সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথমআলোর একটি শিরোন “কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ”
সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এই দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনায় অংশ নেবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ চলছে ৫ অক্টোবর থেকে। মাঝে পূজার ছুটির কারণে সব দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি।
৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। এ সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি।
এ দফায় ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। এরপর একে একে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হয়।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ডিমের দাম কমলেও স্বস্তি নেই সবজিতে”
সরাসরি উৎপাদক পর্যায় থেকে আড়তে ডিম সরবরাহের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। প্রতি ডজন ডিমে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ডিম উৎপাদক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েক হাত বদল হয়। এজন্য দাম বেড়ে যায়। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে উৎপাদক ও বড় খামারিরা অনেকটা বাধ্য হয়ে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়িয়েছে। এই সূত্র বলেছে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার আরো সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) ডিম আমদানির এই অনুমতি দেওয়া হবে। এদিকে বাজারে ডিমের দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও চিনির দাম বেড়েছে। এছাড়া, সবজির বাজার এখনো চড়া।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন পণ্যের দামের এ তথ্য পাওয়া যায়।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের মধ্যেও রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ”
একজোট হয়ে মিয়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চালানো একের পর এক হামলা সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির ক্ষমতায় থাকা সামরিক সরকার। দিন দিনই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে সে পরিস্থিতি। বিদ্রোহীদের কাছে জান্তা বাহিনীর প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ হারানোর খবর প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও সীমিত ও বিকল্প পথে দেশটিতে ওষুধ রফতানি করছে বাংলাদেশ।
রফতানিসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে বিদেশী মুদ্রার সংকট। সে কারণে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ছয় মাসের জন্য ওষুধসহ সব ধরনের পণ্য আমদানিই একপ্রকার বন্ধ রাখে দেশটির সরকার। পর্যায়ক্রমে শিথিলতা আনলেও চীনা মুদ্রায় সীমিত আমদানির অনুমতির ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় দীর্ঘসূত্রতা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে সরাসরির পাশাপাশি ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে বিকল্প পথেও।
মানবজমিন এর একটি শিরোনাম “রাজনীতির লড়াই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়”
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ তো বটেই সারা দুনিয়াতেই এটা চলছে। তবে গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশের
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ট্রেন্ড ছিল এক রকম। মূলত বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী নেতা-কর্মীরা সরব ছিলেন বেশি। ৫ই আগস্টের পর চিত্র কিছুটা ভিন্ন। আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা এখনও নীরব। তবে কর্মীরা বসে নেই। ফেসবুক, এক্সে নানামুখী প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। ছড়াচ্ছে নানা গুজবও। জবাব দিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা। সব মিলিয়ে এক জমজমাট লড়াই চলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক লড়াইসহ আগামী দিনের সব জনমত সৃষ্টিতে অনলাইন প্রচারণা বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় যারা এদিকে নজর কম দেবে তারা পিছিয়ে পড়বে। এ দেশে বড় কয়েকটি আন্দোলনই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর হয়ে গড়ে উঠেছিল। বিশেষ করে ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন এবং ২০২৪ এর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে সোশ্যাল সাইটের ভূমিকা ছিল বেশ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, মি টু, মিটু এর মতো বড় আন্দোলনও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমাগত ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে ফিলিপাইনেও ক্ষমতার মসনদে বসেছেন সাবেক স্বৈরশাসকের ছেলে। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের আরজি করের ধর্ষণ কাণ্ডও সোশ্যাল সাইটের কারণে অনেক বেশি ছড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানেও আন্দোলন যখন তীব্র তখন ইন্টারনেট বন্ধ করতে বাধ্য হয় সরকার। সেখানেও দাবি করা হয় সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে আন্দোলনকারীরা সরকারকে সরাতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার আন্দোলন দমাতে সোশ্যাল সাইট বন্ধ করার ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সরকারের চালানো নানা হত্যাযজ্ঞের ভিডিও ও স্থির চিত্র যখন সোশ্যাল সাইট খুলে দেয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে তখন আর আটকানো যায়নি আন্দোলন। পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারও বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষাধিক কর্মী নিয়োগ করে সাইবার লড়াইয়ে। সিআরআইয়ের মতো শক্তিশালী গবেষণা প্ল্যাটফর্মও দাঁড় করিয়েছে দলটি। শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে অনলাইন ক্যাম্পিংয়ে। নির্বাচন ও সরকারের বিশেষ প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে এসব ব্যবহৃত হতো। অন্যদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য দলও ক্রামাগত সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে আসছে পৃথকভাবে। যদিও তাদের দলীয় কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য না।
Leave a Reply