সারাক্ষণ ডেস্ক
বিএসএমএমইউ’র প্রাক্তন উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী স্যার-এর বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা শুরুতে শহীদ ডা. মিলন হলে সামনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে রক্তদান কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী স্যারের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. এএসএম নওরোজ।
অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী স্যারের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোঃ মোফাখখারুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মাননীয় চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. আবদুল বায়েছ ভূঁইয়া, বিএমএ ও ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী স্যারের জেষ্ঠ্যপুত্র হোসেন ইমাম আল হাদী প্রমুখ। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। আলোচনার শুরুতে বক্তারা জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী। বিএনপি রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে জনগণের অধিকার আদায়ের দল। বিএনপির ইতিহাস পালিয়ে যাওয়া নয়। আপোষ করা নয়। জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকারকে বিএনপি সহায়তা করবে। বিএনপি মনে করে দেশ জনগণের সম্পত্তি। তাই দেশের মালিকানা জনগণ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপি সজাগ থাকবে। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মানুষ এখানে অনেক আশা ভরসা নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। তাই রোগীরা যাতে সবসময় সর্বোচ্চমানের চিকিৎসাসেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে অবশ্যই পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএসএমএমইউতে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ যারা বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন তাদের ন্যায্য প্রাপ্য দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।
অন্য বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী দেশের চিকিৎসাখাতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন শিক্ষার প্রসারে বিরাট অবদান রেখেছেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক ডা. এম এ হাদী ছিলেন অত্যন্ত বড় মনের মানুষ। তিনি ছিলেন দলমত নির্বিশেষে মানবতাবাদী মানুষ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালে তিনি কাউকে বঞ্চিত করেন নাই। চিকিৎসক সমাজের অবিসংবাদিত অবিভাবক ও নেতা হিসেবে জাতি তাঁকে চিরকাল স্বরণে রাখবে।
Leave a Reply