বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৯)

  • Update Time : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৫.৫১ পিএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভেষজ ডাক্তারের বিশেষ কাজ

 দৈনন্দিন জীবনের খুব স্বাভাবিক দিক হল রোগ ভোগ। মায়া জনগোষ্ঠীর আত্মা-বিশ্বাসের সীমানা এই লতা, গাছ,গুল্ম দিয়ে রোগ উপশম পর্যন্ত প্রসারিত। ভেষজ কারিকুরির কাজও এইভাবে আত্মাগত ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্তর্গত।

এই বিশেষ কবিরাজীর কাজ গড়ে ওঠে রোগী এবং রোগ সারাবার কাজ যে করে সেই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে। এই কবিরাজ মনে করেন যে তার এই শুভ কাজ বা দায়িত্ব সফল হবে না যদি রোগী এবং তিনি এক ও অভিন্ন এই বিশ্বাসের পরিবেশ গড়ে না ওঠে।

খুব কম কবিরাজ বা ভেষজ ডাক্তার কখনো গাছ-লতাপাতা জন্মান তৈরি করে এবং এই লতাপাতা বন্ধু বা পরিবারের কাউকে আত্মাগত কিছু না থাকলে দান করেন না। গ্রামের বয়স্ক মানুষদের সাধারণভাবে গাছ-গাছালির ঔষধ গুণাবলী সম্পর্কে একটা জ্ঞান থাকে। সাধারণ ও সহজ রোগ সারাবার পদ্ধতি প্রবীণ গ্রামবাসীরা জানেন।

কিন্তু যেসব রোগগুলির উপশম পদ্ধতি কঠিন বা তারা জানেন না সেইসব ক্ষেত্রেই মানুষ কবিরাজের কাছে আসেন। এই সাবেকি ও পুরনো কবিরাজ (Healer) সাধারণভাবে বুশ ডাক্তার (Bush doctor) নামে পরিচিত। হিলার বা বুশ ডাক্তার এক কথায় তাকেই মানা হয় যে রোগ সারাবার জন্য গাছ-গাছালির ব্যবহার করতে জানেন।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৮)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৮)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024