সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় পুলিশ”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, নিয়োগ, পুরস্কার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও পেশাদারত্বের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাহিনী পরিচালনায় স্বতন্ত্র কমিশন চান পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই আলোচনাগুলো উঠে এসেছে। এতে কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশকে সেবামুখী করতে পেশাগত মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও পদোন্নতি-পদায়নে লেনদেন বন্ধ করতে হবে। সংস্কারের আগে সমস্যার মূলে যেতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। পুলিশ কেন মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেই উত্তর খুঁজতে হবে। এ কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে পুলিশকে সত্যিকারের জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরে ১৫ অক্টোবর সংস্কার কমিশনের সঙ্গে ওই বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) ময়নুল ইসলামসহ সদর দপ্তর ও বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫০–৬০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রাজনৈতিক ঐক্যের চেষ্টায় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা”
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মোঃ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরই মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা।
আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব ও নাগরিক কমিটি তাদের দাবিতে অনড় থেকে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিম দুটি ভাগ করে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মোঃ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরই মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা।
আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব ও নাগরিক কমিটি তাদের দাবিতে অনড় থেকে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিম দুটি ভাগ করে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।
প্রথম বৈঠক করেছে বিএনপির সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের একটি দল ওই রাতে ঢাকার গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাসায় যায়। পরে সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও যোগ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে দুই সংগঠনের নেতারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মোঃ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ওই বক্তব্যের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সে জন্য তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবির পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে বোঝাতে চাইছেন।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়নের সফল মডেল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কি?”
বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও এর অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো (পবিস) গ্রামাঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সফল হিসেবে স্বীকৃত। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে এ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিআরইবির দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে গত সাড়ে চার দশকে বড় ভূমিকা রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। আবার সময়ের পরিক্রমায় এসব সমিতি বিআরইবির সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছে। এ দ্বন্দ্ব এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অতিসত্বর এর যৌক্তিক সমাধান না হলে ভবিষ্যতে গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখাসহ গোটা বিদ্যুৎ খাতেই বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তারা বলছেন, বিআরইবি-পল্লী বিদ্যুতের মধ্যকার এ দ্বন্দ্বের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। দ্রুত সমাধান না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের সফল মডেলটিকেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত করার বড় আশঙ্কা রয়েছে।
বিআরইবির বিরুদ্ধে কেনাকাটাসহ নানা কার্যক্রমে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে আসছে সমিতিগুলো। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর পক্ষ থেকে বিআরইবির সঙ্গে একীভূতকরণের দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণেরও দাবি তোলা হচ্ছে। বিআরইবি ও পবিসগুলোর মধ্যে চলমান এ সংকট সমাধানে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিআরইবি ও সমিতির ভূমিকা এবং কাঠামো পুনর্মূল্যায়নের। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে।
মানবজমিনের একটি শিরোন “শুল্ক ছাড়ের প্রভাব নেই বাজারে”
নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। দিশাহারা মানুষ। এমন প্রেক্ষাপটে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পিয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে তদারকি। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। তারপরও ডিম ছাড়া অন্যান্য পণ্যগুলোর দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও খুচরা দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে: ভোজ্য তেলের দাম কমাতে স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি-উভয় পর্যায়ে ভ্যাট ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ১৭ই অক্টোবর এনবিআর পৃথক দুটি আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। প্রথম আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়। অপর আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আমদানি পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হ্রাস এবং প্রত্যাহার করা হলেও এর প্রভাব বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। বাজারে এখন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ১৫৬ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। অন্যদিকে খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ছিল ১৪৬ টাকা। আর পাম তেল সুপার প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৩ টাকা, যা আগে ১৪৭ থেকে ১৫১ টাকা ছিল।
শুল্ক কমলেও বাজারে বেড়েছে চিনির দাম: চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে ৮ই অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে অর্ধেক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫০ শতাংশ হ্রাস করা সত্ত্বেও বাজারে পরিশোধিত চিনির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ১৭ই অক্টোবর পুনরায় পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে প্রতি টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। আশা করা হয়েছিল, এর ফলে দেশের বাজারে চিনির সরবরাহ বাড়বে এবং পণ্যটির দাম কমে আসবে। কিন্তু উল্টো পণ্যটির দাম বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও চিনির দাম ১২৭ থেকে ১৩৫ টাকা ছিল। সরকার প্রতি কেজি চিনিতে কমবেশি ১১ টাকা শুল্ক-কর কমিয়েছে। তাতে চিনির দাম একই হারে কমার কথা ছিল।
পিয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা ও আলুর দামও বাড়তি: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু ও পিয়াজের দাম কমাতে গত ৫ই সেপ্টেম্বর আমদানি শুল্ক হ্রাস করে এনবিআর। সংস্থাটি আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। এ ছাড়া আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে। অন্যদিকে পিয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে এনবিআর। তবে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করা হলেও কমেনি পিয়াজের দাম। উল্টো কেজিপ্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা ও আমদানি করা পিয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি দেশি পিয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা আর আমদানি করা পিয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ১১০ টাকা। অন্যদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করলেও তার প্রভাব পড়েনি দামে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে।
Leave a Reply