তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশর সব সংকটে পাশে ছিল চীন। কোভিড মহামারী কিংবা জুলাই আন্দোলনেও বাংলাদেশ ছেড়ে যায়নি চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা।
সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “জুলাই গণ–অভ্যুত্থান’সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার, হয়রানি করা হবে না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়”
এই গণ–অভ্যুত্থানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে কাজ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থানসংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে কোনো সুবিধা আদায়ের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। এ কাজে চীনের আরও আন্তরিকতা ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সবসময় গুরুত্ব দেয় চীন। দুই দেশের এই সম্পর্ক আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বণিক বার্তার একটি শিরোন “সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক বাজারদর থেকে অনেক দূরে প্রকৃত পণ্যমূল্য”
নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়ায় বিভিন্ন সময় অন্তত ৩৬টি পণ্যের ‘যৌক্তিক’ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। উৎপাদন ব্যয়, বিপণন, পরিবহন ও মুনাফা—সব হিসাব বিবেচনায় নিয়ে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকার নির্ধারিত এ ‘যৌক্তিক’ দামের কোনো প্রতিফলন বাজারে দৃশ্যমান নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত পণ্যমূল্য চলে যাচ্ছে অযৌক্তিক পর্যায়ে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু পণ্য সংকটের কারণে দাম বাড়ছে না। ব্যবসায়ীদের কারসাজিও একটি বড় কারণ। ফলে দাম নির্ধারণ করে দিয়েও সুফল মিলছে না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে। আর দাম নির্ধারণ করতে হবে বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে।
সরকার প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম নির্ধারণ করেছে ৬০ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৩২০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স, পটোল, মিষ্টিকুমড়াসহ সব ধরনের সবজি।
নিত্যপণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটি প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেছে ৬৫ টাকা। কিন্তু গতকাল কারওয়ান বাজারে তা বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা কেজি ধরে। একইভাবে চিচিঙ্গার কেজি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৩২ টাকা কেজির মিষ্টিকুমড়া হয়ে গেছে ৭০ টাকা। ৪০ টাকার পটোল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর ৩৬ টাকার ঢেঁড়স কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা দিয়ে।
বণিক বার্তার একটি শিরোন “সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা পুরুষ ৩৫, নারীদের ৩৭ করার সুপারিশ”
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বয়সসীমা বাড়ানো কমিটির প্রধান ড. আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষদের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই এ বয়সসীমার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তবে অবসরের সময়সীমা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। সচিবালয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জনপ্রশাসন সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সরকারের বেঁধে দেয়া তিন মাস সময়সীমার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার করা হবে।’
Leave a Reply