শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রিটেনে পাকিস্তানিদের চাচাতো-মামাতো ভাই-বোনে বিয়ে কমছে

  • Update Time : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ২.১১ পিএম

বিশ্বের সব দেশের তুলনায় পাকিস্তানে মামাতো, ফুপাতো বা চাচাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের হার সবচেয়ে বেশি৷ কিন্তু এই চল যুক্তরাজ্যের প্রবাসী পাকিস্তানিদের মধ্যে কমছে৷

বিজ্ঞান যা বলছেকাছের সম্পর্কের ভাইবোনের সাথে বিয়েকে বলা হয় কনস্যাংগুইন ম্যারেজ৷ যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের একটি গবেষণা ব্র্যাডফোর্ড, বার্মিংহাম ও লন্ডনে শিশু মৃত্যুকে খতিয়ে দেখে৷ সেখানে বলা হয়, অন্তত ২০ থেকে ৪০ শতাংশ মৃত্যুর পেছনে হয়তো এমন কনস্যাংগুইন ম্যারেজ ও অন্যান্য জেনেটিক কারণ থাকতে পারে৷

বার্মিংহাম সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. শাবি আহমেদের মতে, কনস্যাংগুইন বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর জেনেটিক ব্যাধি দেখা যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘শুধু ব্রিটিশ পাকিস্তানি বা কাশ্মীরীরাই নন, এমন প্রবণতা দেখা যায় আরব বা অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যেও, যাদের সংস্কৃতিতে এমন বিবাহ হয়ে থাকে৷’’

যে কারণে তরুণদের অনীহা

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলসহ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় এমন ধরনের বিয়ের চল রয়েছে, যাদের ইংরেজিতে বলে ‘সেকেন্ড কাজিন’৷ বিশ্বের মোট ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নবজাতকের মা-বাবাই ‘সেকেন্ড কাজিন’৷

২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ১৩ হাজার ৫০০টি পরিবারের তথ্য থেকে জানা যায়, ৬০ শতাংশ পাকিস্তানি দম্পতিই একে অপরের ‘কাজিন’৷ কিন্তু যদি কোনো দম্পতির দুজনেই যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে এমন বিয়ের হার কমে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশ৷

২০১৬ থেকে ২০২০ সালে আরেকবার এই সমীক্ষা চালানো হলে দেখা যায় যে সার্বিক পরিসংখ্যানটিও ৬০ থেকে কমে ৪০ শতাংশ হয়েছে৷

কিন্তু প্রযুক্তি ও খোলামেলা আবহ এই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, জানান শাগুফতা ও সাবিহা দুজনেই৷ শাগুফতা বলেন, ‘‘ব্রিটিশ সন্তানরা খুবই স্বাস্থ্য সচেতন, কারণ তারা সোশাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ সব কিছুই আলোচনা করে৷’’

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্রিটিশ পাকিস্তানি নারী বলেন যে তার মতে,বিয়ের মতো সিদ্দান্ত পরিবারের চাপের বদলে নিজেই নেওয়া উচিত৷ তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের চাপ থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলে তার কাজিনকে বিয়ে করতে মানা করে৷ কিন্তু আমি তার পক্ষে ছিলাম, আমার পরিবার সাথে না থাকা সত্ত্বেও৷ আমাদের বুঝতে হবে যে এমন বিয়ের ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে৷’’

তবে, ব্র্যাডফোর্ডের সমাজকর্মী বীনাশ ফারিসের মতে, সার্বিকভাবে এই প্রবণতা নিম্নগামী হলেও যাদের মধ্যে ধর্মীয় আচারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে, সেই সব পরিবারে বা সেই সব তরুণদের মধ্যে ধর্মীয় রীতি মেনে এমন বিবাহের চল থেকেই যাচ্ছে৷

 

-ডয়চে ভেলে

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024