ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
গুহা, পাহাড়-পর্বত
এই অধ্যাপক নিজে ১৯৮৯ সালেই ইউকাতানে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি আনার (bring rain) লোকউৎসবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।এই উৎসবটির ঘটনা থেকে আরো জানা যায় যে ঐ সময়ে ইউকাতান অঞ্চলে খরা দেখা দিয়েছিল। তাদের দুটো ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।এই সময়ে আঞ্চলিক শমন (Shaman) গ্রামের মানুষদের নিয়ে চাকব (Chakob) নামে বৃষ্টির দেবতাকে নানা লোকাচার মেনে পূজা করেছিল।
এর মধ্যে ছিল শস্যর নানা দানা দিয়ে তৈরি রুটি (Corn Bread),ধূপধুনোর সব পবিত্র সুগন্ধি, সেদ্ধ করা মাংস এবং মধু দিয়ে করা মদ। উৎসব লোকাচারের শেষ পর্যায়ে শামাম দন পারলো আখের মদ (ব্র্যান্ডি জাতীয়) সংগ্রহ করেছিলেন এবং বিশেষভাবে ধ্যানমগ্নর মত হয়ে দশ ঘণ্টার বেশি সময় কাটিয়েছিলেন।
লোকাচার, রীতি, উৎসব এবং এই একনিষ্ঠ নিবেদন থেকে আমরা সহজেই বুঝে নিতে পারি মায়া দেবমনে লোকধর্ম এবং তার প্রতি বিশ্বাস কত গভীর ছিল। গ্রেইদেল-এর মতে Ka’lante বা কাঠের আকাশ এই সৌর জগতের প্রতীক। সবুজ পাতার আঁটি যা টেবিলের কয়েক ফুট উপরে বাঁধা থাকে তার গভীর অর্থ হল রাতের আকাশে
ঘূর্ণায়মান শ্বেতপথ (Milky Way)-এর ব্যঞ্জনা মাত্র।
এক্ষেত্রে আরো একটি সুন্দর রীতি বিশ্বাস লক্ষ্য করা যায়। বাড়ির মাচা বা ঝাড় থেকে ১৩টি লাউ জাতীয় ফল আলাদা করা হয়। এই লাউগুলি মায়াদের মধ্যে প্রচলিত তারাকে চিহ্নিত করে এবং এটা হল রাশিচক্রর প্রতীক। কান-তে (Ka’n-te)-র বড় বড় বাড়ি তৈরি হয়েছিল ক্লাসিক মায়াযুগে। এইসব প্রাসাদোপম বাড়িতে পাথরের ফুলদানীর মত খোদাই করা নানা বিশ্বাস: গুহা এবং পাহাড়-পর্বত মায়া অঞ্চলের চিত্র আছে। যার উপর নানারকম চিত্রকলা দেখা যায়। শামানদের কথা বললে তাদের সম্পর্কে আরো তথ্য, আমরা জানতে পারি।
(চলবে)
Leave a Reply