ শ্রমিক, কম মজুরি, অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনসহ নানা কারণে এ বাজার বন্ধ হয়।
আর শ্রমিকদের কাজ না পাওয়া, নির্যাতন থেকে শুরু করে শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার মতো অভিযোগগুলোও প্রকট হয়েছে ২০২৩ সালেই। ওই বছর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনমানের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে মালয়েশিয়ার মূলধারার গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনগুলোতেও।
একপর্যায়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় থেকেও বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ বছরের মে মাসে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে জাতিসংঘের কনটেম্পোরারি স্লেভারি বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার তমোয়া ওবোকাতা বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা যে অবস্থায় আছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার যথেষ্ট কারণ আছে। দেশটিতে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সঙ্গে দুই দেশেরই একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জড়িত।
“এখানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ভেতরে একটি শক্তিশালী অপরাধী চক্র গড়ে উঠেছে। যারা চাকরি এবং ভালো বেতনের কথা বলে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ার নিয়ে প্রতারণা করছে। তারা পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শ্রমিকদের কাছ থেকে। ফলে শ্রমিকরা ঋণের চক্রে আটকে যাচ্ছে,” বলেছিলেন মি. ওবোকাতা।
“এছাড়া নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ না পাওয়ায় শ্রমিকরা অবৈধ হয়ে পড়ে। এই অবৈধ শ্রমিকদের যারা চাকরি দেয়, তারাও এদের শোষণের সুযোগ হাতছাড়া করে না। ফলে সমস্যাটা এখানে বেশ গভীর,” বলেছিলেন তিনি।
তার মতে, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া- দুই দেশের সরকারকেই শ্রমিক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া সংশোধন করতে হবে যেন শ্রমিকরা নির্যাতিত না হয়।
এ বছরের ৩০শে মের পর থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
বায়রার সাবেক মহাসচিব মি. চৌধুরী অবশ্য জানান, শুধু বাংলাদেশ নয় সবদেশ থেকেই কর্মী নেয়া বন্ধ করেছে মালয়েশিয়া। তারা তাদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিবিসি নিউজ বাংলা
Leave a Reply