সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি: রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান খুঁজছে সরকার

  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৯.২৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি: রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান খুঁজছে সরকার”

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকার প্রশ্নে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়। সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এমন পটভূমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা থাকা না-থাকার বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

অন্য দুজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ব্যাপারে ছাত্রদের দাবি রয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে এবং সেটা তারা চায় না। এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। এর ফলে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সরকার মনে করছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথবাক্য পাঠ করায় গণ-আকাঙ্ক্ষার কবর হয়েছে”

আওয়ামী সরকারের নিয়োজিত রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথবাক্য পাঠ করায় জন-আকাঙ্ক্ষার কবর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা যারা গণঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছি, আমাদের কখনোই পরিকল্পনা ছিল না যে, একটি বিতর্কিত, ফ্যাসিস্টের দোসর একজন রাষ্ট্রপতির অধীনে আমাদের শপথ হবে। যেটিকে আমরা ভয় পেতাম, ঠিক সে ধরনের কর্মকাণ্ডই আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথবাক্য পাঠ করায় প্রকৃতপক্ষে আমাদের আমাদের যে চাওয়া, যে আকাঙ্ক্ষা—সেটির কবর হয়েছে ।’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সরকারি টেলিভিশন বিটিভির ‘আগামীর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহিন সরকার আরও বলেন, তখন দেশের যে ঘোলাটে পরিস্থিতি ছিল, এ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে প্রবণতা বিশ্বের বৃহৎ পরাশক্তিগুলোর, সেখান থেকে আমাদের অভিভাবকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন যেভাবে, সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথ নেওয়া হয়।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কক্সবাজারে ট্রেন চালিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধের টাকাও উঠছে না”

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর। বর্তমানে এ রেলপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চলছে। এর বাইরে ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে রেলওয়ে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে ট্রেন চালিয়ে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৭০ কোটি টাকা আয় করেছে সংস্থাটি। বিপরীতে ট্রেনগুলো পরিচালনায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। লাভের পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এ তথ্য পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক ও মার্কেটিং বিভাগের।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে নির্মাণ করা হয়েছে ১০১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ। ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধ। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বার্ষিক প্রায় সাড়ে ৩ কোটি ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ) হারে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ২০২৮ সালে এ কিস্তি পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে বার্ষিক প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডলার। ঋণের কিস্তির সঙ্গে সুদ আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হবে। সুদের পরিমাণ প্রায় ২ শতাংশ। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০৪৮ সাল পর্যন্ত।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “আসল রাজনৈতিক সংকটটি কোথায়?”

বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে তা শুধু রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিষয়টির কারণ আরও গভীরে। আর এই দফার আসল সংকটের পর্যায়টি শুরু হয়েছে, ছাত্র- জনতার বিপ্লবী আন্দোলনের পরে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ বা পালিয়ে যাওয়ার দিন অর্থাৎ ৫ই আগস্ট। সংকটের প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে ছাত্র- জনতার আন্দোলন, শত শত মানুষের জীবন দান ও অসংখ্য আহত হওয়ার বিষয়টি কী বিপ্লব না গণঅভ্যুত্থান সেখানেই। স্বরূপ অনুসন্ধানেই আসলে বোঝা যাবে সংকটটি কেন?
বিপ্লব একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। আর বিপ্লব হচ্ছে, সমাজের বিদ্যমান কাঠামো উল্টে দিয়ে সাধারণ জনতার অর্থাৎ সর্বজনের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শুধু ভোটের গণতন্ত্র নয়-সমাজে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়নীতির সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থাপন। বিপ্লব কোনো সাংবিধানিক বিষয় নয়-বিষয়টি রাজনৈতিক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মৌল চেতনাটি ছিল সেটি। বিপ্লবের সম্ভাবনাকে ৫ই আগস্ট মাঝপথে ঠেকিয়ে দেয়ার উদ্যোগটি আসে বিদ্যমান কাঠামোর পক্ষের শক্তির দিক থেকেই। আগেই বলা হয়েছে বিপ্লব সংবিধান মেনে হয় না কিন্তু ৫ই আগস্ট বর্তমানের একজন উপদেষ্টা, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সেনাপ্রধান সংবিধান মেনে সবকিছু করা হবে বলে ঘোষণা দেন। আর এর মধ্যদিয়েই চলমান বিপ্লবের সম্ভাবনাকে বানিয়ে ফেলা হয় গণঅভ্যুত্থানে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুুদ্ধের চেতনাকে যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ আসলে একটি বিপ্লবের বিষয়। যদি সংবিধান মেনে, বিদ্যমান কাঠামো মেনে তখন চলা হতো তাহলে বাংলাদেশের জন্মই হতো না। কারণ, মুক্তিযুদ্ধ ও আগের পুরো রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংবিধানের পথে না গিয়ে একই সঙ্গে জনগণ বিপ্লবের অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পথ বেছে নেয়। যদি সংবিধান মানা হতো তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024