শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

আইএমএফের ঋণ ছাড়া পাকিস্তান টিকে থাকতে পারবে না

  • Update Time : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৫.৫৪ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

পাকিস্থানের ডন পত্রিকার শিরোনাম ‘Pakistan cannot survive without another IMF package, says PM’

 

খবরে বলা হয়, আইএমএফের আরেকটি ঋণ প্যাকেজ ছাড়া পাকিস্তান টিকে থাকতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে স্ট্যান্ডবাই অ্যারেঞ্জমেন্ট (এসবিএ) এর অধীনে ১ বিলিয়ন ডলারের শেষ কিস্তির একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার একদিন পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন যে, ইসলামাবাদের তহবিল থেকে আরও একটি বেলআউট প্যাকেজ প্রয়োজন। যা তিনি বোর্ড জুড়ে কাঠামোগত ও অর্থনৈতিক সংস্কারের সাথে যুক্ত করেছেন। দেশের যে অবস্থা তাতে আইএমএফের আরেকটি প্যাকেজ ছাড়া পাকিস্তান টিকে থাকতে পারবে না।

 

শাহবাজ বলেন, দুই থেকে তিন বছর ব্যাপী নতুন কর্মসূচি নেয়া হবে।  তিনি আরো ‘কঠোর’ কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। বিনিয়োগ উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

 

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘Kejriwal kingpin of Delhi liquor scam, money used in Punjab, Goa elections: ED’

 

রিপোর্টে বলা হয়, কেজরিওয়াল দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির কিংপিন, পাঞ্জাব ও গোয়ার নির্বাচনে ব্যবহার করেছেন অর্থ:ইডি

 

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট( ইডি ) শুক্রবার ২২ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করে। ইডি আদালতকে জানিয়েছে, মদ নীতির মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন কেজরিওয়াল এবং তিনি কে. কবিতার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।

 

কেজরিওয়ালের ১০ দিনের রিমান্ড দেখে এএসজি এসভি রাজু আদালতকে বলেন যে, অপরাধের আয় ব্যবহারে কেজরিওয়াল জড়িত ছিলেন এবং নীতি প্রণয়নে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

 

নীতি (আবগারি শুল্ক) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে এটি ঘুষ গ্রহণে সক্ষম হয়েছিল। বিজয় নায়ার আম আদমি পার্টি এবং দক্ষিণ কার্টেলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। আর যার মূল প্রবক্তা ছিলেন কে কবিতা,যিনি ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

 

 

সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমসের শিরোনাম  ‘Three landmark agreements between S’pore and Indonesia take effect, including on airspace management’

 

খবরে বলা হয়, আকাশসীমা ব্যবস্থাপনাসহ সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে তিনটি যুগান্তকারী চুক্তি কার্যকর।

সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে নতুন এই চুক্তি ২১মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এই চুক্তি ।

সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএফএ) বলেছে যে চুক্তিগুলি কার্যকর হওয়া সিঙ্গাপুর-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা দুই দেশের সম্পর্কের শক্তি এবং পরিপক্কতার উপর জোর দেয়।

একই সঙ্গে কার্যকর হওয়া তিনটি চুক্তি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সংবেদনশীল বিষয়গুলির সমাধান করে।

 

 

সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘সর্বনাশ জেনেও ভূগর্ভের পানিই ভরসা ওয়াসার’

রির্পোট থেকে জানা যায়, তিলোত্তমা নগরী ঢাকার প্রায় আড়াই কোটি মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে প্রতিদিনই বাড়ছে পানির চাহিদা। দূষণের কারণে ঢাকার চারপাশের নদী ও জলাশয়ের পানি ব্যবহারের উপযোগিতা না থাকায় চাহিদার জোগান দিতে ভূগর্ভস্থ পানিই যেন হয়ে উঠেছে ‘অন্ধের নড়ি’। তথ্য বলছে, প্রায় ৭০ শতাংশ পানি তুলতে হচ্ছে মাটির গভীর থেকে। তবে যে হারে পানি খরচা হয়ে যাচ্ছে তাতে দ্রুত নামছে পানির স্তর। নিয়ম না থাকলেও সিটি করপোরেশন এলাকায় তুমুল উৎসাহে বসছে গভীর নলকূপ। এতে চাপ পড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর, নষ্ট হচ্ছে সুপেয় পানির উৎস।

 

২০১০-১১ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার প্রতিদিন পানি উৎপাদনের গড় সক্ষমতা ছিল প্রায় ২০০ কোটি লিটার। এর মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি লিটার (৫০ শতাংশ) পানি আসত গভীর নলকূপ থেকে। বাকি ৫০ শতাংশ পানি মিলত ভূউপরিস্থ নদীর পানি শোধন করে। তবে ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে থাকায় পরিবেশ বিপর্যয়, ভূমিধস ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ার শঙ্কায় ঢাকা ওয়াসা পর্যায়ক্রমে গভীর নলকূপের সংখ্যা কমিয়ে ভূউপরিস্থ পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর বার্তা দিয়েছিল। তবে ঢাকা ওয়াসার সেই আশা গুড়েবালি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির উৎস প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২ থেকে ৩ মিটার নেমে যাচ্ছে। যে কারণে অনেক গভীর নলকূপে পানি আসছে না। অনেক নলকূপের কমছে উৎপাদন ক্ষমতা। এতে করে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে ঢাকা মহানগরী।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনে সুপেয় পানির সংকট এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে লবণাক্ততা দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু জায়গায় দেবে যেতে পারে মাটি। এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে পানির উৎসগুলো সংরক্ষণে নজরদারি বাড়াতে হবে।

 

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘ভালো নেই ব্যাংক খাত’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মুহূর্তে ভালো নেই ব্যাংক খাত। সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং লুটপাটের কারণে গ্রিনের (ভালো) চেয়ে লাল (অতি দুর্বল) ও হলুদ (দুর্বল) বাতি জ্বলা ব্যাংকের সংখ্যাই বেশি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর হইচই পড়ে যায়। এরপর এ নিয়ে শুরু হয় লুকোচুরি এবং পালটাপালটি অভিযোগ।

এমনকি, গত সপ্তাহের শেষের ২ দিন গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। নানা জেরার মুখোমুখি হতে হয় সাংবাদিকদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, এটা পুরো খাতের চিত্র নয়। প্রতিবেদনটি গবেষণার জন্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে ব্যাংকগুলোর লাল, হলুদ ও সবুজ তালিকাভুক্তির যে প্রতিবেদন ছাপা হয় তা ব্যাংকের স্বাস্থ্য দেখার কোনো সঠিক পদ্ধতি নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ নানা সময়ে ব্যাংকের তালিকা করে থাকে। এই তালিকাটা ধারণাভিত্তিক। যেখানে কোন পরিস্থিতি হলে কী হবে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়। এটা গবেষণার কাজে ব্যবহার হয়। ব্যাংকের স্বাস্থ্য দেখার একমাত্র উপাদান নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, যা ‘ক্যামেলস’ পদ্ধতির মাধ্যমে দেখা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেস্ক অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক গোপন প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের অবস্থাই দুর্বল এবং অতি দুর্বল। এর মধ্যে ১২টির অবস্থা খুবই নাজুক, যার ৯টি ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। অপর ৩টি রেড জোনের খুব কাছাকাছি থাকলেও তাদের অবস্থান ইয়েলো জোনে। এর বাইরে আরও ২৬টি ইয়েলো জোনে অবস্থান করছে। অন্যদিকে মাত্র ১৬টি ব্যাংক গ্রিন জোনে স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ৮টিই বিদেশি ব্যাংক। অর্থাৎ গ্রিন জোনে দেশীয় ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র ৮টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিচারে রেড জোনের ব্যাংকগুলো সবচেয়ে খারাপ (পুওর) এবং ইয়েলো জোনের ব্যাংকগুলো দুর্বল (উইক)। আর গ্রিন জোনের ব্যাংকগুলো ভালোমানের (গুড)। অর্থাৎ দেশে এখন সবলের চেয়ে দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যাই বেশি।

বর্তমানে দেশে তফশিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। তবে আলোচ্য প্রতিবেদনে ৫৪টি ব্যাংকের তথ্য নেওয়া হয়। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ৫৪টি ব্যাংকের ছয়টি ষাণ্মাষিক তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য ছয়টি ষাণ্মাসিকে এই ৫৪ ব্যাংকের মধ্যে ৩৮টির অবস্থার অবনতি হয়েছে। আর ১৬টির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বাকি ৭টির মধ্যে তিনটির আর্থিক অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টাবিলিটি বিভাগ নিয়মিত ব্যাংকগুলোর এই স্বাস্থ্য সূচক ও হিটম্যাপ প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে। এই প্রতিবেদন তৈরিতে ক্যামেলস রেটিং ও ব্যাসেল-৩ আওতায় প্রস্তাবিত লিভারেজ অনুপাত বিবেচনায় নেওয়া হয়। ক্যামেলস রেটিং হচ্ছে ব্যাংকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিমাপের মানদণ্ড। ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের মান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন ক্ষমতা, তারল্য প্রবাহ ও বাজার ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা-এই ৬ সূচকের অবস্থার ভিত্তিতে এই রেটিং নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে ব্যাংকের টায়ার-১ মূলধন ও মোট সম্পদের অনুপাতকে লিভারেজ অনুপাত বলা হয়। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানকল্পে ব্যাংকগুলোকে বিদ্যমান লিভারেজ অনুপাত ৩ শতাংশের সঙ্গে ২০২৩ সাল থেকে বার্ষিক শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ২০২৬ সালে মধ্যে এক শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা রয়েছে।

 

 

দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘পুকুর চুরি’

রিপোর্টে বলা হয়, পানির সংকটে পুকুরের অভাব বোধ হয় তীব্রভাবে। ঢাকায় ১৯৮৫ সালে পুকুর ছিল দুই  হাজারের বেশি এখন কমে ২৪১।

কয়েক দশক আগেই ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং গবেষকরা। ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির স্তর ছিল ২৫ মিটার বা ৮২.০২ ফুটে, যা ২০০৫ সালে নিচে নেমে হয় ৪৫ মিটার বা ১৪৭.৬৩৬ ফুটে, ২০১০ সালে ৬০ মিটার বা ১৯৬.৮৪৮ ফুটে এবং ২০২৩ সালে এসে তা ৭৫ মিটার বা ২৪৬.০৬ ফুটে নেমেছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে এ স্তর নেমে যেতে পারে ১২০ মিটার বা ৩৯৩.৬৯৬ ফুটে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে, তা না হলে চরম বিপর্যয় দেখা দেবে। এ থেকে রক্ষা পেতে ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমানো, ভূগর্ভে পানির প্রবেশ বাড়ানো এবং জলাধার ও জলাশয়ের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সরবরাহ বাড়াতে প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার লাগসই প্রযুক্তিগুলোর উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

আগুনের সময় মেলে না পানি কিন্তু দিন বদলের পালায় বদলে গেছে সে চিত্র। দখল আর দূষণে নদী-খালসহ অস্তিত্বের সংকটে পুকুর জলাশয়গুলো। ফলে ওই ধরনের দুর্ঘটনায় দিন দিন বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। প্রভাব ফেলছে শহরের জীববৈচিত্র্যের ওপরও।

দখলে ভরাটে বিলীন ৯০ শতাংশ। জলাধার রক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনো অবস্থায় খাল, বিল, নদী-নালা, পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের স্বাভাবিক গতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। এমনকি সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকালেও প্রাকৃতিক জলাশয়, জলাধার, খাল-নদী ইত্যাদির স্বাভাবিকতা নষ্ট করা যাবে না। জনস্বার্থে ও একান্ত প্রয়োজন হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু জলাধার আইনের তোয়াক্কা না করেই জলাশয়গুলো দ্রুত দখল ও ভরাট করে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024