শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি: সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল

  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১০.০৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি: সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল”

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আরও একবার শক্তভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ায় গতকাল ১২-দলীয় জোট ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল এসব রাজনৈতিক দল।

গতকাল বিকেলে মালিবাগে ১২-দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠকে জোটটি রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। তারাও রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এনে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পক্ষে নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হবে। সেটি তাঁরা চান না। তাঁরা তাঁদের এই অবস্থান বৈঠকে জানিয়েছেন।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন শেয়ার বাজারে”

দেশের শেয়ার বাজারে গতকাল রোববার ‘ব্যাপক’ দরপতন হয়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমায় এক দিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ২০ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯৬৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে নেমেছে, যা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দরপতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিনিয়োগকারীরা। নজিরবিহীন এ পতনকে অস্বাভাবিক মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য গতকাল কমিটি গঠন করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে টানা পতনে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন। অন্যদিকে দরপতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফোর্স সেল। এতে পুঁজি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেছেন, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অনেকটা নিষ্ক্রিয়। ফলে বাজার ক্রেতা সংকটে ভুগছে। এ কারণেই টানা দরপতন হচ্ছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনকৃত মোট ৩৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৩৯টিই দর হারিয়েছে। এর মধ্যে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ার কমপক্ষে ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ২০ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯৬৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সূচক পতনের হার ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ডিএসইএক্স সূচকটি ১৮১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ হারিয়ে ৫০৮৯ পয়েন্টে নেমেছিল। এ হিসেবে গতকালের এ পতন সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এ পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। অন্যবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৪.২৯ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “তহবিল ব্যয় সর্বনিম্ন সুদের হার সর্বোচ্চ”

দেশের প্রথম সারির ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) তহবিলের বড় অংশই গ্রাহকদের সঞ্চয় ও ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় খুবই কম। যদিও স্বল্প সুদের এ তহবিল থেকেই সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে তারা। উচ্চ সুদে নেয়া এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) সনদ নিয়ে বর্তমানে দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৭৩১টি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান। পৃথক আইনে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও এ ঋণ বিতরণ করে থাকে। এমআরএর বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের জুন শেষে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের মোট তহবিলের আকার ছিল ৩৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৭ কোটি টাকাই ছিল গ্রাহকের সঞ্চয়। ১৪ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছিল ব্র্যাকের ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। অলাভজনক না হলে উদ্বৃত্ত থাকা অর্থের পুরোটাই মুনাফার খাতায় নিতে পারত প্রতিষ্ঠানটি।

সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ব্র্যাকের মোট তহবিলের ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশই নিজস্ব উৎসের। বাকি ৪ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্র্যাকের তহবিল ব্যয় ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পোর্টফোলিও ইল্ড ছিল ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশের তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করেছে তারা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “অর্থ পাচার অনিয়মের তদন্ত হচ্ছে”

নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজটি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় সিন্ডিকেট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের চুক্তিসমূহ পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় রিভিউ কমিটি এই নিয়ে মন্ত্রণালয়ে দুই দফা বৈঠকও করেছে।

এ প্রসঙ্গে কুইক রেন্টালের চুক্তি প্রসঙ্গে-কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম মানবজমিনকে বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি বাতিল করতে হবে। কোনো নবায়ন করা চলবে না। কারণ এধরনের অবৈধ চুক্তি যারা করেছেন, তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। যারা সুবিধা নিয়েছেন সেসব ব্যবসায়ী এবং যারা সুবিধা তৈরি করে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছে ভোক্তা অধিকার রক্ষার এই সংগঠনটি।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই দ্রুত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ছোট ও মাঝারি বেশকিছু রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রের লাইসেন্স দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তিন বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়া হলেও তা চলেছে আট থেকে ১০ বছর। কোনোটি চলেছে আবার ১২ থেকে ১৫ বছর। এসব কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জও নির্ধারণ করা হয় অতি উচ্চ হারে। এতে বিনিয়োগের প্রায় সাড়ে চারগুণ বা ৪৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ তুলে নিয়েছে কোনো কোনো কোম্পানি। ঘোড়াশালে এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনালের নির্মিত ১৪৫ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক (গ্যাস ও ডিজেল) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ২০১০ সালের ২৩শে আগস্ট। প্রথমে ডিজেলে ১৮ মাস চললেও পরে তা গ্যাসে উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন শুরুর সময় কুইক রেন্টাল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি কিলোওয়াটের জন্য প্রতি মাসে ক্যাপাসিটি চার্জ ধরা হয়েছিল ২১ ডলার। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি মাসে ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ডলার ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হতো। এগ্রিকো’র ঘোড়াশাল ১৪৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের জন্য এ হারে বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পড়তো তিন কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। তিন বছরের জন্য কুইক রেন্টাল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর এগ্রিকো বিনিয়োগ করেছিল ১০ কোটি ডলার বা ৫৬০ কোটি টাকা। এতে তিন বছরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতো ১০ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024